ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদী অভিযুক্ত কথিত কবিরাজ কারাগারে।

আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি

সংসারে শান্তি ফেরানোর জন্য তাবিজ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূকে (২৪) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী চাচা শ্বশুড় কথিত কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিকটিমের ৯(৪)(খ) ধারা মোতাবেক দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাৎক্ষণিক আটক করতে সমর্থ হয় যার মামলা নং -০৩।গত ০১/০৮/২০২১ ইং তারিখে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আসামীকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ । আটককৃত কথিত কবিরাজের নাম হারুন মিয়া(৪০) ।
ভুক্তভোগী নারী তাঁর সাংসারিক দাম্পত্য সমস্যায় ভুগছিলেন, এ সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার জন্য তাবিজ করতে হবে বলে জানান হারুন।তার ধারাবহিকতায় ভিকটিম সেবাপ্রত্যাশী হিসেবে কবিরাজের দেওয়া শর্ত মত নির্জন রাতের আঁধারে গন্তব্যে পৌছান। চিকিৎসার নামে অসৎ উদ্দেশ্যে দূর্বলতাকে পূজি করে কৌশলে যৌন লালসা চরিত্বার্থ করার চেষ্টা করেন সরল গৃহবধূকে।

ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিকটিম যখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এমতাবস্থায় একটি স্বার্থাণিত মহল স্ব স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টায় পায়তারা করছেন বলে সাংঘর্ষিক হয়ে দাড়িয়েছে।
দেশের প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একেকজন বিচারক বনে গেছেন।

অথচ আইনে কঠোর ভাবে বলা আছে- ধর্ষণ মামলা আপস-মীমাংসা করা যাবে না। তারপরও এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই লক্ষ্য করা যায় । অপরাধীকে বাঁচাতে আপস-মীমাংসার মতো ঘটনা বন্ধে সরকার শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।পাশাপাশি ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলন জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
ধর্ষণের ঘটনায় প্রায়ই সামাজিক ও পারিবারিক পরিসরে আপসের কথা শোনা যায়।অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালী বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্যোগেও সমঝোতা করেন ভিকটিম।
ধর্ষক/ ধর্ষণ চেষ্টাকারীর দোসরদের হুমকি-ধামকিও একটি বড় কারণ। তদ্রুপভাবে ধর্ষণচেষ্টা মামলার বাদী এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন দাবী করে মিঠাপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন গত ০৭/০৮/২০২১ইং তারিখে। ডায়েরি সূত্রে জানা যায় গত ০৪/০৮/২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১১.১০ মিনিটে ভিকটিমের স্বামী আবু তাহেরকে(৩১) পথরোধ করেন অভিযুক্ত হারুনের দোসররা।হাজতবাসীর পিতা মমদেল হোসেন, তার স্ত্রী হারিছা বেগম নাতি আরিফুল ইসলাম ও তার মা সহ আজহারুল ইসলাম,নওশা,নুরু,মাসুদ,আশিকুর গং মামলা উত্তোলনের হুমকি প্রদান এবং মারমুখী আচরণ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করায় আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন উক্ত মামলার ভিকটিম পরিবারটি।

মামলা দায়ের, তদন্ত এবং অভিযোগপত্র (চার্জশিট) এই তিনটি স্তর সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পুলিশ, রাষ্ট্রপক্ষ, আদালত এবং কারাকর্তৃপক্ষ চারটির মধ্যে যে কোনো এক পক্ষের অদক্ষতা বা অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে আইনের অপপ্রয়োগ হতে পারে৷ প্রথমধাপে পুলিশ তদন্ত এবং চার্জশিট প্রদান করতে প্রক্রিয়াধীন আয়ূ হিসেবে রয়েছেন বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর ইসলাম। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদী অভিযুক্ত কথিত কবিরাজ কারাগারে।

আপডেট টাইম ১২:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি

সংসারে শান্তি ফেরানোর জন্য তাবিজ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূকে (২৪) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী চাচা শ্বশুড় কথিত কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিকটিমের ৯(৪)(খ) ধারা মোতাবেক দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাৎক্ষণিক আটক করতে সমর্থ হয় যার মামলা নং -০৩।গত ০১/০৮/২০২১ ইং তারিখে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আসামীকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ । আটককৃত কথিত কবিরাজের নাম হারুন মিয়া(৪০) ।
ভুক্তভোগী নারী তাঁর সাংসারিক দাম্পত্য সমস্যায় ভুগছিলেন, এ সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার জন্য তাবিজ করতে হবে বলে জানান হারুন।তার ধারাবহিকতায় ভিকটিম সেবাপ্রত্যাশী হিসেবে কবিরাজের দেওয়া শর্ত মত নির্জন রাতের আঁধারে গন্তব্যে পৌছান। চিকিৎসার নামে অসৎ উদ্দেশ্যে দূর্বলতাকে পূজি করে কৌশলে যৌন লালসা চরিত্বার্থ করার চেষ্টা করেন সরল গৃহবধূকে।

ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিকটিম যখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এমতাবস্থায় একটি স্বার্থাণিত মহল স্ব স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টায় পায়তারা করছেন বলে সাংঘর্ষিক হয়ে দাড়িয়েছে।
দেশের প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একেকজন বিচারক বনে গেছেন।

অথচ আইনে কঠোর ভাবে বলা আছে- ধর্ষণ মামলা আপস-মীমাংসা করা যাবে না। তারপরও এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই লক্ষ্য করা যায় । অপরাধীকে বাঁচাতে আপস-মীমাংসার মতো ঘটনা বন্ধে সরকার শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।পাশাপাশি ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলন জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
ধর্ষণের ঘটনায় প্রায়ই সামাজিক ও পারিবারিক পরিসরে আপসের কথা শোনা যায়।অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালী বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্যোগেও সমঝোতা করেন ভিকটিম।
ধর্ষক/ ধর্ষণ চেষ্টাকারীর দোসরদের হুমকি-ধামকিও একটি বড় কারণ। তদ্রুপভাবে ধর্ষণচেষ্টা মামলার বাদী এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন দাবী করে মিঠাপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন গত ০৭/০৮/২০২১ইং তারিখে। ডায়েরি সূত্রে জানা যায় গত ০৪/০৮/২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১১.১০ মিনিটে ভিকটিমের স্বামী আবু তাহেরকে(৩১) পথরোধ করেন অভিযুক্ত হারুনের দোসররা।হাজতবাসীর পিতা মমদেল হোসেন, তার স্ত্রী হারিছা বেগম নাতি আরিফুল ইসলাম ও তার মা সহ আজহারুল ইসলাম,নওশা,নুরু,মাসুদ,আশিকুর গং মামলা উত্তোলনের হুমকি প্রদান এবং মারমুখী আচরণ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করায় আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন উক্ত মামলার ভিকটিম পরিবারটি।

মামলা দায়ের, তদন্ত এবং অভিযোগপত্র (চার্জশিট) এই তিনটি স্তর সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পুলিশ, রাষ্ট্রপক্ষ, আদালত এবং কারাকর্তৃপক্ষ চারটির মধ্যে যে কোনো এক পক্ষের অদক্ষতা বা অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে আইনের অপপ্রয়োগ হতে পারে৷ প্রথমধাপে পুলিশ তদন্ত এবং চার্জশিট প্রদান করতে প্রক্রিয়াধীন আয়ূ হিসেবে রয়েছেন বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর ইসলাম। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।