ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নবীনগরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত তরুণ প্রার্থীরা

মোঃ খলিলুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি দৈনিক মাতৃভূমির খবরঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পাড় করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। ২১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার সমন্বয়ে নবীনগর পৌরসভা। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন সাংসদ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের সময়ে ১৮ টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয় লাভ করেন। বীরগাঁও ও নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী জয় লাভ করে। শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ধানের শীর্ষ প্রতিক নিয়ে জয় লাভ করেন। প্রতিটি ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন পেতে তরুন প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা ও সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীদের মাঠে প্রচার প্রচারনা নেই বললেই চলে। নবীনগর সদরের পূর্ব এলাকার নৌকার ঘাটি বলে পরিচিত বিটঘর ইউনিয়ন। বিটঘর ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আজাদ। আজাদ বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট আব্দুল হাই। তিনি বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে এসএসসি পাশ করে নবীনগর সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৩-৯৪ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে এজিএস পদে মনোনয়ন পেয়ে এজি এস পদে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। আজাদ নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিটঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সাধারন সম্পাদক। তিনি ১৯৮৭ সালের ১২ ফেব্রæয়ারীতে বিটঘর হাই স্কুলে উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ভিপি আক্তারের উপস্থিতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ২০০৯ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তিনি এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি শহীদ সন্তান’৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। তিনি ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি গত নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন, পরে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে নৌকার প্রার্থীকে জয়লাভ করান। তিনি বলেন, আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়যুক্ত হতে পারলে বিটঘর ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন। আজাদ বলেন আমি মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমন করেছি। কিভাবে উন্নত দেশে মডেল ভিলেজ করা হয়েছে আমি তা নিজে দেখে এসেছি। আমি নির্বাচিত হলে বিটঘর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামকে মডেল ভিলেজে রুপান্তরিত করব। তিনি বলেন আমি বিটঘর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করব। নবীনগর সদরের নিকটবর্তী ইউনিয়ন ঐতিহ্যবাহী রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন। সদরের নিকটবর্তী হওয়ায় এ ইউনিয়ন এর গুরুত্ব বেশি। রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আলমগীর হোসেন শিপন। আলমগীর হোসেন ১৯৭৩ সালে রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। তিনি রসুল্লাবাদ ইউ. এ. খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ করে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের ময়নার বাগ ইউনিট শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি তৎকালীন গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। আলমগীর হোসেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্যের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। তিনি রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক। তিনি ২০০৪ সাল থেকে দলের দুর্দিনে দীর্ঘ তের বছর ইউনিয়ন আওয়ামীিলীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। তিনি লহুরী শেখ রাছেল স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। তিনি কালঘরা বাজার জামে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক। তিনি রসুল্লাবাদ দাখিল মাদ্রাসার বিদুৎসাহী সদস্য। আলমগীর হোসেন এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যাবধানে পরাজয় বরন করেন। তিনি বলেন, এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসে, আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়ী হতে পারলে রসুল্লাবাদ ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করব। সকল দলের লোকজনকে নিয়ে উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে যাব। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করে রসুল্লাবাদ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব ইনশাল্লাহ। নবীনগর সদরের পশ্চিম এলাকার নৌকার ঘাটি বলে পরিচিত শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন। শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সামছুজ্জামান খান মাসুম। তিনি শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নূরুল কবির খান (মোছা খান)। মাসুম শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। ঢাকা মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে তিনি এইচ এস সি পাশ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অনার্স ও মাষ্টার্স ডিগ্রী গ্রহন করেন। মাসুম ২০০৬ সালে মিরপুর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে শ্রম ও মেধা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে আসেন। পরবর্তিতে তিনি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ২০১২ সালে ৩রা অক্টোবর মাসুমকে মিরপুর বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পুণরায় ১ম সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ছাত্র রাজনীতির ইতি টানেন। উল্লেখ্য যে, তিনি ২০০৭ সালে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব নিয়ে তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খায়ের ও সম্পাদক রিপনকে সুন্দর একটি সম্মেলন উপহার দিয়ে নতুন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যা তরুনদের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য। তিনি এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে ও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি