মোঃ খলিলুর রহমান জেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খাস জমি উদ্ধারে ইতিবাচক প্রশংসনীয় আলোচনার শিরোনাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন। সরকারি খাস জমি উদ্ধারে তিনি দিনরাত ছুটে বেড়ান উপজেলার এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
সম্প্রতি তিনি রতনপুর ইউনিয়নের ভিটি বিশাড়া মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ৫৬৩ দাগের ৪৯ শতক নাল জমি অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে উদ্ধার করেছেন। উক্ত জায়গাটি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘদিন নিজেদের দখলে রেখেছিল। খাস খতিয়ানের ৩০ লক্ষ টাকার মূল্যমান এই জমিটি সরকারের পক্ষে দখল নিয়ে লাল পতাকা উত্তোলন করেন।
এছাড়া তিনি সম্প্রতিকালে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর মৌজায় ৭৫ শতক জায়গা উদ্ধার করেন। বর্তমানে এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৫টি ঘরের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। তিনি তিতাস নদীর পাড় রক্ষায় বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নদীর তীর থেকে নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করে নদীর তীর রক্ষা করেন।
তিনি শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া মৌজার ৪৯ শতক খেলার মাঠ উদ্ধার করে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন। পরিশ্রমী এই মানুষটি যেখানেই অভিযোগ পান, সেখানেই ছুটে যান।
খাস জমি উদ্ধারের বিষয়ে তাঁর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, নবীনগর উপজেলার ১৬১ টি মৌজার খাস ও অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ প্রকাশিত বি.এস. খতিয়ানের সাথে এস.এ. ও সি.এস. খতিয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কোথাও গড়মিল হলেই দেওয়ানি আদালতে মামলা রুজু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি নবীনগরের সকলের উদ্দেশ্যে বলেন কোথাও খাস জমি বেদখল হয়ে থাকলে উপজেলা ভূমি অফিস সচিত্র তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করেন এবং সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
সহকারী কমিশনার ভূমি নবীনগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেকেই বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে নজর দিয়েছেন।ভূমি অফিসের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধি করে সর্ব মহলে প্রশংসায় ভাসছেন।