ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

থেমে গেছে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান বাস্তবায়ন কার্যক্রম

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
সংরক্ষিত বনের হাজারো গাছ কেটে উজাড় করা হয়েছে। সাগরে বিলীন হয়ে গেছে হাজারো একর বনভূমি। কিন্তু কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের কার্যক্রম এগোয়নি। মহিপুর রেঞ্জের অধীন গঙ্গামতি, কুয়াকাটা ও খাজুরা ক্যাম্পের ১৬১৩ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমিতে উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ও পর্যটন সুবিধাদি উন্নয়নের লক্ষ্যে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। সরজমিন দেখা গেছে, খাজুরা ক্যাম্পের অধীন এলাকা থেকে গঙ্গামতি পর্যন্ত সৈকত এলাকায় এখন আর বনভূমি কিংবা সংরক্ষিত বনাঞ্চল নেই। গহীন অরণ্যেঘেরা ছিল গোটা সৈকত এলাকা। কোনো পর্যটক দর্শনার্থী তো দূরের কথা বন প্রজারা পর্যন্ত কেউ একা একা বনের মধ্যে যেতো না। কিন্তু এখন সব উজাড় হয়ে গেছে। প্রকৃতির রুদ্ররোষের সঙ্গে বনখেকো বাহিনী, বনপ্রজা এবং বন বিভাগের কর্মীরা জোট বেঁধে বন ধ্বংসের মাতম চালিয়েছে। সাগর যেমন উত্তাল ঢেউয়ে গিলে খেয়েছে অর্ধেকটা।
তেমনি সংরক্ষিত বনের হাজার হাজার ছইলা, কেওড়া, বাইন, কড়াই, নিম, গড়ান, নারিকেল, তাল থেকে শুরু করে গুল্মজাতীয় গাছপালা পর্যন্ত উজাড় করে দিয়েছে। বনপ্রজারা শত শত একর বনাঞ্চল উজাড় করে হালচাষের জমি বানিয়েছে। এখন আর সেখানে বন নেই। আছে বিরানভূমি। বন উজাড় করা হয়েছে। বনে কয়েক দফা আগুন দিয়ে পর্যন্ত বিরানভূমি করা হয়েছে। কথিত ৩৩ কানি এলাকায় ৬ বছর আগেও অন্তত ৫ শত গাছ কেটে সাফ করা হয়। কথিত বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে আবার কেউ কেউ দখল করে চাষের জমি করেছে। করা হয়েছে বিক্রিবাট্টা। সরকারের জাতীয় উদ্যান গড়ার কর্মকে যেন চ্যালেঞ্জ করে বনদস্যুরা প্রকৃতির দান সবুজ বনাঞ্চল বিরানভূমিতে পরিণত করেছে। উদাসীন ও লোভী বনকর্মীরা বনদস্যুদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। শুধু চাকরিকালীন শেষের দিকে স্থানীয় নিরীহ মানুষকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফলে জাতীয় উদ্যান ঘোষণাতেই থমকে আছে। সর্বশেষ উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর তৎকালীন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র রায় একটি অনুলিপি (ওই চিঠির) ২০১০ সালের নভেম্বরে রেঞ্জ অফিসে পাঠিয়ে ক্ষান্ত রয়েছেন। বর্তমানে কর্মরত রেঞ্জ কর্মকর্তারা জাতীয় উদ্যান ঘোষণার কথা বলতে পারছেন না।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

থেমে গেছে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান বাস্তবায়ন কার্যক্রম

আপডেট টাইম ০৯:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
সংরক্ষিত বনের হাজারো গাছ কেটে উজাড় করা হয়েছে। সাগরে বিলীন হয়ে গেছে হাজারো একর বনভূমি। কিন্তু কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের কার্যক্রম এগোয়নি। মহিপুর রেঞ্জের অধীন গঙ্গামতি, কুয়াকাটা ও খাজুরা ক্যাম্পের ১৬১৩ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমিতে উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ও পর্যটন সুবিধাদি উন্নয়নের লক্ষ্যে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। সরজমিন দেখা গেছে, খাজুরা ক্যাম্পের অধীন এলাকা থেকে গঙ্গামতি পর্যন্ত সৈকত এলাকায় এখন আর বনভূমি কিংবা সংরক্ষিত বনাঞ্চল নেই। গহীন অরণ্যেঘেরা ছিল গোটা সৈকত এলাকা। কোনো পর্যটক দর্শনার্থী তো দূরের কথা বন প্রজারা পর্যন্ত কেউ একা একা বনের মধ্যে যেতো না। কিন্তু এখন সব উজাড় হয়ে গেছে। প্রকৃতির রুদ্ররোষের সঙ্গে বনখেকো বাহিনী, বনপ্রজা এবং বন বিভাগের কর্মীরা জোট বেঁধে বন ধ্বংসের মাতম চালিয়েছে। সাগর যেমন উত্তাল ঢেউয়ে গিলে খেয়েছে অর্ধেকটা।
তেমনি সংরক্ষিত বনের হাজার হাজার ছইলা, কেওড়া, বাইন, কড়াই, নিম, গড়ান, নারিকেল, তাল থেকে শুরু করে গুল্মজাতীয় গাছপালা পর্যন্ত উজাড় করে দিয়েছে। বনপ্রজারা শত শত একর বনাঞ্চল উজাড় করে হালচাষের জমি বানিয়েছে। এখন আর সেখানে বন নেই। আছে বিরানভূমি। বন উজাড় করা হয়েছে। বনে কয়েক দফা আগুন দিয়ে পর্যন্ত বিরানভূমি করা হয়েছে। কথিত ৩৩ কানি এলাকায় ৬ বছর আগেও অন্তত ৫ শত গাছ কেটে সাফ করা হয়। কথিত বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে আবার কেউ কেউ দখল করে চাষের জমি করেছে। করা হয়েছে বিক্রিবাট্টা। সরকারের জাতীয় উদ্যান গড়ার কর্মকে যেন চ্যালেঞ্জ করে বনদস্যুরা প্রকৃতির দান সবুজ বনাঞ্চল বিরানভূমিতে পরিণত করেছে। উদাসীন ও লোভী বনকর্মীরা বনদস্যুদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। শুধু চাকরিকালীন শেষের দিকে স্থানীয় নিরীহ মানুষকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফলে জাতীয় উদ্যান ঘোষণাতেই থমকে আছে। সর্বশেষ উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর তৎকালীন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র রায় একটি অনুলিপি (ওই চিঠির) ২০১০ সালের নভেম্বরে রেঞ্জ অফিসে পাঠিয়ে ক্ষান্ত রয়েছেন। বর্তমানে কর্মরত রেঞ্জ কর্মকর্তারা জাতীয় উদ্যান ঘোষণার কথা বলতে পারছেন না।