জামান কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার সাংগঠনিক যোগ্যতা, শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে আমাকে নৌকা প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে, আমি আশা রাখি আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়যুক্ত হতে পারলে, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে থেকে নীতির পথে চলে, নিজের বিচার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আমি শ্যামগ্রাম ইউনিয়নকে একটি সুস্থ সুন্দর ও পরিবেশ বান্ধব ইউনিয়নে উন্নীতকরণে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আমার দেশের ভিতরে বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করার সুযোগ হয়েছে। আমি সেসব জায়গা থেকে শিখেছি এবং জেনেছি, কিভাবে গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ করতে হয়। তিনি বলেন, আমি শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তামূলক মনোভাব গঠনে সেই সাথে স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েদের সৃজনশীলতা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করব ইনশাআল্লাহ। নবীনগর সদরের নিকটবর্তী ইউনিয়ন ঐহিয্যবাহী জিনদপুর ইউনিয়ন। উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র ও নিকটবর্তী হওয়ায় এ ইউনিয়নের গুরুত্ব অনেক বেশি। এই ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমান ১৯৭৭ সালে মালাই গ্রামের (সাহেব বাড়ীর) এক স¤্র¢ান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম জনাব মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান তিনিও আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। শেখ হাফিজুর রহমান ১৯৯৩ সালে ফতেহপুর কেজি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পাশ করে নবীনগর সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাহিত্য পত্র সম্পাদক। শেখ হাফিজুর রহমান নবীনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সারা জাগানো সংগঠন (মোশারফ-হাবিব) কমিটির অন্যতম সদস্য হিসাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিনদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে দলের দুর্দিনে দীর্ঘ তেইশ বছর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে তিনি নবীনগর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাফিজ বর্তমানে মালাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি। শেখ হাফিজুর রহমান বলেন মালাই সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, ঈদগাহ, কবরস্থান, ও মসজিদ আমার দাদা মান্ধসঢ়;জু মিয়া সাহেব ও নান্নু মিয়া সাহেব দিয়ে গেছেন, আমি ও আমার বাপ/দাদার আদর্শ নিয়ে জিনদপুর ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চাই। শেখ হাফিজুর রহমান এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে ও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ২০১৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বলেন এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসে।তিনি বলেন আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোক জন আমাকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবেন। আমি জয় যুক্ত হতে পারলে জিনদপুর ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করব। সকল দলের লোকজন কে নিয়ে উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে যাব। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব ইনশাআল্লাহ। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা যুবলীগ নেতা মোঃ মোস্তফা জামান। তিনি ইব্রাহিমপুরের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম মনু মিয়া। তিনি ১৯৯৬ সালে সালে স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি হায়দাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি বর্তমানে নবীনগর ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তিনি ইব্রাহিমপুর উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজেও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তিনি সব সময় অসহায় লোকের পাশে গিয়ে আর্থিক সহযোগিতা বিতরণ করেন। তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে সর্বদা ভূমিকা রেখেছি। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বলেন আমি ১৯৯৬ সাল আজ পর্যন্ত প্রতিটি সংসদ, উপজেলা, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। তিনি বলেন আমি আমার দলের প্রতিটি নির্বাচনেই নিজ অর্থে নির্বাচনী ব্যয়ও করেছি। আমি দলের দুর্দিনে উপজেলা নেতৃবৃন্দের ডাকে সর্বদা সংক্রিয় ভাবে রাজনীতি করেছি। তিনি রুপসী বিল্ডার্স লিঃ এর চেয়ারম্যান। আশাকরি দলের হাইকমান্ড আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে বিবেচনা করবে। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার শিক্ষা, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। ইভটিজিং মুক্ত ও মাদক মুক্ত ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব। নবীনগর পূর্ব এলাকার ঐতিহ্যবাহী নাটঘর ইউনিয়ন। জেলা সদরের নিকটবর্তী হওয়ায় এই ইউনিয়নের গুরুত্ব বেশি। এই ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম। আলম ১৯৮০ সালে নাটঘর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত আব্দুল গফুর মিয়া। তিনি নাটঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আলম নাটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের চার বারের সভাপতি। এখনো তিনি সফলতার সাথে এ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ম যুগ্ম সম্পাদক। এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কালাচান সরকার ও সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান পরলোক গমন করায় যাবতীয় রাজনৈতিক দায়িত্ব ও কর্মকান্ড আলমকেই পালন করতে হয়। আলম নাটঘর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি। আলম নাটঘর হাই স্কুল মার্কেটের সভাপতি। আলম গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু আলাউদ্দীনের চেরাগের ন্যায় কোনদিন আওয়ামীলীগ না করেও মনোনয়ন পেয়ে যান ডাঃ কাশেম। তিনি তৎকালিন সাংসদ ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের নির্দেশে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করেন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আলম নৌকাকে জয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আলম বলেন, আমি এবার আশাবাদী আমার দীর্ঘ দিনের শ্রমকে উপজেলা আওয়ামীলীগ মূল্যায়ন করবে। আলম এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বলেন, এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসে। তিনি বলেন আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়যুক্ত হতে পারলে নাটঘর ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করব। সকল দলের লোকজন কে নিয়ে উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে যাব। