দুমকি,(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইউনুছ শরীফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ভাইস-চ্যান্সেলরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টির টিএসসি ভবন সম্প্রসারণ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসন নির্মাণ কাজের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদারের সঙ্গে যোগসাজশে স্টারলাইট সার্ভিসেস লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দেখিয়ে কার্যাদেশ প্রদান করেন। এতে সরকারের ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৭ টাকার ক্ষতিসাধন করতে অর্থ আত্মসাৎ করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রকৌশলী মো. ইউনুছ শরীফ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডিং কর্পোরেশনের বিওকিউ সঠিকভাবে হিসাব না করে দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা করে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত চলাকালে আত্মসাৎকৃত ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৭ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়।
এ ঘটনায় পবিপ্রবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইউনুছ শরীফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টারলাইট সার্ভিসেস লিমিটেডকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দুদক। পবিপ্রবি প্রশাসনকে দুদকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রকৌশলী মো. ইউনুছ শরীফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক ফলাফল দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর স্বদেশ সামন্তকে পাঠানো দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন তবে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় চিঠিটি এখন পর্যন্ত হাতে পাননি। চিঠি হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।