মোঃখলিলুর রহমান
জেলা প্রতিনিধি .
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, গত শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও চরলাপাং গ্রামে চোখের পলকে প্রায় ৩০ টি বাড়ি ঘর ও ঘরের ভিতর থাকা ধান, চাউল, আসবাবপত্রসহ সকল মালামাল মেঘনার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে এক কাপড় নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে কোন রকমে জীবন বাঁচিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় বাসিন্দা খায়েস মিয়া জানান, শনিবার সকালে ঘরে খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই নিজ নিজ কাজে যাচ্ছিলাম এমন সময় ঘরটা নদীতে ভেঙ্গে পড়ে যায়। তখন আমরা সবাই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ি, আমাদের ঘরে থাকা মালামাল উদ্ধার করার চেষ্টা করি কিন্তু কোনকিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আধা ঘন্টার ব্যবধানে এইখানে থাকা বিশ ত্রিশটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানান, জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল সিদ্দিক চরলাপাং গ্রামে রবিবার বিকেলে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ২৫টি পরিবার কে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল সিদ্দিক জানান, ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে যতটূকু সম্ভব বাড়ি ঘর রক্ষা করা যায় তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।