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব ইনশাআল্লাহ। নবীনগরের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাতমোড়া। সাতমোড়া ইউনিয়ন থেকে নৌকার মনোনয়নের জন্য প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে সাবেক ছাত্রনেতা আবু নেছার। আবু নেছার ১৯৭৩ সালে সাতমোড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মোঃ আবুল হাশেম। তিনি ১৯৮৮ সালে সাতমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে শ্রীকাইল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সাতমোড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সাতমোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান সভাপতি। তিনি সাতমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি। তিনি সাতমোড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ইতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি এতিমদের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন। তিনি ১৯৯৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রলীগ শাখার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। তিনি গত নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছিলেন। দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকার জয় তুলে নেন। তিনি এবার মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন আমার শ্রম ও মেধাকে দল মূল্যায়ন করবে বলে আশা রাখি। আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে ইনশাল্লাহ। আমি চেয়ারম্যান হতে পারলে এলাকাকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করব। এলাকার শিক্ষা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করব। বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা আনিছু জামান রাজ। তিনি বড়াইল ইউনিয়নের গৌসাইপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আবুল খায়েস মিয়া। তিনি কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল থেকে ২০০৪ সালে এস এস সি পাশ করেন। তিনি বড়াইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি আইন ও মানব অধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজেও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তিনি করোনাকালীন সময়ে এলাকার অসংখ্য মানুষজনকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে সর্বদা ভূমিকা রেখেছি। আশা করি দলের হাইকমান্ড আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে বিবেচনা করবে। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার শিক্ষা, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। ইভটিজিং, মাদক, চোর ও ডাকাত মুক্ত ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

নবীনগরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত তরুণ প্রার্থীরা

আপডেট টাইম ১১:০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

মোঃ খলিলুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি দৈনিক মাতৃভূমির খবরঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পাড় করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। ২১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার সমন্বয়ে নবীনগর পৌরসভা। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন সাংসদ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের সময়ে ১৮ টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয় লাভ করেন। বীরগাঁও ও নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী জয় লাভ করে। শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ধানের শীর্ষ প্রতিক নিয়ে জয় লাভ করেন। প্রতিটি ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন পেতে তরুন প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা ও সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীদের মাঠে প্রচার প্রচারনা নেই বললেই চলে। নবীনগর সদরের পূর্ব এলাকার নৌকার ঘাটি বলে পরিচিত বিটঘর ইউনিয়ন। বিটঘর ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আজাদ। আজাদ বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট আব্দুল হাই। তিনি বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে এসএসসি পাশ করে নবীনগর সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৩-৯৪ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে এজিএস পদে মনোনয়ন পেয়ে এজি এস পদে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। আজাদ নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিটঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সাধারন সম্পাদক। তিনি ১৯৮৭ সালের ১২ ফেব্রæয়ারীতে বিটঘর হাই স্কুলে উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ভিপি আক্তারের উপস্থিতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ২০০৯ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তিনি এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি শহীদ সন্তান’৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। তিনি ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি গত নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন, পরে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে নৌকার প্রার্থীকে জয়লাভ করান। তিনি বলেন, আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়যুক্ত হতে পারলে বিটঘর ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন। আজাদ বলেন আমি মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমন করেছি। কিভাবে উন্নত দেশে মডেল ভিলেজ করা হয়েছে আমি তা নিজে দেখে এসেছি। আমি নির্বাচিত হলে বিটঘর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামকে মডেল ভিলেজে রুপান্তরিত করব। তিনি বলেন আমি বিটঘর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করব। নবীনগর সদরের নিকটবর্তী ইউনিয়ন ঐতিহ্যবাহী রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন। সদরের নিকটবর্তী হওয়ায় এ ইউনিয়ন এর গুরুত্ব বেশি। রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আলমগীর হোসেন শিপন। আলমগীর হোসেন ১৯৭৩ সালে রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। তিনি রসুল্লাবাদ ইউ. এ. খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ করে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের ময়নার বাগ ইউনিট শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি তৎকালীন গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। আলমগীর হোসেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্যের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। তিনি রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক। তিনি ২০০৪ সাল থেকে দলের দুর্দিনে দীর্ঘ তের বছর ইউনিয়ন আওয়ামীিলীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। তিনি লহুরী শেখ রাছেল স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। তিনি কালঘরা বাজার জামে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক। তিনি রসুল্লাবাদ দাখিল মাদ্রাসার বিদুৎসাহী সদস্য। আলমগীর হোসেন এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যাবধানে পরাজয় বরন করেন। তিনি বলেন, এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসে, আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়ী হতে পারলে রসুল্লাবাদ ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করব। সকল দলের লোকজনকে নিয়ে উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে যাব। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করে রসুল্লাবাদ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব ইনশাল্লাহ। নবীনগর সদরের পশ্চিম এলাকার নৌকার ঘাটি বলে পরিচিত শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন। শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সামছুজ্জামান খান মাসুম। তিনি শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নূরুল কবির খান (মোছা খান)। মাসুম শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। ঢাকা মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে তিনি এইচ এস সি পাশ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অনার্স ও মাষ্টার্স ডিগ্রী গ্রহন করেন। মাসুম ২০০৬ সালে মিরপুর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে শ্রম ও মেধা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে আসেন। পরবর্তিতে তিনি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ২০১২ সালে ৩রা অক্টোবর মাসুমকে মিরপুর বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পুণরায় ১ম সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ছাত্র রাজনীতির ইতি টানেন। উল্লেখ্য যে, তিনি ২০০৭ সালে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব নিয়ে তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খায়ের ও সম্পাদক রিপনকে সুন্দর একটি সম্মেলন উপহার দিয়ে নতুন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যা তরুনদের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য। তিনি এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে ও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি জামান কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার সাংগঠনিক যোগ্যতা, শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে আমাকে নৌকা প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে, আমি আশা রাখি আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়যুক্ত হতে পারলে, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে থেকে নীতির পথে চলে, নিজের বিচার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আমি শ্যামগ্রাম ইউনিয়নকে একটি সুস্থ সুন্দর ও পরিবেশ বান্ধব ইউনিয়নে উন্নীতকরণে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আমার দেশের ভিতরে বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করার সুযোগ হয়েছে। আমি সেসব জায়গা থেকে শিখেছি এবং জেনেছি, কিভাবে গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ করতে হয়। তিনি বলেন, আমি শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তামূলক মনোভাব গঠনে সেই সাথে স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েদের সৃজনশীলতা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করব ইনশাআল্লাহ। নবীনগর সদরের নিকটবর্তী ইউনিয়ন ঐহিয্যবাহী জিনদপুর ইউনিয়ন। উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র ও নিকটবর্তী হওয়ায় এ ইউনিয়নের গুরুত্ব অনেক বেশি। এই ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমান ১৯৭৭ সালে মালাই গ্রামের (সাহেব বাড়ীর) এক স¤্র¢ান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম জনাব মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান তিনিও আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। শেখ হাফিজুর রহমান ১৯৯৩ সালে ফতেহপুর কেজি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পাশ করে নবীনগর সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাহিত্য পত্র সম্পাদক। শেখ হাফিজুর রহমান নবীনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সারা জাগানো সংগঠন (মোশারফ-হাবিব) কমিটির অন্যতম সদস্য হিসাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিনদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে দলের দুর্দিনে দীর্ঘ তেইশ বছর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে তিনি নবীনগর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাফিজ বর্তমানে মালাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি। শেখ হাফিজুর রহমান বলেন মালাই সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, ঈদগাহ, কবরস্থান, ও মসজিদ আমার দাদা মান্ধসঢ়;জু মিয়া সাহেব ও নান্নু মিয়া সাহেব দিয়ে গেছেন, আমি ও আমার বাপ/দাদার আদর্শ নিয়ে জিনদপুর ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চাই। শেখ হাফিজুর রহমান এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে ও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ২০১৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বলেন এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসে।তিনি বলেন আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোক জন আমাকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবেন। আমি জয় যুক্ত হতে পারলে জিনদপুর ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করব। সকল দলের লোকজন কে নিয়ে উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে যাব। