জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা ছালাকান্দা গ্রামের প্রভাবশালী এনামুল হক( ৩২) শামীমুল হক (২৮) শাকিল, তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের লিখিত এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত এনামুল হক( ৩২) শামীমুল হক (২৮) শাকিল চৌধুরীর দেওসহিলা ছালাকান্দা গ্রামের মৃত শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দেওসহিলা মৌজা খতিয়ান নং ১৩৩ ও ১১০৫ হাল দাগ নং ৯৬২/৯৬৩ /৯৮৮/ ৯৬৯/ ৯৬৫ এই দাগে মোট ২ একর ৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে উক্ত জমির মালিক, একই এলাকার মৃত সিরাজ আলীর ছেলে ,হারেছ মিয়া (৬০)।
হারেছ মিয়ার সাথে পূর্বশত্রুতা থাকার কারণে তফসিলভুক্ত ৪২ বছরের ভোগ দখলীয় জমির উপর জোরপূর্বক ভাবে বেদখল দিয়ে , জমিটা নিজ দখলে নেওয়ার জন্য, পাঁয়তারা করছে, অভিযুক্ত এলাকার প্রভাবশালী মৃত শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে, এনামুল হক( ৩২) শামীমুল হক (২৮) শাকিল মিয়া।
অভিযুক্তরা পূর্বে থেকে ভূমিদস্যু
লাঠিয়াল ও গুন্ডা প্রকৃতির লোক হওয়ায় ,গত ১০ এপ্রিল ২০২২ রোজ শনিবার আনুমানিক সকাল ৯ টা দিকে হারেছ মিয়ার রোপণকৃত ধানের জমিতে ধান কাটতে গেলে বাঁধা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
উক্ত জমি টা নিয়ে দেওসহিলা ছালাকান্দা গ্রামে দফায় দফায় দরবার সালিশও হয়েছে।
পরবর্তীতে ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গ্রাম আদালত বসিয়ে ৪/০৩/২০২১ ইং তারিখে চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ হারেছ মিয়াকে রায় ও জমিটা বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ।
এই জমি নিয়ে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে দেওসহিলা ছালাকান্দা গ্রামে অনাকাঙ্ক্ষিত বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ,অভিযুক্ত শামীমুল হকের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বলেন , ওয়াজ বদল দলিল মূলে জমিটা আমরা নিয়েছি। এখন তারা আমাদেরকে , জমি না দিয়ে উল্টো বাধা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,ফতেপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই জমিটা নিয়ে দুই পক্ষের অভিযোগ রয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে জমির প্রকৃত মালিক কে।