ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।
জার্মানীর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিলস অ্যানেন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সমর্থন ও সহযোগিতায় একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।
ইহসানুল করিম বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আগামীর নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার বিভিন্ন খাত নিয়ে আলোচনা করেন।
‘আমাদের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং ইতোমধ্যে এই কমিশন সারাদেশের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার পর্যায়ের ৬ হাজারেরও বেশি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। এসব নির্বাচনে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই এবং এসব নির্বাচনে কখনো আমরা এবং কখনো তারা (বিরোধী দল) জয়ী হয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে একথা বলেন প্রেস সচিব।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনে তাঁর দলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দলটি সামরিক শাসনে ক্রমাগত ভোগান্তির সম্মুখীন হয়। সামরিক শাসনে এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ ভেঙ্গে পড়েছিল।
জার্মান মন্ত্রী বলেন, এটাই তার বাংলাদেশে প্রথম সফর এবং তিনি আকাশপথে ভ্রমণের সময় এ দেশের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জার্মান মন্ত্রী, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উন্নয়ন এবং এটি বাস্তবায়নে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় জার্মান কোম্পানীর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জার্মান মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে জার্মানীর দীর্ঘ ঐতিহ্য থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময়ের আগ্রহ ব্যাক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু, সংখ্যায় তারা স্থানীয় জনগণকেও ছাপিয়ে গেছে এবং তাদের সনাক্তকরণের জন্য রেজিষ্ট্রেশনের পর পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই রোহিঙ্গা সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশী।
তাঁর সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে জার্মান মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারের জন্য ব্যাপক সমস্যা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর জার্মান সফরের কথা স্মরণ করে জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, জার্মানীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ এবং বাংলাদেশের জার্মানীর রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিন্জ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৬:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।
জার্মানীর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিলস অ্যানেন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সমর্থন ও সহযোগিতায় একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।
ইহসানুল করিম বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আগামীর নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার বিভিন্ন খাত নিয়ে আলোচনা করেন।
‘আমাদের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং ইতোমধ্যে এই কমিশন সারাদেশের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার পর্যায়ের ৬ হাজারেরও বেশি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। এসব নির্বাচনে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই এবং এসব নির্বাচনে কখনো আমরা এবং কখনো তারা (বিরোধী দল) জয়ী হয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে একথা বলেন প্রেস সচিব।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনে তাঁর দলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দলটি সামরিক শাসনে ক্রমাগত ভোগান্তির সম্মুখীন হয়। সামরিক শাসনে এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ ভেঙ্গে পড়েছিল।
জার্মান মন্ত্রী বলেন, এটাই তার বাংলাদেশে প্রথম সফর এবং তিনি আকাশপথে ভ্রমণের সময় এ দেশের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জার্মান মন্ত্রী, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উন্নয়ন এবং এটি বাস্তবায়নে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় জার্মান কোম্পানীর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জার্মান মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে জার্মানীর দীর্ঘ ঐতিহ্য থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময়ের আগ্রহ ব্যাক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু, সংখ্যায় তারা স্থানীয় জনগণকেও ছাপিয়ে গেছে এবং তাদের সনাক্তকরণের জন্য রেজিষ্ট্রেশনের পর পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই রোহিঙ্গা সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশী।
তাঁর সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে জার্মান মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারের জন্য ব্যাপক সমস্যা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর জার্মান সফরের কথা স্মরণ করে জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, জার্মানীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ এবং বাংলাদেশের জার্মানীর রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিন্জ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।