ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

দুমকিতে শাক সবজি চাষে স্বাবলম্বী চাষীরা।

প্রতিনিধি, দুমকি (পটুয়াখালী):পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মুরাদিয়া ব্লকের চাষীরা বিভিন্ন প্রকারের উচ্চ ফলনশীল জাতের শাক- সবজি চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন এবং অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমের হরেক রকমের শাকসবজিতে ভরপুর চাষীদের খামার। কিছু চাষী সরকারি রাস্তার দু’পাশে অনাবাদি পতিত জমিতে এবং বাড়ির আঙিনায় মাদা তৈরি করে লাউ, কুমড়া, করলা, শশা, বরবটি, সিম, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল, লাল শাক, পালংশাক, ধনিয়া, টমেটো সহ বিভিন্ন ধরনের ফলনের আবাদ করেছে। এসকল চাষীদের মধ্যে রয়েছে, দক্ষিন মুরাদিয়ার কালাম চৌকিদার, মিলন চাকলাদার, সাইদুল কাজী, তাছলিমা বেগম, ইউসুফ খোকন, কামাল হাওলাদার ও কালাম কমান্ডার সহ আরও অনেকে। সাইদুল কাজী বলেন, নিজের পতিত অনাবাদি জমিতে মাথা তৈরি করে ৮০ হাত দীর্ঘ ৩টি মাদা তৈরি করে লাউ চাষ করেছেন, তিন মাসে তিনি ৪ হাজার লাউ গড়ে ৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে ৫০ হাত করে ২টি মাদায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন, ফলন খুব ভালো ধরেছে। অপর চাষী কালাম চৌকিদার জানান, ৩০ শতাংশ উঁচু অনাবাদি জমিতে লাল শাক, মুলা, ধনিয়া, পালংশাক বেশ ভালো হয়েছে, ইতিমধ্যে তিনি ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন, ৭৫০ ঝাড় মিষ্টি কুমড়া,১৫০ ঝাড় বরবটি, ৪০০ টমেটো, ১৫ শতাংশ জমিতে খেসারি চাষ করেছেন শুধু শাক বিক্রির জন্য। চলতি রবি মৌসুমে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বিক্রি করেছেন, তবে তিনি আরো জানান, এবছর তার ফলন ভালো হয়েছে ৩ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন। মহিলা চাষী তাছলিমা বেগম, ইউসুফ খোকন ও কামালের খামারে দেখা গেল, মিষ্টি কুমড়ার অভাবনীয় দৃশ্য, প্রতিটি মাচাংয়ে ছোট-বড় শতশত মিষ্টি কুমড়া, করলা, শশা, চিচিঙ্গা শীতের হিমেল হাওয়ায় দুলছে। ইউসুফ খোকন জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৩০টাকা, করলা ৯০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও স্হানীয় কলবাড়ি, পঞ্চায়েত, বোর্ড অফিস, দুমকি ও পটুয়াখালী বাজারে এসব কৃষি পন্য বিক্রয় করেন। চাষীরা জানান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ ক্রমে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ক্রয় করেন। অপর চাষী কামাল হাওলাদার বলেন, এসকল খামারে তারা গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি সার পরিমাণ মতো প্রয়োগ করেন। কালাম চৌকিদার আরও বলেন, গাছের অবস্থা বুঝে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ক্রমে বালাই নাশক ঔষধ মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করেন। চাষীরা জানান, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার তাদের অধিকতর সাহায্য সহযোগিতা ও তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করলে আরও ভালো ফলন আশা করা যায়। এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহের মালিকা জানান, সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের নিয়মিত খোঁজখবর নেয়া হয়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন এসকল চাষীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ পরামর্শ ও তদারকি করেন। তার অধিদপ্তরের কাজই হলো চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে কৃষি কাজে উন্নত সেবা প্রদান করা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

দুমকিতে শাক সবজি চাষে স্বাবলম্বী চাষীরা।

আপডেট টাইম ১২:২৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

প্রতিনিধি, দুমকি (পটুয়াখালী):পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মুরাদিয়া ব্লকের চাষীরা বিভিন্ন প্রকারের উচ্চ ফলনশীল জাতের শাক- সবজি চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন এবং অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমের হরেক রকমের শাকসবজিতে ভরপুর চাষীদের খামার। কিছু চাষী সরকারি রাস্তার দু’পাশে অনাবাদি পতিত জমিতে এবং বাড়ির আঙিনায় মাদা তৈরি করে লাউ, কুমড়া, করলা, শশা, বরবটি, সিম, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল, লাল শাক, পালংশাক, ধনিয়া, টমেটো সহ বিভিন্ন ধরনের ফলনের আবাদ করেছে। এসকল চাষীদের মধ্যে রয়েছে, দক্ষিন মুরাদিয়ার কালাম চৌকিদার, মিলন চাকলাদার, সাইদুল কাজী, তাছলিমা বেগম, ইউসুফ খোকন, কামাল হাওলাদার ও কালাম কমান্ডার সহ আরও অনেকে। সাইদুল কাজী বলেন, নিজের পতিত অনাবাদি জমিতে মাথা তৈরি করে ৮০ হাত দীর্ঘ ৩টি মাদা তৈরি করে লাউ চাষ করেছেন, তিন মাসে তিনি ৪ হাজার লাউ গড়ে ৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে ৫০ হাত করে ২টি মাদায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন, ফলন খুব ভালো ধরেছে। অপর চাষী কালাম চৌকিদার জানান, ৩০ শতাংশ উঁচু অনাবাদি জমিতে লাল শাক, মুলা, ধনিয়া, পালংশাক বেশ ভালো হয়েছে, ইতিমধ্যে তিনি ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন, ৭৫০ ঝাড় মিষ্টি কুমড়া,১৫০ ঝাড় বরবটি, ৪০০ টমেটো, ১৫ শতাংশ জমিতে খেসারি চাষ করেছেন শুধু শাক বিক্রির জন্য। চলতি রবি মৌসুমে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বিক্রি করেছেন, তবে তিনি আরো জানান, এবছর তার ফলন ভালো হয়েছে ৩ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন। মহিলা চাষী তাছলিমা বেগম, ইউসুফ খোকন ও কামালের খামারে দেখা গেল, মিষ্টি কুমড়ার অভাবনীয় দৃশ্য, প্রতিটি মাচাংয়ে ছোট-বড় শতশত মিষ্টি কুমড়া, করলা, শশা, চিচিঙ্গা শীতের হিমেল হাওয়ায় দুলছে। ইউসুফ খোকন জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৩০টাকা, করলা ৯০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও স্হানীয় কলবাড়ি, পঞ্চায়েত, বোর্ড অফিস, দুমকি ও পটুয়াখালী বাজারে এসব কৃষি পন্য বিক্রয় করেন। চাষীরা জানান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ ক্রমে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ক্রয় করেন। অপর চাষী কামাল হাওলাদার বলেন, এসকল খামারে তারা গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি সার পরিমাণ মতো প্রয়োগ করেন। কালাম চৌকিদার আরও বলেন, গাছের অবস্থা বুঝে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ক্রমে বালাই নাশক ঔষধ মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করেন। চাষীরা জানান, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার তাদের অধিকতর সাহায্য সহযোগিতা ও তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করলে আরও ভালো ফলন আশা করা যায়। এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহের মালিকা জানান, সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের নিয়মিত খোঁজখবর নেয়া হয়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন এসকল চাষীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ পরামর্শ ও তদারকি করেন। তার অধিদপ্তরের কাজই হলো চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে কৃষি কাজে উন্নত সেবা প্রদান করা।