হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহন করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে পেঁয়াজ, পানসহ কাঁচা পণ্য আমদানিকারকরা পড়েছেন চড়ম বিপাকে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এদিকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে তারা আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও পান দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাতে না পেরে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য দেশের উত্তরাঞ্চলসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। দেশের চাহিদার সিংহভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। কাঁচামাল হওয়ায় পেঁয়াজ বন্দর থেকে দ্রুত সরবরাহ করা হয়। শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সরবরাহ এখন বন্ধ।
হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, পেঁয়াজ, পান ও কাঁচা পণ্য হওয়ায় যেমন লাভ হয় তেমনি লোকসানও গুণতে হয়। একটি পেঁয়াজের গাড়ি ভারতের আড়ত থেকে হিলি বন্দরে আসতে ৬ থেকে ৭ দিন সময় লাগে। এতে অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। এরপর দেশে প্রবেশের পর শ্রমিকদের ডাকা হরতালের কারণে পেঁয়াজসহ অনান্য পণ্য আটকে পরায় তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
এদিকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি সফল করতে হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা মোড়ে সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করে স্থানীয় শ্রমিকরা। এসময় তারা ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।