ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

পটুয়াখালীর গলাচিপা হাসপাতালে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বর্জ্যসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে পটুয়াখালীর গলাচিপার ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের কোয়ার্টারটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যদিও পৃথক পৃথক রঙের ডাস্টবিনে চিকিৎসা বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলার নিয়ম রয়েছে তবুও নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে ডাক্তারসহ দুর্ভোগে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে প্রবেশের পেছনের দ্বিতীয় গেট দিয়ে ভেতরের দিকে ডাক্তার থাকার জন্য নির্ধারিত কয়েকটি পুরাতন জরাজীর্ণ কোয়ার্টার রয়েছে। যেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পরিত্যক্ত পরে রয়েছে। এর মধ্যে একটি জরাজীর্ণ কোয়ার্টার ময়লা-আবর্জনার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনের হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের এ্যাম্পুল, ব্যবহৃত গজ, ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত মোড়ক, পলিথিন, প্যালাস্টিক, তুলা, টিস্যুসহ উচ্ছিষ্ট খাবার ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলে স্তুপে রুপান্তর করা হয়েছে। এই স্থানের সামনের সড়ক দিয়ে রোগী আনা নেওয়া করা হয় এম্বুলেন্সে। গাড়ি থামিয়ে রোগী উঠানো নামানো সব চলে ওই আবর্জনা রাখার কোয়ার্টার এর পাশ ঘিরেই। এদিকে হাসপাতাল ঘুরে একটি ডাস্টবিন অব্যবহৃত খালি পরে থাকতে দেখা যায়। সে ডাস্টবিনে ফেলা হয় না কোন ময়লা আবর্জনা। অন্যদিকে কোয়ার্টার থেকে দীর্ঘ দিন ধরে ময়লা আবর্জনা অপসারন না করার ফলে, স্তুপ হতে কোয়ার্টারের বারান্দায় ময়লা আবর্জনাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরে আছে। দিনের বেলায় বিড়াল, কাক, কুকুরসহ বিভিন্ন প্রানীরা ময়লা ঘাটাঘাটি করে ফলে রোগ জীবাণু ও সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
এমন পরিবেশে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, এত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে যে চিকিৎসা নিতে এসে দুর্গন্ধে আরও অসুস্থ হবার মতো অবস্থা। হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন রোগী জানান, একটু বাতাস হলে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে পেটের নাড়িভুড়ি উল্টে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। তাছাড়া কুকুর, বিড়াল, কাক বিভিন্ন প্রাণী ময়লা আবর্জনায় হাঁটাচলা করে হাসপাতালের আঙ্গিনায় ঘুরে বেড়ায়। ঐ স্থানের আশেপাশে দাঁড়ানো যায় না দুর্গন্ধে নাকে মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন বলেন, আমি বেশ-কয়েকদিন ধরেই এ আবর্জনাগুলো দেখছি। প্রতিদিনই ভাবি আজকে মনে হয় এগুলো পরিষ্কার করবে, কিন্তু না। স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। এটি পরিষ্কারে কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ি করে এই জয়গাটি হতে ময়লা আবর্জনা অপসারণ করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আবদুল মমিন দাবি করেন, নির্দিষ্ট স্থানে ও ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আবদুল মমিন বলেন, যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তবে তিনি বর্জ্য অপসারণের জরুরি ব্যবস্থা নেবো। বিভিন্ন জায়গা হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি একটা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করার। এখন গলাচিপা পৌরসভার মাধ্যমে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে হচ্ছে।
###

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

পটুয়াখালীর গলাচিপা হাসপাতালে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব।

আপডেট টাইম ০৫:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুলাই ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বর্জ্যসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে পটুয়াখালীর গলাচিপার ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের কোয়ার্টারটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যদিও পৃথক পৃথক রঙের ডাস্টবিনে চিকিৎসা বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলার নিয়ম রয়েছে তবুও নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে ডাক্তারসহ দুর্ভোগে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে প্রবেশের পেছনের দ্বিতীয় গেট দিয়ে ভেতরের দিকে ডাক্তার থাকার জন্য নির্ধারিত কয়েকটি পুরাতন জরাজীর্ণ কোয়ার্টার রয়েছে। যেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পরিত্যক্ত পরে রয়েছে। এর মধ্যে একটি জরাজীর্ণ কোয়ার্টার ময়লা-আবর্জনার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনের হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের এ্যাম্পুল, ব্যবহৃত গজ, ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত মোড়ক, পলিথিন, প্যালাস্টিক, তুলা, টিস্যুসহ উচ্ছিষ্ট খাবার ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলে স্তুপে রুপান্তর করা হয়েছে। এই স্থানের সামনের সড়ক দিয়ে রোগী আনা নেওয়া করা হয় এম্বুলেন্সে। গাড়ি থামিয়ে রোগী উঠানো নামানো সব চলে ওই আবর্জনা রাখার কোয়ার্টার এর পাশ ঘিরেই। এদিকে হাসপাতাল ঘুরে একটি ডাস্টবিন অব্যবহৃত খালি পরে থাকতে দেখা যায়। সে ডাস্টবিনে ফেলা হয় না কোন ময়লা আবর্জনা। অন্যদিকে কোয়ার্টার থেকে দীর্ঘ দিন ধরে ময়লা আবর্জনা অপসারন না করার ফলে, স্তুপ হতে কোয়ার্টারের বারান্দায় ময়লা আবর্জনাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরে আছে। দিনের বেলায় বিড়াল, কাক, কুকুরসহ বিভিন্ন প্রানীরা ময়লা ঘাটাঘাটি করে ফলে রোগ জীবাণু ও সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
এমন পরিবেশে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, এত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে যে চিকিৎসা নিতে এসে দুর্গন্ধে আরও অসুস্থ হবার মতো অবস্থা। হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন রোগী জানান, একটু বাতাস হলে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে পেটের নাড়িভুড়ি উল্টে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। তাছাড়া কুকুর, বিড়াল, কাক বিভিন্ন প্রাণী ময়লা আবর্জনায় হাঁটাচলা করে হাসপাতালের আঙ্গিনায় ঘুরে বেড়ায়। ঐ স্থানের আশেপাশে দাঁড়ানো যায় না দুর্গন্ধে নাকে মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন বলেন, আমি বেশ-কয়েকদিন ধরেই এ আবর্জনাগুলো দেখছি। প্রতিদিনই ভাবি আজকে মনে হয় এগুলো পরিষ্কার করবে, কিন্তু না। স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। এটি পরিষ্কারে কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ি করে এই জয়গাটি হতে ময়লা আবর্জনা অপসারণ করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আবদুল মমিন দাবি করেন, নির্দিষ্ট স্থানে ও ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আবদুল মমিন বলেন, যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তবে তিনি বর্জ্য অপসারণের জরুরি ব্যবস্থা নেবো। বিভিন্ন জায়গা হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি একটা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করার। এখন গলাচিপা পৌরসভার মাধ্যমে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে হচ্ছে।
###