দুই শিক্ষার্থীর সফলতার গল্প
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি মোঃ তোফায়েল আহমদ চৌধুরী।
দ্বিতীয় ধাপের প্রতিবেদন।করোনাকালে পুরো বিশ্ব যখন থমকে আছে সেই মুহুর্তে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেও যে কিছু করা যেতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। নিজেদের পড়ালেখার পাশাপাশি নতুন এবং ব্যতিক্রম কিছু করার ইচ্ছে শক্তি এই দুই শিক্ষার্থীকে বানিয়েছে তরুণ উদ্যোক্তা। করোনা মহামারীতে নিজেদের খরচ চালিয়ে পরিবারের জন্য রাখছেন অবদান। তুলে ধরা হয়েছে খুবি’র নাজমুল ইসলাম ও সামিয়া আক্তার মিতার সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পিছনের গল্প, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ভেবেছিলেন আমাকে স্বাবলম্বী হতে হবে, নিজের খরচ নিজেকেই চালাতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ, শুরু করলাম টিউশনি এবং কোচিং এ পড়ানো। কিন্তু একটা সময়ে এগুলো সব বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো। তখনো মাথায় ঘুরছে কিছু একটা তো আমাকে করতে হবে। এরপর ২০১৯ সালের শুরুর দিকে টিউশনির জমানো কিছু টাকা দিয়ে অনলাইন ব্যবসায় শুরু করার উদ্যোগ নিলাম। তারপর থেকে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলছে। এই করোনা পরিস্থিতিতেও প্রায় দশ লাখ টাকার মালামাল বিক্রি করেছি।’ এমনটাই বলছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম।
ফেসবুক পেজ ‘এ্যালিগেন্স অনলাইন শপ’ এর মাধ্যমে দেশীয় তাঁত পণ্য ( টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ী এবং ছেলেদের গার্মেন্টস পোশাক) বিক্রি করে থাকেন নাজমুল। টাঙ্গাইলের তাঁত বুননের কাজে সরাসরি যারা জড়িত তাদের থেকে পণ্য নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করেন। এছাড়াও দারাজ শপে তিনি একজন ভেরিফায়েড সেলার হিসাবে কাজ করছেন এবং এখান থেকে বেশ ভালোই লভ্যাংশ পান। যা দিয়ে নাজমুল নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও পালন করছেন। সুলভ মূল্যে সারা দেশে দেশীয় তাঁত পণ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে দেশীয় তাঁত শিল্প বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা।