স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মাদঃআল আমীন সাইফ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা
বিএনপির সম্মেলনে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে
মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের
মারামারিতে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার
(১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের গ্র্যান্ড তাজ
পার্টি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। এই সময় পার্টি
সেন্টারটির প্রধান ফটক, চেয়ার টেবিলে ব্যাপক
ভাঙচুর চালানো হয়। পরে সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটুর। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাতে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের বাসা। এই ঘটনার আগে ও পরে ঘটনাস্থলে আসেননি এই দুই নেতা।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির এখানকার নির্বাচনী
আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন ও তার
অনুগত কোন নেতাকর্মীদের সম্মেলনের ব্যাপারে
জানানো হয়নি এবং তাদের কোন কমিটিতে রাখা
হয়নি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল তাদের।
এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনের
দিনক্ষন ঠিক করা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের
জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠে। শুক্রবার সকাল
থেকেই সম্মেলনস্থলে বিএনপি নেতা কাউন্সিলর
ইকবালের নেতৃত্বে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্রীয়
নেতাদের তারা বিষয়গুলো অবহিত করবেন বলে
জানান। পরে মামুন মাহমুদের পক্ষের একটি মিছিল
সভাস্থলে স্লোগান নিয়ে প্রবেশ করার পরপরই তাদের
উপর চড়াও হয় গিয়াসউদ্দিন বলয়ের নেতাকর্মীরা।
এতে উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে চেয়ার
ছোড়াছুড়ি ও মারামারি হয়। এসময় উভয় পক্ষের
অন্তত ১০ জন আহত হন।
গ্র্যান্ড তাজ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার শাহীন বলেন,
কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি
বেঁধে যায়। পার্টি সেন্টারেও ভাঙচুর চালিয়েছে তারা।
তবে, তাদের কেনো কর্মচারী আহত হননি বলে তিনি
জানান।
বিএনপি নেতা ও নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন
বলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন
মাহমুদের গ্রুপ বিএনপির ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে
পকেট কমিটি করার চেষ্টা করছে। ওই সময় রাজপথে
থাকা নেতারা বিরোধীতা করলে মামুন মাহমুদের
অনুসারী নেতা নিয়াজুল অতর্কিতভাবে ত্যাগী
নেতাদের উপর হামলা শুরু করে এবং দারোয়ানকে
মারধর ও রেস্টুরেন্টের ভিতর ডুকে ভাড্ডুর করে।
পরে তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম
রবি জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। এই
ঘটনার পর সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ জানান, ওরা গত
নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, আওয়ামী লীগ
ঘেঁষা। পরিকল্পিতভাবে সম্মেলনকে পন্ড করতে
আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা
করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর
রহমান জানান, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ একটি
প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে নিজেদের মধ্যে সমস্যা
থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।