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব ইনশাআল্লাহ। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা যুবলীগ নেতা মোঃ মোস্তফা জামান। তিনি ইব্রাহিমপুরের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম মনু মিয়া। তিনি ১৯৯৬ সালে সালে স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি হায়দাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি বর্তমানে নবীনগর ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তিনি ইব্রাহিমপুর উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজেও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তিনি সব সময় অসহায় লোকের পাশে গিয়ে আর্থিক সহযোগিতা বিতরণ করেন। তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে সর্বদা ভূমিকা রেখেছি। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বলেন আমি ১৯৯৬ সাল আজ পর্যন্ত প্রতিটি সংসদ, উপজেলা, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। তিনি বলেন আমি আমার দলের প্রতিটি নির্বাচনেই নিজ অর্থে নির্বাচনী ব্যয়ও করেছি। আমি দলের দুর্দিনে উপজেলা নেতৃবৃন্দের ডাকে সর্বদা সংক্রিয় ভাবে রাজনীতি করেছি। তিনি রুপসী বিল্ডার্স লিঃ এর চেয়ারম্যান। আশাকরি দলের হাইকমান্ড আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে বিবেচনা করবে। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার শিক্ষা, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। ইভটিজিং মুক্ত ও মাদক মুক্ত ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব। নবীনগর পূর্ব এলাকার ঐতিহ্যবাহী নাটঘর ইউনিয়ন। জেলা সদরের নিকটবর্তী হওয়ায় এই ইউনিয়নের গুরুত্ব বেশি। এই ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়নের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম। আলম ১৯৮০ সালে নাটঘর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত আব্দুল গফুর মিয়া। তিনি নাটঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আলম নাটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের চার বারের সভাপতি। এখনো তিনি সফলতার সাথে এ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ম যুগ্ম সম্পাদক। এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কালাচান সরকার ও সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান পরলোক গমন করায় যাবতীয় রাজনৈতিক দায়িত্ব ও কর্মকান্ড আলমকেই পালন করতে হয়। আলম নাটঘর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি। আলম নাটঘর হাই স্কুল মার্কেটের সভাপতি। আলম গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু আলাউদ্দীনের চেরাগের ন্যায় কোনদিন আওয়ামীলীগ না করেও মনোনয়ন পেয়ে যান ডাঃ কাশেম। তিনি তৎকালিন সাংসদ ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের নির্দেশে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করেন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আলম নৌকাকে জয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আলম বলেন, আমি এবার আশাবাদী আমার দীর্ঘ দিনের শ্রমকে উপজেলা আওয়ামীলীগ মূল্যায়ন করবে। আলম এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বলেন, এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসে। তিনি বলেন আমি আশা করি নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ আমার শ্রম, ত্যাগকে মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতিকে মনোনিত করবেন। আর আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়যুক্ত হতে পারলে নাটঘর ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করব। সকল দলের লোকজন কে নিয়ে উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে যাব। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব ইনশাআল্লাহ। নবীনগরের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাতমোড়া। সাতমোড়া ইউনিয়ন থেকে নৌকার মনোনয়নের জন্য প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে সাবেক ছাত্রনেতা আবু নেছার। আবু নেছার ১৯৭৩ সালে সাতমোড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মোঃ আবুল হাশেম। তিনি ১৯৮৮ সালে সাতমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে শ্রীকাইল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সাতমোড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সাতমোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান সভাপতি। তিনি সাতমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি। তিনি সাতমোড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ইতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি এতিমদের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন। তিনি ১৯৯৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রলীগ শাখার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। তিনি গত নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছিলেন। দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকার জয় তুলে নেন। তিনি এবার মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন আমার শ্রম ও মেধাকে দল মূল্যায়ন করবে বলে আশা রাখি। আমি মনোনয়ন পেলে এলাকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে ইনশাল্লাহ। আমি চেয়ারম্যান হতে পারলে এলাকাকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করব। এলাকার শিক্ষা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করব। বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা আনিছু জামান রাজ। তিনি বড়াইল ইউনিয়নের গৌসাইপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আবুল খায়েস মিয়া। তিনি কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল থেকে ২০০৪ সালে এস এস সি পাশ করেন। তিনি বড়াইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি আইন ও মানব অধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজেও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তিনি করোনাকালীন সময়ে এলাকার অসংখ্য মানুষজনকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে সর্বদা ভূমিকা রেখেছি। আশা করি দলের হাইকমান্ড আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে বিবেচনা করবে। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার শিক্ষা, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। ইভটিজিং, মাদক, চোর ও ডাকাত মুক্ত ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব।