মোঃ আব্দুস সালাম বিশেষ প্রতিনিধি
পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ। চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ও হামহাম জলপ্রপাত এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকিট কাউন্টার থেকে জানা যায়, ঈদে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে কয়েকগুন।
বৃহস্পতিবারে মাধবপুর লেক ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটনপ্রেমী ভ্রমণ পিপাসুদের। এদের মধ্যে সপরিবারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ঈদের দিন মঙ্গলবারের চেয়ে ও বুধবার ও বৃহস্পতিবারে লোকজনের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও পর্যটকরা ছুটে এসেছেন জীব বৈচিত্র্যের অপরূপ সমাহার ঘুড়ে দেখতে।এছাড়া ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, শমসেরনগর বাগীছড়া লেক, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধসহ কমলগঞ্জের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। তবে, ঝর্ণাধারা হামহাম জলপ্রপাতে পর্যটকদের ভিড় কিছুটা কম ছিল। ভিড় কম থাকার কারণ হিসেবে জানা যায়, পানি কম তাছাড়া, হামহাম জলপ্রপাতে ভ্রমণ করতে পুরো একদিনের প্রয়োজন। আর অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হয়। কিন্তু ঈদে বিভিন্ন ইভেন্টে ভ্রমণপ্রেমী পর্যটকরা আসছেন হামহাম জলপ্রপাত দেখতে। তাদের মধ্যে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশী।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, আমি সকাল থেকেই কমলগঞ্জের সকল পর্যটক এরিয়া আমাদের থানা পুলিশের একটি টীমকে নিয়ে ঘুড়ে ঘুড়ে দেখছি। কারণ ঈদ আসলেই পর্যটকের ঢল নামে কমলগঞ্জে,তাই নিরবিঘ্নে পর্যটকরা ঘুড়তে পারে সেই জন্য সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।