।
ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ
খুলনা জেলা প্রতিনিধি–
আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি পরিবারকে বিনামূল্যে জমি সহ আধা পাকা ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি ৭টি জেলা এবং ১৫৯ টি উপজেলাকে সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে এসব ঘর হস্তান্তর করেন তিনি । এ সময়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন মানুষ ঠিকানা বিহীন থাকবে না। শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার সবচেয়ে বড় অর্জন হল গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি দেখতে পাওয়াই সবচেয়ে বড় পাওয়া। বঙ্গবন্ধু দেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করে বাংলাদেশের গরীব-দুঃখী মানুষকে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী জীবন দিতে চেয়েছিলেন। যার জন্য তার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তার সরকার ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
তারই ধারাবাহিকতায় এর পূর্বে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯ টি দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০ টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩ টি বাড়ি হস্তান্তর করেন। গতকাল আরো ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি ঘর বিতরণের সঙ্গে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে মোট গৃহ বিতরণের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৮২৭ টি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন করে কেউ ভূমিহীন হলে তাকেও ঘর দেয়া হবে।
দেশব্যাপী এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দিঘলিয়া উপজেলার তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৬৫ টি এবং চতুর্থ পর্যায়ের ১১৫ টি সহ মোট ১৮০ টি পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করে উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মুনিম লিংকন, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুর রহমান,ভাইস চেয়ারম্যান আলী রেজা বাচা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মমতাজ শিরিন ময়না, ৬ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, দিঘলিয়া উপজেলার সকল দপ্তর প্রধানগণ,
আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর প্রাপ্ত গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের সদস্যবৃন্দ,দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান তারেকসহ সংবাদিকবৃন্দ।
দিঘলিয়া উপজেলার বাকী ৬৬ টি ঘরের নির্মাণ কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই ৬৬টি ঘরের জন্য ইতিমধ্যে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে এবং মাটি ভরাট সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।