ফরহাদ হোসেন ফখরুলঃ দ্বিতীয় মেয়াদে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কায় নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর অন্য এক রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সিকে দেখতে পাচ্ছে দেবিদ্বার থানার জনগন।
আওয়ামী লীগ সরকার ৩য় মেয়াদে সরকার গঠনের পর দেবিদ্বার উপজেলায় গত ৮ মাসের অনুসন্ধানে দেখা যায় সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দেবিদ্বারের আওয়ামী লীগ নেতাদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দেবিদ্বারের আ’লীগের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে সভা সমাবেশ করেছেন এবং তাদের কাছে টেনে নিয়েছেন।
তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভা সমাবেশে অপরাধীদের হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন কোন অপরাধী ছাড় পাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে হবে।
বিশেষ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি দেবিদ্বার প্রপারের কিছু নেতা সহ দক্ষিণ দেবিদ্বারের কিছু নেতাদের ব্যাক্তিগতভাবে হুশিয়ারি করেন এবং কোন অপরাধ করলে তারা নিজেরাই দায়ী থাকবে জানিয়ে দেন। মাদক ও অপরাধের ব্যপারে তিনি আপোষ করবেন না। যার ফলে গত ৮ মাসে অনেক নেতাকর্মীরা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। তাদেরকে আর পূর্বের ন্যায় দাপুটে মনভাবাপন্ন দেখা যাচ্ছে না।
২য় মেয়াদে দেবিদ্বারে দলীয় এম,পি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত ৮ মাস এ যেন নতুন রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে দেখছে দেবিদ্বারবাসী। তিনি তাহার কর্ম দিয়ে শুধু দেবিদ্বারের উন্নয়নে থেমে না থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।
উল্লেখ্য যে, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সি ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারেরমত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেবিদ্বারের এম,পি নির্বাচিত হন। তিনি যদিও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে এম,পি নির্বাচিত হওয়ায় দেবিদ্বারের মূল আওয়ামী লীগের কিছু নেতা অভিমান করে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সিকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেবিদ্বারের কিছু নেতা এম,পির বিশ্বাসের আড়ালে নানা অপকর্ম করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নেয়। কিন্তু ২য় মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওনি দেবিদ্বারে কিছু নেতাদের মাইনাস পজিশানে রেখেছেন বলে সূত্রে জানা য়ায়।