ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

ধর্মকে ব্যবহার করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে আরো সতর্ক থাকার আহবান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ধর্মকে ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা গ্রুপ যাতে সামাজিক শৃঙ্খলায় বিঘœ ঘটাতে না পারে সে জন্য সকল ধর্মের লোকদের আরো সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ধর্ম মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখায়, জনকল্যাণে অনুপ্রাণিত করে। কোন ধর্মই জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ অথবা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না।’
যদি কেউ আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং একই সঙ্গে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে সকল ধর্ম, বর্ণ ও মতের লোকরা অংশ নেয়ায় বিজয় ত্বরাম্বিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে কাজে লাগানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব আরো জোরদারে সকল ধর্ম বিশ্বাসের লোকদের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশে জন্মাষ্টমী উদ্যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল ধর্মীয় উৎসবই আনন্দ উল্লাসের, কিন্তু প্রতিটি উৎসবই সকলের অংশগ্রহণে সর্বজনীন হয়ে ওঠে।
আবদুল হামিদ বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মাঝে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যগত ঐক্য যৌথ প্রচেষ্টা ও পারস্পরিক সহানুভবতার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।
তিনি এসময় হিন্দু সম্পদায়ের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সমাজ থেকে সকল ধরনের অবিচার, নিপীড়ন, নির্যাতন ও সংঘাত দূর করে জনগণের মধ্যে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক তৈরি করাই ছিল শ্রী কৃষ্ণের মূল মতাদর্শ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজে ধর্ম ও ভালো লোককে রক্ষায় সকল ধরনের অপশক্তি নির্মূলে সমাজে শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল।
এ সময় অভ্যর্থনায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু ধর্মীবলম্বীর ব্যক্তিবর্গ, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগণ।
এ সময় তারা রাষ্ট্রপতিকে জন্মাষ্টমীর ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সংসদ সদস্য, বিচারপতি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার, হিন্দ্র ধর্মাবলম্বী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ বঙ্গভবনের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় অতিথিবৃন্দকে বঙ্গভবনের দরবার হলে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবারে আপ্যায়ন করা হয়। রাষ্ট্রপতি অতিথিদের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

ধর্মকে ব্যবহার করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে আরো সতর্ক থাকার আহবান রাষ্ট্রপতির

আপডেট টাইম ১২:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ধর্মকে ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা গ্রুপ যাতে সামাজিক শৃঙ্খলায় বিঘœ ঘটাতে না পারে সে জন্য সকল ধর্মের লোকদের আরো সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ধর্ম মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখায়, জনকল্যাণে অনুপ্রাণিত করে। কোন ধর্মই জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ অথবা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না।’
যদি কেউ আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং একই সঙ্গে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে সকল ধর্ম, বর্ণ ও মতের লোকরা অংশ নেয়ায় বিজয় ত্বরাম্বিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে কাজে লাগানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব আরো জোরদারে সকল ধর্ম বিশ্বাসের লোকদের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশে জন্মাষ্টমী উদ্যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল ধর্মীয় উৎসবই আনন্দ উল্লাসের, কিন্তু প্রতিটি উৎসবই সকলের অংশগ্রহণে সর্বজনীন হয়ে ওঠে।
আবদুল হামিদ বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মাঝে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যগত ঐক্য যৌথ প্রচেষ্টা ও পারস্পরিক সহানুভবতার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।
তিনি এসময় হিন্দু সম্পদায়ের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সমাজ থেকে সকল ধরনের অবিচার, নিপীড়ন, নির্যাতন ও সংঘাত দূর করে জনগণের মধ্যে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক তৈরি করাই ছিল শ্রী কৃষ্ণের মূল মতাদর্শ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজে ধর্ম ও ভালো লোককে রক্ষায় সকল ধরনের অপশক্তি নির্মূলে সমাজে শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল।
এ সময় অভ্যর্থনায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু ধর্মীবলম্বীর ব্যক্তিবর্গ, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগণ।
এ সময় তারা রাষ্ট্রপতিকে জন্মাষ্টমীর ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সংসদ সদস্য, বিচারপতি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার, হিন্দ্র ধর্মাবলম্বী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ বঙ্গভবনের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় অতিথিবৃন্দকে বঙ্গভবনের দরবার হলে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবারে আপ্যায়ন করা হয়। রাষ্ট্রপতি অতিথিদের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।