ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

নষ্ট নারী হতে সাবধান

এম.এস. উল্ল্যাহ – সাবেক কোম্পানী সার্জেন্ট মেজর (বিএনসিসি) ঃ ইসলাম মতে নারী ঃ ইসলাম ধর্মে সৃষ্টি-শক্তি-সামর্থ্য গত দিক বিবেচনা করে নারী-পুরুষের আলাদা বৈশিষ্ট্যের গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। নারীদের কিছু কর্ম আছে যাহা তাদের জন্যই মানায়। আবার পুরুষের কিছু কাজ আছে যা তাদের জন্যই বিশেষ। এক জনের অধিকারের উপর অন্যের অনুপ্রবেশ যাবতীয় সাংসারিক ভারসাম্যে ব্যঘাত ঘটাবে। একদা নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক নারীকে লক্ষ্য করে বলেন, “ওহে নারী তুমি ফিরে যাও এবং তোমার পিছনের সকল নারীকে জানিয়ে দাও- তোমাদের নিজ স্বামীর সাথে ভালভাবে সংসার করা, স্বামীর সন্তুষ্ঠির জন্য চেষ্টা করা এবং তার মতামত অনুসরণ করা উৎকৃষ্ট ইবাদতের সমান” – অন্য একটি বর্ণনায় – একদা জনৈক নারী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে আরজ করলো যে, হে আল্লাহর রাসুল, আল্লাহর পথে জিহাদ করে পুরুষরা সমুদয় সম্মান নিয়ে যাচ্ছে। তবে নারীদের কোন আমল নেই যে যা দ্বারা তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মত ছওয়াব পাওয়া যাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, তোমরা আন্তরিকতার সহিত নিজ গৃহের পরিচর্যায় লিপ্ত থাকলে আল্লাহ্ধসঢ়;র পথে জিহাদকারীর সমান ছওয়াব পাবে। বিধবা এবং অভাবী মিসকীনদের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট ব্যক্তি আল্লাহ্ধসঢ়;র পথে জিহাদকারীদের সম মর্যাদা লাভ করবে। নারী গৃহ থেকে বের হলে সমস্ত শরীর কাপড় দ্বারা আবৃত করা ওয়াজিব। তার সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে – দৃষ্টি রাখতে হবে ঢাকার কাপড়টি যেন অবশ্যই সৌন্দর্য না হয় এবং কাপড়টি যেন মোটা, প্রসস্ত, ঢিলা এবং সংকীর্ণ হবে না এবং আতর ও সুগন্ধি মিশ্রিত না হয়। কোন নারী যদি জানে রাস্তায় পর পুরুষ আছে তবে বাহিরে যাওয়ার সময় আতর-সুগন্ধি মাখা হারাম তার এ আচরণের জন্য ব্যভিচারীনী হিসাবে গণ্য হবে। স্বামীর আনুগত্য করা নারী ওয়াজিব। স্ত্রীকে যদি বিছানায় আহ্বান জানান – যদি সেই স্ত্রী তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে অতঃপর স্বামী রাগান্বিত হয়ে রাত কাটায় ফেরেস্তাগণ সে স্ত্রীকে অভিশাপ দিতে থাকে। এছাড়া পবিত্রাবস্থায় যে নারীকে তালাক দেওয়া হয়েছে – তার ইদ্দত হচ্ছে তিন মাস। তালাকের ইদ্দত পালনকারীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে স্বামীর কাছে থাকা। এ অবস্থায় স্বামী তার যে কোন অঙ্গসহ নির্জনে চাইলে তাও জায়েজ আছে। হয়তো তাদের মধ্যে পুনরায় মিলবন্ধন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে- আমি তোমাকে ফেরত নিলাম এবং তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়। ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই। কারণহীনভাবে স্ত্রী স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া হারাম। একজন নারী বিনা কারণে স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া হারাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন যে, নারী কোন অসুবিধা ছাড়াই স্বামীর নিকট তালাক চায়, তার জন্য সে নারী জান্নাতে সু-ঘ্রাণ হারাম (আবু দাউদ)। স্বামীর অনুসরণ করা নারীর ওয়াজিব। বর্তমান সমাজের আংশিক নারীদের বাস্তবতার সার সংক্ষেপ প্রদর্শনের চেষ্টা করছি – বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৮ বৎসর হলে একজন সাবালক বলে গণ্য – তখন পরিবারের গার্জিয়ান বিভিন্ন পরিবার থেকে মেয়ের বিবাহ সংক্রান্ত প্রস্তাব আসতে থাকে তখন ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষের গার্জিয়ান সর্ব সম্মতিক্রমে উভয়ের বিবাহ কার্য সম্পাদন করে। তখন হতে শুরু হয় এ দাম্পত্য জীবনে থাকতে পারে নানা সুবিধা-অসুবিধা আর এ উভয়টিকে সমন্বয় করে সংসার জীবন পরিচালিত হয়। ইহাই জগতের নিয়ম। কেউ হয়তো সংসারে শুধুমাত্র সুবিধা ভোগ করতে পারে তবে ইহা সর্বক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য হবে না বা কেউ সংসারের সুবিধা-অসুবিধা উভয়টি ধৈর্যের সহিত অতিক্রম করতে পারে। এখানে উল্লেখ্য, আমরা সামাজিক জীব সমাজের সকল শ্রেনীর সমন্বয়ে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় চলতে হয় শুধুমাত্র সমাজের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে। আমি সমাজের আংশিক নারীদের বিষয়ে নিরীক্ষা চালাই যার ফলাফল হলো – নারী মায়ের জাত হিসাবে আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই – তবে সমাজে কিছু সংখ্যক নষ্ট নারীর প্রভাবে নারী সমাজের কলংকের কাল রেখা পড়ছে যা এখন থেকে সমাজের সচেতন মহল সু-দৃষ্টি না দেই তবে ভবিষ্যতে ভয়াবহ রূপ নেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এতে করে সমস্ত নারী সমাজ কলংকিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমাজে কিছু সংখ্যক বিবাহিত নারী রয়েছে তাদের সংখ্যা ৭%। তারা স্বামীর অধীনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অজুহাত করে বাহিরের জগতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে ভালবাসে। তখন এক সময়ে স্বামীর দৃষ্টিগোচরে আসলে এ বিষয়টি থেকে উত্তোলনের সচেষ্ট হয়। কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। নারী তখন উত্তপ্ত হতে থাকে এবং সংসারে শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে ভ্রুক্ষেপ করে না এবং এক পর্যায়ে স্ত্রী তার বাহিরে জগত বলবৎ রাখার স্বার্থে অসহায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় থানায় জিডি এন্ট্রি সহ স্বামীকে ঘায়েল করার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছার স্বার্থে বিভিন্ন ধারায় মিথ্যা মামলা-হামলা সবই করতে থাকে। কারণ তার পিছনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নষ্ট পুরুষও রয়েছে যা এ দূর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে। প্রকৃত ন¤্র-ভদ্র পুরুষগণ কিংকর্তব্যবিমুড় অবস্থায় সমাজের কাছে হয়ে পড়েছে নিরুপায়, অসহায়। তারা স্ত্রীর অভিযোগে থানায় থানায় পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে মান-সম্মান ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হচ্ছে – কোন কোন ক্ষেত্রে চাকুরীও হারাচ্ছে। কিন্তু আবেগের টানে স্ত্রী অন্য নষ্ট পুরুষের হাত ধরতে দ্বিধাবোধ করে না। শেষ পর্যন্ত উদ্ভাবিত সংসার বিধ্বস্ত হচ্ছে এবং সমাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মুক্তি একমাত্র পথ – নষ্ট নারীর বিষয়ে সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে – এ ব্যাপারে পথে ঘাটে লিফলেট, সভা- সেমিনার এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ গণসচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র পথ। এ প্রসঙ্গে অনুসরণীয় যে, অন্তরের অভিষ্ঠ লক্ষ্য নিজের অন্যায় অশুভ পরিণতি হতে মাবুদের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ্ধসঢ়; যাকে হেদায়েত দান করেন তিনিই হেদায়েত প্রাপ্ত হন। আল্লাহ্ধসঢ়; আমাদেরকে এ অশুভ পরিণতি হতে পরিত্রাণ করুন। আমীন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

নষ্ট নারী হতে সাবধান

আপডেট টাইম ০১:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৯

এম.এস. উল্ল্যাহ – সাবেক কোম্পানী সার্জেন্ট মেজর (বিএনসিসি) ঃ ইসলাম মতে নারী ঃ ইসলাম ধর্মে সৃষ্টি-শক্তি-সামর্থ্য গত দিক বিবেচনা করে নারী-পুরুষের আলাদা বৈশিষ্ট্যের গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। নারীদের কিছু কর্ম আছে যাহা তাদের জন্যই মানায়। আবার পুরুষের কিছু কাজ আছে যা তাদের জন্যই বিশেষ। এক জনের অধিকারের উপর অন্যের অনুপ্রবেশ যাবতীয় সাংসারিক ভারসাম্যে ব্যঘাত ঘটাবে। একদা নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক নারীকে লক্ষ্য করে বলেন, “ওহে নারী তুমি ফিরে যাও এবং তোমার পিছনের সকল নারীকে জানিয়ে দাও- তোমাদের নিজ স্বামীর সাথে ভালভাবে সংসার করা, স্বামীর সন্তুষ্ঠির জন্য চেষ্টা করা এবং তার মতামত অনুসরণ করা উৎকৃষ্ট ইবাদতের সমান” – অন্য একটি বর্ণনায় – একদা জনৈক নারী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে আরজ করলো যে, হে আল্লাহর রাসুল, আল্লাহর পথে জিহাদ করে পুরুষরা সমুদয় সম্মান নিয়ে যাচ্ছে। তবে নারীদের কোন আমল নেই যে যা দ্বারা তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মত ছওয়াব পাওয়া যাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, তোমরা আন্তরিকতার সহিত নিজ গৃহের পরিচর্যায় লিপ্ত থাকলে আল্লাহ্ধসঢ়;র পথে জিহাদকারীর সমান ছওয়াব পাবে। বিধবা এবং অভাবী মিসকীনদের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট ব্যক্তি আল্লাহ্ধসঢ়;র পথে জিহাদকারীদের সম মর্যাদা লাভ করবে। নারী গৃহ থেকে বের হলে সমস্ত শরীর কাপড় দ্বারা আবৃত করা ওয়াজিব। তার সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে – দৃষ্টি রাখতে হবে ঢাকার কাপড়টি যেন অবশ্যই সৌন্দর্য না হয় এবং কাপড়টি যেন মোটা, প্রসস্ত, ঢিলা এবং সংকীর্ণ হবে না এবং আতর ও সুগন্ধি মিশ্রিত না হয়। কোন নারী যদি জানে রাস্তায় পর পুরুষ আছে তবে বাহিরে যাওয়ার সময় আতর-সুগন্ধি মাখা হারাম তার এ আচরণের জন্য ব্যভিচারীনী হিসাবে গণ্য হবে। স্বামীর আনুগত্য করা নারী ওয়াজিব। স্ত্রীকে যদি বিছানায় আহ্বান জানান – যদি সেই স্ত্রী তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে অতঃপর স্বামী রাগান্বিত হয়ে রাত কাটায় ফেরেস্তাগণ সে স্ত্রীকে অভিশাপ দিতে থাকে। এছাড়া পবিত্রাবস্থায় যে নারীকে তালাক দেওয়া হয়েছে – তার ইদ্দত হচ্ছে তিন মাস। তালাকের ইদ্দত পালনকারীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে স্বামীর কাছে থাকা। এ অবস্থায় স্বামী তার যে কোন অঙ্গসহ নির্জনে চাইলে তাও জায়েজ আছে। হয়তো তাদের মধ্যে পুনরায় মিলবন্ধন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে- আমি তোমাকে ফেরত নিলাম এবং তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়। ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই। কারণহীনভাবে স্ত্রী স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া হারাম। একজন নারী বিনা কারণে স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া হারাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন যে, নারী কোন অসুবিধা ছাড়াই স্বামীর নিকট তালাক চায়, তার জন্য সে নারী জান্নাতে সু-ঘ্রাণ হারাম (আবু দাউদ)। স্বামীর অনুসরণ করা নারীর ওয়াজিব। বর্তমান সমাজের আংশিক নারীদের বাস্তবতার সার সংক্ষেপ প্রদর্শনের চেষ্টা করছি – বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৮ বৎসর হলে একজন সাবালক বলে গণ্য – তখন