ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত রানীশংকৈল মডেল স্কুলের আলোচিত ধীরেন্দ্রনাথ সহ ৪ শিক্ষক বদলি । কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রীর কারাদন্ড টাঙ্গাইলে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা, যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনের সাথেও জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠি ও প্রক্টরের ২জনের রিমান্ড মঞ্জুর। “পাঁচ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন” যুবলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে.. দিদারুল ইসলাম চৌধুরী দুমকিতে ১২ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাবের ফাঁদে পলায়নরত ধর্ষক আটক। সন্তানের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে লক্ষ্মীপুরে পঙ্গু বাবার আকুতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোডে মই বিক্রেতার মূল হোতা গ্রেফতার

দুমকিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব হাসপাতালে স্যালাইন সংকট

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর দুমকিতে কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১ মাসে উপজেলা হাসপাতালে অন্তত: ১০০ জন কলেরায় আক্রান্ত রুগীকে ভর্তি করা হয়েছে। আরও ২ শতাধিক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান।

প্রতিদিনই আসছে ডায়েরিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগী। হাসপাতালে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন না থাকায় বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে এমন অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শহীদুল হাসান শাহীন স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ সংকটের সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্যালাইন সংকটের বিষয় পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। আসলে রোগীদের দেওয়া হবে।

অন্যদিকে সিনিয়র স্টাফ নার্স আজিজুল হক জানান, এক এক জন কলেরা রোগীর ১৮-২০ হাজার এম.এল স্যালাইন দেওয়া লাগছে। শুধুমাত্র প্রাথমিকভাবে ভর্তি হওয়ার পরে হাসপাতাল থেকে স্যালাইন সংকটের কারণে ১ হাজার এম.এল স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা বেশিরভাগ মুরাদিয়া,আংগারিয়া,পাংগাশিয়া ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের। শ্রীরামপুর ও লেবুখালী ইউনিয়নের রোগীর সংখ্যা কম।

৩১ শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অন্যান্য রোগীদের পাশাপাশি কলেরা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড সংকট দেখা দিয়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে।

কলেরা রোগী বেড়ে যাওয়ায় বেড সংখ্যা কম থাকায় হাসপাতালের মেঝেতেও সংকুলান না হলে অন্য কোথায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্যাম্প করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, ৫টি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মীরা ডায়রিয়ার খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ঔষধ বিতরণ করছেন। যাতে এ ধরনের সমস্যায় পরতে না হয়। কলেরার রোগীরা ভর্তি হলে সুস্থ হতে সময় লাগে ৫-৭দিন। লেবুখালী ইউনিয়নের পূর্বকার্তিক পাশা গ্রামের ফাতিমা আক্তার (৭৫) ভর্তি হতে আসলেও তার স্বজনরা হাসপাতালের খারাপ অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ডাক্তারের চিচিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।

বর্তমানে হাসপাতালে মহিলা ও পুরুষের ২টি কক্ষে ৩১টি বেড থাকলেও কলেরা ও ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে অন্যান্য রোগী ভর্তি হয়ে আছে। রোগীদের সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত

দুমকিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব হাসপাতালে স্যালাইন সংকট

আপডেট টাইম ০৫:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর দুমকিতে কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১ মাসে উপজেলা হাসপাতালে অন্তত: ১০০ জন কলেরায় আক্রান্ত রুগীকে ভর্তি করা হয়েছে। আরও ২ শতাধিক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান।

প্রতিদিনই আসছে ডায়েরিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগী। হাসপাতালে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন না থাকায় বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে এমন অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শহীদুল হাসান শাহীন স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ সংকটের সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্যালাইন সংকটের বিষয় পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। আসলে রোগীদের দেওয়া হবে।

অন্যদিকে সিনিয়র স্টাফ নার্স আজিজুল হক জানান, এক এক জন কলেরা রোগীর ১৮-২০ হাজার এম.এল স্যালাইন দেওয়া লাগছে। শুধুমাত্র প্রাথমিকভাবে ভর্তি হওয়ার পরে হাসপাতাল থেকে স্যালাইন সংকটের কারণে ১ হাজার এম.এল স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা বেশিরভাগ মুরাদিয়া,আংগারিয়া,পাংগাশিয়া ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের। শ্রীরামপুর ও লেবুখালী ইউনিয়নের রোগীর সংখ্যা কম।

৩১ শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অন্যান্য রোগীদের পাশাপাশি কলেরা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড সংকট দেখা দিয়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে।

কলেরা রোগী বেড়ে যাওয়ায় বেড সংখ্যা কম থাকায় হাসপাতালের মেঝেতেও সংকুলান না হলে অন্য কোথায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্যাম্প করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, ৫টি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মীরা ডায়রিয়ার খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ঔষধ বিতরণ করছেন। যাতে এ ধরনের সমস্যায় পরতে না হয়। কলেরার রোগীরা ভর্তি হলে সুস্থ হতে সময় লাগে ৫-৭দিন। লেবুখালী ইউনিয়নের পূর্বকার্তিক পাশা গ্রামের ফাতিমা আক্তার (৭৫) ভর্তি হতে আসলেও তার স্বজনরা হাসপাতালের খারাপ অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ডাক্তারের চিচিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।

বর্তমানে হাসপাতালে মহিলা ও পুরুষের ২টি কক্ষে ৩১টি বেড থাকলেও কলেরা ও ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে অন্যান্য রোগী ভর্তি হয়ে আছে। রোগীদের সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।