ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

দেশের প্রতিটি ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : মোস্তাফা জব্বার

চলতি বছরের মধ্যে দুর্গম ৭শ’ ৭২টি ইউনিয়ন বাদে দেশের সবকটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইভার নেটওয়ার্ক সংযোগের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। দুর্গম এলাকায় মাইক্রোওয়েভ অথবা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেশন গ্রুপ ও আইএসপিএবি আয়োজিত ‘ইন্টারনেট অপারেশন টেকনোলজি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মহাকাশে ৫৭ তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। দেশে ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তি চালূ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দুনিয়ার গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি দেশ যারা ৫জি পরীক্ষা করেছি’। অতীতে তিনটি শিল্পবিপ্লবে আমরা শরীক হতে পারিনি, চতুর্থ শিল্লবিপ্লব আমরা হাত ছাড়া করতে পারিনা। ডিজিটাল এই বিপ্লবে বাংলাদেশ এখন সারা বিশে^র কাছে অনুকরণীয়।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশের টেলিযোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের আইটিইউ এর সদস্যপদ লাভ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কানেকটিভিটির মাধ্যমে প্রথম ডিজিটাল যুগের যাত্রার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
তিনি আগষ্ট মাস বাঙালি জাতির শোকের মাস উল্লেখ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে নিহত বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। মোস্তাফা জব্বার জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চলমান ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য।
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ইন্টারনেটের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে দেশের উন্নয়নের এক নতুন মাত্রা সংযোজিত হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তরের যাত্রা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের প্রথম সরকার প্রধান, যিনি ২০০৮ সালে জাতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। গত ৯ বছরে এ লক্ষ্যে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ৮ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬৫ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। টেলিডেনসিটি ও ইন্টারনেট ডেনসিটি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইসিটি‘র অভাবনীয় অগ্রগতি দেশের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেশন গ্রুপ চেয়ারম্যান কাজী কবির, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গৌরব রাজ উপধায়, আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

দেশের প্রতিটি ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : মোস্তাফা জব্বার

আপডেট টাইম ১১:৩৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অগাস্ট ২০১৮

চলতি বছরের মধ্যে দুর্গম ৭শ’ ৭২টি ইউনিয়ন বাদে দেশের সবকটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইভার নেটওয়ার্ক সংযোগের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। দুর্গম এলাকায় মাইক্রোওয়েভ অথবা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেশন গ্রুপ ও আইএসপিএবি আয়োজিত ‘ইন্টারনেট অপারেশন টেকনোলজি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মহাকাশে ৫৭ তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। দেশে ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তি চালূ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দুনিয়ার গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি দেশ যারা ৫জি পরীক্ষা করেছি’। অতীতে তিনটি শিল্পবিপ্লবে আমরা শরীক হতে পারিনি, চতুর্থ শিল্লবিপ্লব আমরা হাত ছাড়া করতে পারিনা। ডিজিটাল এই বিপ্লবে বাংলাদেশ এখন সারা বিশে^র কাছে অনুকরণীয়।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশের টেলিযোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের আইটিইউ এর সদস্যপদ লাভ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কানেকটিভিটির মাধ্যমে প্রথম ডিজিটাল যুগের যাত্রার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
তিনি আগষ্ট মাস বাঙালি জাতির শোকের মাস উল্লেখ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে নিহত বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। মোস্তাফা জব্বার জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চলমান ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য।
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ইন্টারনেটের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে দেশের উন্নয়নের এক নতুন মাত্রা সংযোজিত হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তরের যাত্রা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের প্রথম সরকার প্রধান, যিনি ২০০৮ সালে জাতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। গত ৯ বছরে এ লক্ষ্যে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ৮ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬৫ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। টেলিডেনসিটি ও ইন্টারনেট ডেনসিটি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইসিটি‘র অভাবনীয় অগ্রগতি দেশের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেশন গ্রুপ চেয়ারম্যান কাজী কবির, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গৌরব রাজ উপধায়, আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।