ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নারীদের ‘এলিট ক্লাবে’ শেখ হাসিনা

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে ২০ বছর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনিই একমাত্র সরকারপ্রধান যিনি তৃতীয় মেয়াদে টানা ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন।

এছাড়া সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারীদের এলিট ক্লাবেও প্রবেশ করতে যাচ্ছেন আ’লীগ সভাপতি। চারবার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মারা গেছেন। জীবিত নারীদের মধ্যে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এবার তাদের দলে নাম লেখাবেন সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর দলের দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা প্রথম নির্বাচনে অংশ নেন ১৯৮৬ সালে। মিডিয়া ক্যু করে এরশাদের সামরিক সরকার আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেয়। ওই তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মরতা বিরোধীদলীয় নেতা হন শেখ হাসিনা। পরে স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদের তিনি বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসেন।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে না পারলেও ভোট বাড়ে আওয়ামী লীগের। সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে বসেন শেখ হাসিনা।

এরপর নবম সংসদ নির্বাচন থেকে একাদশ সংসদ পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬৪টিতেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশে ‘দিন বদলের শুরু’ হয়। দেশের প্রতিটি খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার জয়রথ চলমান থাকে দশম সংসদ নির্বাচনেও। ওই বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়ে টানা দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীত্বের শপথ নেন শেখ হাসিনা।

২০১৪ সালের নির্বাচনে পর অনেকেই ভেবেছিলেন, পূর্ণ মেয়াদে সরকার পরিচালনা করতে পারবেন না শেখ হাসিনা। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চাপের মুখে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হবেন তিনি। কিন্তু তাদের সকলের ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন জ্বালাও-পোড়াও মোকাবেলা করে পূর্ণ মেয়াদ সরকার পরিচালনা করেন শেখ হাসিনা। মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী জোট আবারও সংসদ ভেঙে নির্বাচনের দাবি জানায়।

কিন্তু সংবিধানের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ বহাল রেখেই একাদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে টানা এক সপ্তাহ দেশের সক্রিয় সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে বসেন তিনি। ফলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট। এই নির্বাচনেও ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৭টি আসনে জয়ী হয়। আর ২৮৮টি আসন পায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নারীদের ‘এলিট ক্লাবে’ শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম ০২:৪৯:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে ২০ বছর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনিই একমাত্র সরকারপ্রধান যিনি তৃতীয় মেয়াদে টানা ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন।

এছাড়া সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারীদের এলিট ক্লাবেও প্রবেশ করতে যাচ্ছেন আ’লীগ সভাপতি। চারবার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মারা গেছেন। জীবিত নারীদের মধ্যে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এবার তাদের দলে নাম লেখাবেন সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর দলের দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা প্রথম নির্বাচনে অংশ নেন ১৯৮৬ সালে। মিডিয়া ক্যু করে এরশাদের সামরিক সরকার আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেয়। ওই তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মরতা বিরোধীদলীয় নেতা হন শেখ হাসিনা। পরে স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদের তিনি বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসেন।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে না পারলেও ভোট বাড়ে আওয়ামী লীগের। সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে বসেন শেখ হাসিনা।

এরপর নবম সংসদ নির্বাচন থেকে একাদশ সংসদ পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬৪টিতেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশে ‘দিন বদলের শুরু’ হয়। দেশের প্রতিটি খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার জয়রথ চলমান থাকে দশম সংসদ নির্বাচনেও। ওই বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়ে টানা দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীত্বের শপথ নেন শেখ হাসিনা।

২০১৪ সালের নির্বাচনে পর অনেকেই ভেবেছিলেন, পূর্ণ মেয়াদে সরকার পরিচালনা করতে পারবেন না শেখ হাসিনা। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চাপের মুখে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হবেন তিনি। কিন্তু তাদের সকলের ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন জ্বালাও-পোড়াও মোকাবেলা করে পূর্ণ মেয়াদ সরকার পরিচালনা করেন শেখ হাসিনা। মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী জোট আবারও সংসদ ভেঙে নির্বাচনের দাবি জানায়।

কিন্তু সংবিধানের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ বহাল রেখেই একাদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে টানা এক সপ্তাহ দেশের সক্রিয় সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে বসেন তিনি। ফলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট। এই নির্বাচনেও ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৭টি আসনে জয়ী হয়। আর ২৮৮টি আসন পায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।