ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

নিয়ামতপুরে বাড়ি ভিটার জমি জমা সংক্রান্ত জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্য মারধোরের অভিযোগ।

স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ রুহুল আমিন শেখ

নিয়ামতপুর উপজেলার ৩ নং ভাবিচা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের মৃত নজর আলীর পুত্র মোঃ সাইফুদ্দিন(৪৮) ও তার আপন বড় ভাই মোঃ আব্দুল মালেক(৫৮) এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ি ভিটা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২৩ আগস্ট রোজ মঙ্গল আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকায় মোঃ সাইফুদ্দিনের স্ত্রী মোছা: আলতা বানুকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধরের অভিযোগ ওঠে মোঃ আব্দুল মালেকের পুত্র মোঃ মুক্তার(২০) এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মোঃ সাইফুদ্দিন নিয়ামতপুর থানায় ১। নং মোঃ আব্দুল মালেক(৫৮)২। মোছা:নাজমা(৪০)৩। মোঃ মুক্তার(২০) ৪। মো: ছানোয়ার(২২) ৫। মোছা: সাবেরা বানু(৫০) ৬। মোঃ দেলোয়ার(৩০) ৭। মোছা: রিমা (২৩) মোট ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বাড়ি ভিটার সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হলে মোঃ সাইফুদ্দিন বিজ্ঞ আদালতে১৪৪/১৪৫ ধরাই মামলা করেন। উক্ত মামলায় ২৩/০৮/২২ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে শুনানির দিন ছিল। মোঃ সাইফুদ্দিন ও বিবাদী মোঃ আব্দুল মালেক কোর্টে গিয়ে হাজিরা দেয়। মোঃ সাইফুদ্দিন কোর্ট থেকে দেরিতে বাড়ি ফিরে আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকার সময় দেখে, বিবাদীগণ তার বাড়ির খলিয়ানে অনধিকার প্রবেশ করে ১ নং বিবাদীর হুকুমে সাইফুদ্দিনের স্ত্রী মোছা: আলতা বানুকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে। ৩ নং বিবাদী তার হাতে থাকা লাঠি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আলতা বানুকে মাথায় আঘাত করলে আলতা বানু তার বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে, বাম হাতের কনুই এর নিচে লেগে ভাঙা জখম হয়। আলতা বানুকে মোঃ সাইফুদ্দিন ও তার ছেলে নাসির উদ্দিন রক্ষা করার চেষ্টা করলে, বিবাদীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন আগিয়া আসিলে বিবাদীরা নানাভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। নিয়ামতপুরের থানা পুলিশের সহায়তাই তারা নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। গুরুতর ভাবে আলতা বানুর হাতে আঘাত লাগায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। অভিযুক্ত মোঃ মোক্তার বলেন, নওগাঁ কোর্ট থেকে আমার বাবা বাড়ি আসার পর দেখে আমাদের মালপত্র বাড়ির খৈলানে রাখা ছিল তা সরানোর চেষ্টা করছে। আমার বাবা-মা যখন মালপত্র সরাতে বাধা দেয় তখন একটা মারামারি পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমি দেখি আমার বাবা মাকে তারা মারছে, তা দেখে আমিও তাদের সাথে হাতাহাতি করি। ১ নং অভিযুক্ত আব্দুল মালেক বলেন, জমিজমা বিরোধ নিয়ে মারামারি হয়, আমি একা ছিলাম তখন তারা আমাকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে মারধরের এক পর্যায়ে আমার ছেলেরা এসে তাদেরকে মারধর করে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

নিয়ামতপুরে বাড়ি ভিটার জমি জমা সংক্রান্ত জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্য মারধোরের অভিযোগ।

আপডেট টাইম ০৪:৫৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ রুহুল আমিন শেখ

নিয়ামতপুর উপজেলার ৩ নং ভাবিচা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের মৃত নজর আলীর পুত্র মোঃ সাইফুদ্দিন(৪৮) ও তার আপন বড় ভাই মোঃ আব্দুল মালেক(৫৮) এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ি ভিটা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২৩ আগস্ট রোজ মঙ্গল আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকায় মোঃ সাইফুদ্দিনের স্ত্রী মোছা: আলতা বানুকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধরের অভিযোগ ওঠে মোঃ আব্দুল মালেকের পুত্র মোঃ মুক্তার(২০) এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মোঃ সাইফুদ্দিন নিয়ামতপুর থানায় ১। নং মোঃ আব্দুল মালেক(৫৮)২। মোছা:নাজমা(৪০)৩। মোঃ মুক্তার(২০) ৪। মো: ছানোয়ার(২২) ৫। মোছা: সাবেরা বানু(৫০) ৬। মোঃ দেলোয়ার(৩০) ৭। মোছা: রিমা (২৩) মোট ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বাড়ি ভিটার সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হলে মোঃ সাইফুদ্দিন বিজ্ঞ আদালতে১৪৪/১৪৫ ধরাই মামলা করেন। উক্ত মামলায় ২৩/০৮/২২ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে শুনানির দিন ছিল। মোঃ সাইফুদ্দিন ও বিবাদী মোঃ আব্দুল মালেক কোর্টে গিয়ে হাজিরা দেয়। মোঃ সাইফুদ্দিন কোর্ট থেকে দেরিতে বাড়ি ফিরে আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকার সময় দেখে, বিবাদীগণ তার বাড়ির খলিয়ানে অনধিকার প্রবেশ করে ১ নং বিবাদীর হুকুমে সাইফুদ্দিনের স্ত্রী মোছা: আলতা বানুকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে। ৩ নং বিবাদী তার হাতে থাকা লাঠি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আলতা বানুকে মাথায় আঘাত করলে আলতা বানু তার বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে, বাম হাতের কনুই এর নিচে লেগে ভাঙা জখম হয়। আলতা বানুকে মোঃ সাইফুদ্দিন ও তার ছেলে নাসির উদ্দিন রক্ষা করার চেষ্টা করলে, বিবাদীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন আগিয়া আসিলে বিবাদীরা নানাভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। নিয়ামতপুরের থানা পুলিশের সহায়তাই তারা নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। গুরুতর ভাবে আলতা বানুর হাতে আঘাত লাগায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। অভিযুক্ত মোঃ মোক্তার বলেন, নওগাঁ কোর্ট থেকে আমার বাবা বাড়ি আসার পর দেখে আমাদের মালপত্র বাড়ির খৈলানে রাখা ছিল তা সরানোর চেষ্টা করছে। আমার বাবা-মা যখন মালপত্র সরাতে বাধা দেয় তখন একটা মারামারি পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমি দেখি আমার বাবা মাকে তারা মারছে, তা দেখে আমিও তাদের সাথে হাতাহাতি করি। ১ নং অভিযুক্ত আব্দুল মালেক বলেন, জমিজমা বিরোধ নিয়ে মারামারি হয়, আমি একা ছিলাম তখন তারা আমাকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে মারধরের এক পর্যায়ে আমার ছেলেরা এসে তাদেরকে মারধর করে।