ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও ঝাটকা সংরক্ষনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বরফ

আমিনুল ইসলাম আল আমিন ঃ

নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও ঝাটকা সংরক্ষনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বরফ ৷ মতলব উত্তর উপজেলায় প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছে ২ হাজার কেজি বরফ।

জানা যায় উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের জনতা বাজার মাছ বাজার সংলগ্ন হাজিপুর গ্রামের নজরুল বরফ কল বসিয়ে প্রতিদিন ২ হাজার কেজি বরফ উৎপাদন করে অবৈধভাবে জাটকা মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছে ৷

ঝাটকা নিধন নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও কিভাবে বরফ কল বসিয়ে ঝাটকা ব্যবসায়ীদের কাছে বরফ বিক্রি করছে এমন প্রশ্ন জনতা বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ৷

বিশেষ সুত্রে জানা যায় জাটকা সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় ঝাটকা ব্যবসায়ীরা নজরুলের বরফ কল হতে প্রতিদিনিন শত শত কেজি বরফ কিনে নেন ।

এছাডাও জনতা বাজারে প্রতিদিন বিকেল ৩টা রাত ১০টা ও ভোর ৪টা হতে ৬ট পর্যন্ত ৪/৫ লক্ষ টাকার ঝাটকা মাছ বেচা-কিনা হয় বলেও জানা যায় ৷

এই ঝাটকা ব্যবসায়ীরা পিকাফে করে ভোর রাতে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে উপজেলার ব্যারীবাধের ভিতরে বিভিন্ন গ্রামের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিক্রি করে থাকেন এই ঝাটকা ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঝাটকা ব্যবসায়ী বলেন ঝাটকা ভালোই ধরা পরে তবে ছাইজে একটু ছোট বৃস্টি হলে ভালো হতো ঝাটকা মাছগুলো তাড়াতাড়ী বড় হতো ৷

জনতা বাজারের বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির জানান,আমাদের বাজারে অবৈধভাবে কেউ ব্যবসা করলে আমাদের বাজারের বদনাম হবে আমরাও চাই এধরনের কার্যকলাপ থেকে যাতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা বিরত থাকেন এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কেউ অবৈধভাবে ব্যবসা করবে তা আমরা মানবনা ৷

জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ বিচরণ ক্ষেত্রে ৬টি অভয়াশ্রমে ৪৩২ কিলোমিটার নৌ-সীমানায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ইলিশসহ যেকোনো মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও সরবরাহ নিষিদ্ধ রয়েছে। আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২বছর কারাবাস সহ আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও ঝাটকা সংরক্ষনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বরফ

আপডেট টাইম ১০:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

আমিনুল ইসলাম আল আমিন ঃ

নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও ঝাটকা সংরক্ষনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বরফ ৷ মতলব উত্তর উপজেলায় প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছে ২ হাজার কেজি বরফ।

জানা যায় উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের জনতা বাজার মাছ বাজার সংলগ্ন হাজিপুর গ্রামের নজরুল বরফ কল বসিয়ে প্রতিদিন ২ হাজার কেজি বরফ উৎপাদন করে অবৈধভাবে জাটকা মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছে ৷

ঝাটকা নিধন নিষিদ্ধ সময়ের মাঝেও কিভাবে বরফ কল বসিয়ে ঝাটকা ব্যবসায়ীদের কাছে বরফ বিক্রি করছে এমন প্রশ্ন জনতা বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ৷

বিশেষ সুত্রে জানা যায় জাটকা সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় ঝাটকা ব্যবসায়ীরা নজরুলের বরফ কল হতে প্রতিদিনিন শত শত কেজি বরফ কিনে নেন ।

এছাডাও জনতা বাজারে প্রতিদিন বিকেল ৩টা রাত ১০টা ও ভোর ৪টা হতে ৬ট পর্যন্ত ৪/৫ লক্ষ টাকার ঝাটকা মাছ বেচা-কিনা হয় বলেও জানা যায় ৷

এই ঝাটকা ব্যবসায়ীরা পিকাফে করে ভোর রাতে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে উপজেলার ব্যারীবাধের ভিতরে বিভিন্ন গ্রামের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিক্রি করে থাকেন এই ঝাটকা ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঝাটকা ব্যবসায়ী বলেন ঝাটকা ভালোই ধরা পরে তবে ছাইজে একটু ছোট বৃস্টি হলে ভালো হতো ঝাটকা মাছগুলো তাড়াতাড়ী বড় হতো ৷

জনতা বাজারের বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির জানান,আমাদের বাজারে অবৈধভাবে কেউ ব্যবসা করলে আমাদের বাজারের বদনাম হবে আমরাও চাই এধরনের কার্যকলাপ থেকে যাতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা বিরত থাকেন এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কেউ অবৈধভাবে ব্যবসা করবে তা আমরা মানবনা ৷

জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ বিচরণ ক্ষেত্রে ৬টি অভয়াশ্রমে ৪৩২ কিলোমিটার নৌ-সীমানায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ইলিশসহ যেকোনো মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও সরবরাহ নিষিদ্ধ রয়েছে। আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২বছর কারাবাস সহ আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।