পরিবারের গার্জিয়ান বিভিন্ন পরিবার থেকে মেয়ের বিবাহ সংক্রান্ত প্রস্তাব আসতে থাকে তখন ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষের গার্জিয়ান সর্ব সম্মতিক্রমে উভয়ের বিবাহ কার্য সম্পাদন করে। তখন হতে শুরু হয় এ দাম্পত্য জীবনে থাকতে পারে নানা সুবিধা-অসুবিধা আর এ উভয়টিকে সমন্বয় করে সংসার জীবন পরিচালিত হয়। ইহাই জগতের নিয়ম। কেউ হয়তো সংসারে শুধুমাত্র সুবিধা ভোগ করতে পারে তবে ইহা সর্বক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য হবে না বা কেউ সংসারের সুবিধা-অসুবিধা উভয়টি ধৈর্যের সহিত অতিক্রম করতে পারে। এখানে উল্লেখ্য, আমরা সামাজিক জীব সমাজের সকল শ্রেনীর সমন্বয়ে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় চলতে হয় শুধুমাত্র সমাজের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে। আমি সমাজের আংশিক নারীদের বিষয়ে নিরীক্ষা চালাই যার ফলাফল হলো – নারী মায়ের জাত হিসাবে আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই – তবে সমাজে কিছু সংখ্যক নষ্ট নারীর প্রভাবে নারী সমাজের কলংকের কাল রেখা পড়ছে যা এখন থেকে সমাজের সচেতন মহল সু-দৃষ্টি না দেই তবে ভবিষ্যতে ভয়াবহ রূপ নেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এতে করে সমস্ত নারী সমাজ কলংকিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমাজে কিছু সংখ্যক বিবাহিত নারী রয়েছে তাদের সংখ্যা ৭%। তারা স্বামীর অধীনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অজুহাত করে বাহিরের জগতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে ভালবাসে। তখন এক সময়ে স্বামীর দৃষ্টিগোচরে আসলে এ বিষয়টি থেকে উত্তোলনের সচেষ্ট হয়। কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। নারী তখন উত্তপ্ত হতে থাকে এবং সংসারে শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে ভ্রুক্ষেপ করে না এবং এক পর্যায়ে স্ত্রী তার বাহিরে জগত বলবৎ রাখার স্বার্থে অসহায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় থানায় জিডি এন্ট্রি সহ স্বামীকে ঘায়েল করার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছার স্বার্থে বিভিন্ন ধারায় মিথ্যা মামলা-হামলা সবই করতে থাকে। কারণ তার পিছনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নষ্ট পুরুষও রয়েছে যা এ দূর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে। প্রকৃত ন¤্র-ভদ্র পুরুষগণ কিংকর্তব্যবিমুড় অবস্থায় সমাজের কাছে হয়ে পড়েছে নিরুপায়, অসহায়। তারা স্ত্রীর অভিযোগে থানায় থানায় পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে মান-সম্মান ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হচ্ছে – কোন কোন ক্ষেত্রে চাকুরীও হারাচ্ছে। কিন্তু আবেগের টানে স্ত্রী অন্য নষ্ট পুরুষের হাত ধরতে দ্বিধাবোধ করে না। শেষ পর্যন্ত উদ্ভাবিত সংসার বিধ্বস্ত হচ্ছে এবং সমাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মুক্তি একমাত্র পথ – নষ্ট নারীর বিষয়ে সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে – এ ব্যাপারে পথে ঘাটে লিফলেট, সভা- সেমিনার এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ গণসচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র পথ। এ প্রসঙ্গে অনুসরণীয় যে, অন্তরের অভিষ্ঠ লক্ষ্য নিজের অন্যায় অশুভ পরিণতি হতে মাবুদের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ্ধসঢ়; যাকে হেদায়েত দান করেন তিনিই হেদায়েত প্রাপ্ত হন। আল্লাহ্ধসঢ়; আমাদেরকে এ অশুভ পরিণতি হতে পরিত্রাণ করুন। আমীন।