ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

থার্টিফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহর থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে ঢাকাসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এ সংক্রান্ত কমিটির সভায় তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আরো পড়ুন: ভারতের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ

২৫ ডিসেম্বর বড় দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেন, ধর্মীয় উৎসবে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত জায়গায় কোনও গান-বাজনা করা যাবে না। ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সব বার বন্ধ থাকবে। এছাড়া সকল ধরনের বৈধ অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ।

তিনি বলেন, বড় দিন উদযাপন করতে সারা দেশের চার্চ গুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও দায়িত্ব পালন করবে। তেজগাঁও, বনানী ও কাকরাইলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিডেকটিভ উপকরণ ব্যবহার করা হবে। কন্ট্রোল রুম পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগায়োগ করবে। ২৪ ডিম্বের রাত থেকে এ বিশেষ নিরাপত্তা শুরু হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নবাবগঞ্জ, কালিগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে যেখানে খ্রিস্টান সম্প্রাদায়ের বসবাস এবং রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা বারধারা ও গুলশানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এসব জায়গায় নিরাপত্তায় ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করবে। ফ্লাইওভার, রাস্তা ও উন্মুক্ত জায়গায় গানবাজনা করা যাবে না।

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও বন্ধ থাকবে। ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকারবিহীন যানবাহন ছাড়া সকল যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। কূটনীতিক এলাকাও এ নির্দেশনার আওতায় থাকবে।

দিবসটি উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো রকম আশঙ্কা রয়েছে কি-না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো রকম আশঙ্কা নেই। প্রতিটি বিশেষ দিন, বড়দিন, কিংবা জাতীয় দিবসে অথবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে আমরা এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত আয়োজন করে থাকি; যাতে এ অনুষ্ঠানগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সবাই পালন করতে পারেন।

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

থার্টিফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম ১১:৩৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহর থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে ঢাকাসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এ সংক্রান্ত কমিটির সভায় তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আরো পড়ুন: ভারতের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ

২৫ ডিসেম্বর বড় দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেন, ধর্মীয় উৎসবে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত জায়গায় কোনও গান-বাজনা করা যাবে না। ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সব বার বন্ধ থাকবে। এছাড়া সকল ধরনের বৈধ অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ।

তিনি বলেন, বড় দিন উদযাপন করতে সারা দেশের চার্চ গুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও দায়িত্ব পালন করবে। তেজগাঁও, বনানী ও কাকরাইলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিডেকটিভ উপকরণ ব্যবহার করা হবে। কন্ট্রোল রুম পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগায়োগ করবে। ২৪ ডিম্বের রাত থেকে এ বিশেষ নিরাপত্তা শুরু হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নবাবগঞ্জ, কালিগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে যেখানে খ্রিস্টান সম্প্রাদায়ের বসবাস এবং রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা বারধারা ও গুলশানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এসব জায়গায় নিরাপত্তায় ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করবে। ফ্লাইওভার, রাস্তা ও উন্মুক্ত জায়গায় গানবাজনা করা যাবে না।

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও বন্ধ থাকবে। ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকারবিহীন যানবাহন ছাড়া সকল যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। কূটনীতিক এলাকাও এ নির্দেশনার আওতায় থাকবে।

দিবসটি উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো রকম আশঙ্কা রয়েছে কি-না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো রকম আশঙ্কা নেই। প্রতিটি বিশেষ দিন, বড়দিন, কিংবা জাতীয় দিবসে অথবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে আমরা এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত আয়োজন করে থাকি; যাতে এ অনুষ্ঠানগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সবাই পালন করতে পারেন।

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।