ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নবীগঞ্জ হাসপাতালের পাশেই পৌরসভার ময়লার স্তুপ ধোঁয়া-দূর্গন্ধে স্বাস্থ্য ঝুকিতে এলাকাবাসী

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভায় হাসপাতালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে অপরিকল্পি তভাবে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা প্রতিনিয়ত সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষিত হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা নাক বন্ধ করে চলাচল করছে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর খেতাব অর্জন করলেও নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় যত্রতত্র স্থানে ও রাস্থার পাশে ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা ফলে এসব এলাকার বসবাসরত লোকজনসহ পথচারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।বর্তমানে নবীগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্যে শহরতলির চরগাঁও হতে হবিগঞ্জ সড়কে সংযোগ বাইপাস সড়কে ফেলা হচ্ছে। পাশে রয়েছে বাসাবাড়ি, সরকারী হাসপাতালের কোয়ার্টারসহ বাঁশ বাজার।

এছাড়াও নবীগঞ্জ- হবিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড,সিএনজি স্ট্যান্ড। বর্জ্য ফেলার ওই স্থান থেকে প্রায় ৯০/১০০ মিটার দূরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে অসুস্থ রোগীসহ অনেক লোকজনের চলাচল রয়েছে। দুর্গন্ধের কারণে এলাকাবাসী ও পথচারীদের সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া শহরের অন্যান্য সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এসব জনসমাগম এলাকা থেকে দূরে কোন নির্জন স্থানে এই বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী। সাইফুর রহমান চৌধুরী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, দুর্গন্ধে এ সড়কের চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে এ সমস্যার সমাধানে পৌর কতৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয় না বাঁশ ক্রয় করতে আসা এক ক্রেতা বলেন পৌর শহরের বাঁশ বাজার থেকে বাঁশ নিয়ে যেতে ওই রাস্থার ময়লার স্থ’পের পাশ দিয়ে যেতে হয় এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। আর ময়লা সড়কে এসে পড়েছে।

এতে সড়ক সরু হয়ে যাচ্ছে যানবাহন দিয়ে বাঁশ নিয়ে যেতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। পৌর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুয়েল আহমেদ চৌধুরী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন, আমরা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি কালো ধোঁয়ার দুর্গন্ধে, আমাদেরকে কি একটু ও শান্তিতে থাকতে দিবেন না
আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে। পাশে একটি হাসপাতাল ও আছে আপনারা একটু নজর দিচ্ছেন না তার কারণ কি? আমরা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, দয়াকরে আমাদেরকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন। প্রতিদিন রাতে আবর্জনা ফেলে রাতে আগুন দেয়ার মানে কি? আমরা কি কোন অপরাধ করেছি নবীগঞ্জ পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের একাংশ এলাকাবাসী।

এই পোস্টে স্থানীয় বাসিন্দা সনজয় বনিক লিখেন মধ্যবাজার কালো ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়েগেছে। এমনকি দরজা জ্বানালা বন্ধ করেও ধোঁয়া আটকানো যাচ্ছে না, এমনিতেই শীত তার মধ্যে কালো ধোঁয়া বিশেষ করে বয়স্ক ও বাচ্চাদের সমস্যা বেশি হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে নবীগঞ্জ পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারে বার বার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

নবীগঞ্জ হাসপাতালের পাশেই পৌরসভার ময়লার স্তুপ ধোঁয়া-দূর্গন্ধে স্বাস্থ্য ঝুকিতে এলাকাবাসী

আপডেট টাইম ০৫:৪২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভায় হাসপাতালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে অপরিকল্পি তভাবে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা প্রতিনিয়ত সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষিত হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা নাক বন্ধ করে চলাচল করছে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর খেতাব অর্জন করলেও নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় যত্রতত্র স্থানে ও রাস্থার পাশে ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা ফলে এসব এলাকার বসবাসরত লোকজনসহ পথচারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।বর্তমানে নবীগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্যে শহরতলির চরগাঁও হতে হবিগঞ্জ সড়কে সংযোগ বাইপাস সড়কে ফেলা হচ্ছে। পাশে রয়েছে বাসাবাড়ি, সরকারী হাসপাতালের কোয়ার্টারসহ বাঁশ বাজার।

এছাড়াও নবীগঞ্জ- হবিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড,সিএনজি স্ট্যান্ড। বর্জ্য ফেলার ওই স্থান থেকে প্রায় ৯০/১০০ মিটার দূরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে অসুস্থ রোগীসহ অনেক লোকজনের চলাচল রয়েছে। দুর্গন্ধের কারণে এলাকাবাসী ও পথচারীদের সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া শহরের অন্যান্য সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এসব জনসমাগম এলাকা থেকে দূরে কোন নির্জন স্থানে এই বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী। সাইফুর রহমান চৌধুরী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, দুর্গন্ধে এ সড়কের চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে এ সমস্যার সমাধানে পৌর কতৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয় না বাঁশ ক্রয় করতে আসা এক ক্রেতা বলেন পৌর শহরের বাঁশ বাজার থেকে বাঁশ নিয়ে যেতে ওই রাস্থার ময়লার স্থ’পের পাশ দিয়ে যেতে হয় এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। আর ময়লা সড়কে এসে পড়েছে।

এতে সড়ক সরু হয়ে যাচ্ছে যানবাহন দিয়ে বাঁশ নিয়ে যেতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। পৌর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুয়েল আহমেদ চৌধুরী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন, আমরা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি কালো ধোঁয়ার দুর্গন্ধে, আমাদেরকে কি একটু ও শান্তিতে থাকতে দিবেন না
আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে। পাশে একটি হাসপাতাল ও আছে আপনারা একটু নজর দিচ্ছেন না তার কারণ কি? আমরা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, দয়াকরে আমাদেরকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন। প্রতিদিন রাতে আবর্জনা ফেলে রাতে আগুন দেয়ার মানে কি? আমরা কি কোন অপরাধ করেছি নবীগঞ্জ পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের একাংশ এলাকাবাসী।

এই পোস্টে স্থানীয় বাসিন্দা সনজয় বনিক লিখেন মধ্যবাজার কালো ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়েগেছে। এমনকি দরজা জ্বানালা বন্ধ করেও ধোঁয়া আটকানো যাচ্ছে না, এমনিতেই শীত তার মধ্যে কালো ধোঁয়া বিশেষ করে বয়স্ক ও বাচ্চাদের সমস্যা বেশি হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে নবীগঞ্জ পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারে বার বার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।