ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ মনোনয়ন দৌড়ে ডজন খানেক প্রার্থী

  • আঃ মজিদ খান
  • আপডেট টাইম ০৬:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৫৬ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র অন্তত এক ডজন প্রার্থী। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে কেন্দ্রে জোর তদবিরসহ জেলা পরিষদের ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না চেয়ে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবেও দুই-একজন নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন এমন তালিকায় রয়েছেন- পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান মোহন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম আলমগীর মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মো. তসলিম সিকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শাহীন মিয়া এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পটুয়াখালী শহরে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা। এদিকে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন সে বিষয়ে এখন বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে আলোচনা। এক্ষেত্রে মনোনয়ন দিতে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দলের প্রতি অবদান, প্রার্থীর পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয়, বর্তমান সময় দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীর দ্বারা দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কী না সেটিও বিবেচনার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে মনোনয়নের সুপারিশ করাসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে কী না সে বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রাখা উচিত বরে মনে করেন জেলা পরিষদের ভোটাররা।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়া উচিত সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। বিগত দিনে দলের জন্য যাদের অবদান রয়েছে, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন তাদেরকেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে আমি মনে করি। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী। আমাকে তিনি দলের সভাপতি বানিয়েছেন। এখন যদি তিনি মনে করেন তবে আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও দলীয় মনোনয়ন দেবেন। আর যদি মনে করেন অন্য কোনো চেয়ারে আমাকে বসাবেন তবে তাই করবেন। তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী জেলায় সরকারের মেগা সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন, জেলা পরিষদের মতো একটি যায়গায় আমার দায়িত্ব পালনের সুযোগ হলে দল সুসংগঠিত করে চারটি সংসদীয় আসনে বিজয় নিশ্চিত করা সহজ হবে। আমি চেয়ারম্যান হলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করবো।
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি এরই মধ্যে সফলতা ও সততার সঙ্গে পৌরসভা ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
মনোনয়ন প্রত্যাশী রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতি করছি, ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম। বর্তমানে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছি। পেশাগত জীবনে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করবো। অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। পরে চাকরি করলেও আওয়ামী লীগ থেকে বিমুখ হইনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং আছি। তাই আমি মনে করছি, পটুয়াখালী জেলা পরিষদে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পটুয়াখালী জেলা পরিষদে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে পাঁচ পৌরসভায় পাঁচজন মেয়র, ৪৫ জন কাউন্সিলর ও ১৫ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর, আটটি উপজেলা পরিষদের আটজন চেয়ারম্যান ও ১৬ জন ভাইস-চেয়ারম্যান, ৭৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ৭৭ জন চেয়ারম্যান, ৬৯৩ জন সাধারণ ইউপি সদস্য ও ২৩১ জন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রয়েছেন।
গত ২৩ আগস্ট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ মনোনয়ন দৌড়ে ডজন খানেক প্রার্থী

আপডেট টাইম ০৬:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র অন্তত এক ডজন প্রার্থী। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে কেন্দ্রে জোর তদবিরসহ জেলা পরিষদের ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না চেয়ে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবেও দুই-একজন নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন এমন তালিকায় রয়েছেন- পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান মোহন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম আলমগীর মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মো. তসলিম সিকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শাহীন মিয়া এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পটুয়াখালী শহরে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা। এদিকে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন সে বিষয়ে এখন বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে আলোচনা। এক্ষেত্রে মনোনয়ন দিতে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দলের প্রতি অবদান, প্রার্থীর পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয়, বর্তমান সময় দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীর দ্বারা দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কী না সেটিও বিবেচনার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে মনোনয়নের সুপারিশ করাসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে কী না সে বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রাখা উচিত বরে মনে করেন জেলা পরিষদের ভোটাররা।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়া উচিত সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। বিগত দিনে দলের জন্য যাদের অবদান রয়েছে, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন তাদেরকেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে আমি মনে করি। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী। আমাকে তিনি দলের সভাপতি বানিয়েছেন। এখন যদি তিনি মনে করেন তবে আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও দলীয় মনোনয়ন দেবেন। আর যদি মনে করেন অন্য কোনো চেয়ারে আমাকে বসাবেন তবে তাই করবেন। তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী জেলায় সরকারের মেগা সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন, জেলা পরিষদের মতো একটি যায়গায় আমার দায়িত্ব পালনের সুযোগ হলে দল সুসংগঠিত করে চারটি সংসদীয় আসনে বিজয় নিশ্চিত করা সহজ হবে। আমি চেয়ারম্যান হলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করবো।
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি এরই মধ্যে সফলতা ও সততার সঙ্গে পৌরসভা ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
মনোনয়ন প্রত্যাশী রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতি করছি, ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম। বর্তমানে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছি। পেশাগত জীবনে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করবো। অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। পরে চাকরি করলেও আওয়ামী লীগ থেকে বিমুখ হইনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং আছি। তাই আমি মনে করছি, পটুয়াখালী জেলা পরিষদে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পটুয়াখালী জেলা পরিষদে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে পাঁচ পৌরসভায় পাঁচজন মেয়র, ৪৫ জন কাউন্সিলর ও ১৫ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর, আটটি উপজেলা পরিষদের আটজন চেয়ারম্যান ও ১৬ জন ভাইস-চেয়ারম্যান, ৭৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ৭৭ জন চেয়ারম্যান, ৬৯৩ জন সাধারণ ইউপি সদস্য ও ২৩১ জন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রয়েছেন।
গত ২৩ আগস্ট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর।