ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নিয়ে নানা বির্তক দ্রুত সমাধান চায় সাধারণ মুসল্লী ও এলাকাবাসী বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত রানীশংকৈল মডেল স্কুলের আলোচিত ধীরেন্দ্রনাথ সহ ৪ শিক্ষক বদলি । কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রীর কারাদন্ড টাঙ্গাইলে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা, যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনের সাথেও জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠি ও প্রক্টরের ২জনের রিমান্ড মঞ্জুর। “পাঁচ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন” যুবলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে.. দিদারুল ইসলাম চৌধুরী দুমকিতে ১২ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাবের ফাঁদে পলায়নরত ধর্ষক আটক। সন্তানের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে লক্ষ্মীপুরে পঙ্গু বাবার আকুতি

নবীনগরে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনে চোখের পলকে বাস্তুহারা ৩০ পরিবার, ইউএনওর সহায়তা-

মোঃখলিলুর রহমান
জেলা প্রতিনিধি .
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, গত শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও চরলাপাং গ্রামে চোখের পলকে প্রায় ৩০ টি বাড়ি ঘর ও ঘরের ভিতর থাকা ধান, চাউল, আসবাবপত্রসহ সকল মালামাল মেঘনার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে এক কাপড় নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে কোন রকমে জীবন বাঁচিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় বাসিন্দা খায়েস মিয়া জানান, শনিবার সকালে ঘরে খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই নিজ নিজ কাজে যাচ্ছিলাম এমন সময় ঘরটা নদীতে ভেঙ্গে পড়ে যায়। তখন আমরা সবাই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ি, আমাদের ঘরে থাকা মালামাল উদ্ধার করার চেষ্টা করি কিন্তু কোনকিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আধা ঘন্টার ব্যবধানে এইখানে থাকা বিশ ত্রিশটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানান, জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল সিদ্দিক চরলাপাং গ্রামে রবিবার বিকেলে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ২৫টি পরিবার কে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল সিদ্দিক জানান, ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে যতটূকু সম্ভব বাড়ি ঘর রক্ষা করা যায় তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নিয়ে নানা বির্তক দ্রুত সমাধান চায় সাধারণ মুসল্লী ও এলাকাবাসী

নবীনগরে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনে চোখের পলকে বাস্তুহারা ৩০ পরিবার, ইউএনওর সহায়তা-

আপডেট টাইম ০৬:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

মোঃখলিলুর রহমান
জেলা প্রতিনিধি .
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, গত শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও চরলাপাং গ্রামে চোখের পলকে প্রায় ৩০ টি বাড়ি ঘর ও ঘরের ভিতর থাকা ধান, চাউল, আসবাবপত্রসহ সকল মালামাল মেঘনার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে এক কাপড় নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে কোন রকমে জীবন বাঁচিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় বাসিন্দা খায়েস মিয়া জানান, শনিবার সকালে ঘরে খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই নিজ নিজ কাজে যাচ্ছিলাম এমন সময় ঘরটা নদীতে ভেঙ্গে পড়ে যায়। তখন আমরা সবাই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ি, আমাদের ঘরে থাকা মালামাল উদ্ধার করার চেষ্টা করি কিন্তু কোনকিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আধা ঘন্টার ব্যবধানে এইখানে থাকা বিশ ত্রিশটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানান, জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল সিদ্দিক চরলাপাং গ্রামে রবিবার বিকেলে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ২৫টি পরিবার কে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল সিদ্দিক জানান, ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে যতটূকু সম্ভব বাড়ি ঘর রক্ষা করা যায় তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।