ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

পটুয়াখালীর বাউফলে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ০৩ ইউনিয়ন।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা গ্রামের অবদা থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া গোপালিয়া হয়ে বাহেরচর লঞ্চ ঘাটের উপকূল থেকে বিলীন হয়ে গেছে আবাদি জমি ও বাড়িঘর। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও উপজেলার নাজিরপুর ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর উপকূল সংলগ্ন রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও আবাদি জমি ঝুঁকিতে রয়েছে নদী ভাঙ্গনে। নদী ভাঙ্গন রোধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাউফল উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে ৩ টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ফসিল জমি, বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদী ও চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীর তীরবর্তীতে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার পরিবার নদী ভাঙ্গনে আতংকে জীবনযাপন করছে। অপরদিকে বর্ষার মৌসুমে শুরু হলেই দেখা যায় নদীগুলোর জোয়ার-ভাঁটায় উপকূলবর্তী ফসিল জমি, গাছপালা, বাড়িঘর ও গবাদিপশুর বাসস্থান নিয়ে আতংকে থাকে নদীর উপকূল তীরবর্তী বসবাসরত মানুষগুলো।রাত হলেই ঘুম চলে যায় নদীর ভাঙ্গার শব্দে।

এব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাহেরচর লঞ্চ ঘাটের উপকূল সংলগ্নে অবস্থিত ২ নং হিস্যাজাৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম কাছিপাড়া(গোপালিয়া) বাজার,১১ নং পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম কাছিপাড়া দারুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা এবং ১২৮ নং চর রাঘুনদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কারখানা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। এবং খুব দ্রুতই রোধের ব্যবস্থা না নিলে ভাঙ্গন কবলিত মুখে পড়তে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কারখানা নদী ভাঙ্গন চলমান রয়েছে। যার ফলে শত শত পরিবার নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভুমিহীন হয়েছে অনেকেই। তিনি আরও বলেন, এ ভাঙ্গন রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করেন তাহলে কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া গোপালিয়া – চর রঘুনদ্দি,বাহেরচর বাজার সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বহু বসতবাড়ি ও ফসিল জমি বিলীন হয়ে যাবে কারখানা নদীতে।
কাছিপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মামুন আহম্মেদ বলেন, অনেক বছর ধরেই কারখানা নদী ভাঙ্গন হচ্ছে। এ নদীতে হাজিপুর নামক গোটা গ্রামটি বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব ও ভুমিহীন হয়ে গেছে অনেক পরিবার। যাযাবরের মতো রয়েছে অনেক পরিবার।শতশত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে কারখানা নদীতে। অপরদিকে নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিমদি গ্রাম তেতুলিয়ার ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরব্যারেট ও চরওয়াডেল দ্রুত গতিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে চন্দ্রদ্বীপের শতশত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আফরোজা বেগম বলেন, ভাঙন আতংকে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এলাকাবাসী ভাঙনরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
নদী ভাঙ্গন বিষয় পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ কাইছার আলম বলেন, বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া, চন্দ্রদীপ ও নাজিরপুর ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয় পর্যবেক্ষন করে দ্রুত এ ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

###

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীর বাউফলে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ০৩ ইউনিয়ন।

আপডেট টাইম ০৯:৫৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা গ্রামের অবদা থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া গোপালিয়া হয়ে বাহেরচর লঞ্চ ঘাটের উপকূল থেকে বিলীন হয়ে গেছে আবাদি জমি ও বাড়িঘর। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও উপজেলার নাজিরপুর ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর উপকূল সংলগ্ন রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও আবাদি জমি ঝুঁকিতে রয়েছে নদী ভাঙ্গনে। নদী ভাঙ্গন রোধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাউফল উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে ৩ টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ফসিল জমি, বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদী ও চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীর তীরবর্তীতে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার পরিবার নদী ভাঙ্গনে আতংকে জীবনযাপন করছে। অপরদিকে বর্ষার মৌসুমে শুরু হলেই দেখা যায় নদীগুলোর জোয়ার-ভাঁটায় উপকূলবর্তী ফসিল জমি, গাছপালা, বাড়িঘর ও গবাদিপশুর বাসস্থান নিয়ে আতংকে থাকে নদীর উপকূল তীরবর্তী বসবাসরত মানুষগুলো।রাত হলেই ঘুম চলে যায় নদীর ভাঙ্গার শব্দে।

এব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাহেরচর লঞ্চ ঘাটের উপকূল সংলগ্নে অবস্থিত ২ নং হিস্যাজাৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম কাছিপাড়া(গোপালিয়া) বাজার,১১ নং পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম কাছিপাড়া দারুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা এবং ১২৮ নং চর রাঘুনদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কারখানা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। এবং খুব দ্রুতই রোধের ব্যবস্থা না নিলে ভাঙ্গন কবলিত মুখে পড়তে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কারখানা নদী ভাঙ্গন চলমান রয়েছে। যার ফলে শত শত পরিবার নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভুমিহীন হয়েছে অনেকেই। তিনি আরও বলেন, এ ভাঙ্গন রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করেন তাহলে কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া গোপালিয়া – চর রঘুনদ্দি,বাহেরচর বাজার সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বহু বসতবাড়ি ও ফসিল জমি বিলীন হয়ে যাবে কারখানা নদীতে।
কাছিপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মামুন আহম্মেদ বলেন, অনেক বছর ধরেই কারখানা নদী ভাঙ্গন হচ্ছে। এ নদীতে হাজিপুর নামক গোটা গ্রামটি বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব ও ভুমিহীন হয়ে গেছে অনেক পরিবার। যাযাবরের মতো রয়েছে অনেক পরিবার।শতশত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে কারখানা নদীতে। অপরদিকে নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিমদি গ্রাম তেতুলিয়ার ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরব্যারেট ও চরওয়াডেল দ্রুত গতিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে চন্দ্রদ্বীপের শতশত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আফরোজা বেগম বলেন, ভাঙন আতংকে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এলাকাবাসী ভাঙনরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
নদী ভাঙ্গন বিষয় পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ কাইছার আলম বলেন, বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া, চন্দ্রদীপ ও নাজিরপুর ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয় পর্যবেক্ষন করে দ্রুত এ ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

###