ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

থামলে-ই জানবেন-মাশরাফি

সিলেট থেকে ইয়াসিন হাসান : দীর্ঘ সাত মাস পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার সংবাদ সম্মেলন। অপ্রীতিকর ও অপ্রিয় কিছু প্রশ্ন আসবে তা স্বাভাবিক।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলন। প্রায় ২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনের অর্ধেকটারও বেশি সময় আলোচনা হল মাশরাফির অবসর প্রসঙ্গ নিয়ে। অবসর ইস্যুতে একের পর এক প্রশ্ন ছুটল মাশরাফির কাছে।

মাশরাফি প্রত্যেকটা প্রশ্নই নিয়েছেন স্বাভাবিকভাবে। উপ-মহাদেশে একটা সময়ের পর প্রায় সব ক্রিকেটারকেই সামলাতে হয় এমন পরিস্থিতি। বাংলাদেশেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাবিবুল বাশার সুমনের সময়। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর ‘হাবিবুল হটাও’ কর্মসূচি হওয়া শুধু বাদ ছিল! গুঞ্জন আছে, হাবিবুলকে সরাতে সবথেকে বেশি সোচ্চার ছিল বাংলাদেশের গণমাধ্যম!

কিন্তু বর্তমান সময়ের মাশরাফির ক্ষেত্রে যা হচ্ছে তা বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। বোর্ড, সমর্থক, গণমাধ্যম; ত্রিমুখী চাপ বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়কের উপর। কিন্তু কোনো কিছুতেই টলেনি মাশরাফির আত্মবিশ্বাস। কমেনি মাশরাফির কথার ধার। সাফ জানিয়েছেন যেদিন অবসরের ভাবনা আসবে সেদিন নিজ থেকেই জানাবেন সব, ‘যদি থামতে হয় আপনারা জানবেন।’

সপ্তাহখানেক আগেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ইঙ্গিত দিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজ হতে পারে মাশরাফির শেষ অধিনায়কত্ব। বোর্ড প্রধানের বক্তব্য নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা-ই নেই মাশরাফির ।

বরং বোর্ড প্রধান তার মধ্যে কি কথা হয়েছে তা গণমাধ্যমে আনতে নারাজ মাশরাফি, ‘আমার সঙ্গে কি কি কথা হয়েছে পাপন ভাইয়ের সেটা আপনাদেরকে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না। ক্রিকেট বোর্ড যেটা বলেছে আপনারা তো জানেনই। অতটুকুই তো যথেষ্ট। আমার মুখ থেকে আবার শুনতে হবে কেন?’

বারবার তার কোর্টে অবসর প্রশ্ন যাওয়ায় একটা সময় বিরক্ত হয়ে পড়েন,‘থামাথামির বিষয়ে তো অনেক কথা বলেছি। বার বার এ ব্যাপারে, একই প্রশ্ন করার তো কিছু নেই। আমার জায়গায় আপনারা কি অস্পষ্ট আছেন? একই প্রশ্ন তো বার বার করার কিছু নেই।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের দলে জায়গা হয়েছে মাশরাফির। শেষ ম্যাচে তার জায়গা হবে কিনা নিশ্চিত নয়। তাইতো ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন মাশরাফি।

‘দলে জায়গা পাব কি পাব না সেটা নিঃসন্দেহে আমার ভাবনার জায়গা না। ম্যানেজমেন্টের ভাবনার জায়গা। এটা নিয়ে আমি একদমই ভাবছি না। দল নির্বাচনের আগেও আমি একদমই ভাবিনি। বোর্ডের সিদ্ধান্ত, টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।’

দেশের সফলতম অধিনায়ককে অবসর প্রসঙ্গে এমন প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হবে তা ভাবেনি অনেকেই। মাশরাফি কি বিব্রত। সাফ কথা, ‘কোনোভাবেই বিব্রত নই।’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

থামলে-ই জানবেন-মাশরাফি

আপডেট টাইম ১০:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
সিলেট থেকে ইয়াসিন হাসান : দীর্ঘ সাত মাস পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার সংবাদ সম্মেলন। অপ্রীতিকর ও অপ্রিয় কিছু প্রশ্ন আসবে তা স্বাভাবিক।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলন। প্রায় ২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনের অর্ধেকটারও বেশি সময় আলোচনা হল মাশরাফির অবসর প্রসঙ্গ নিয়ে। অবসর ইস্যুতে একের পর এক প্রশ্ন ছুটল মাশরাফির কাছে।

মাশরাফি প্রত্যেকটা প্রশ্নই নিয়েছেন স্বাভাবিকভাবে। উপ-মহাদেশে একটা সময়ের পর প্রায় সব ক্রিকেটারকেই সামলাতে হয় এমন পরিস্থিতি। বাংলাদেশেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাবিবুল বাশার সুমনের সময়। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর ‘হাবিবুল হটাও’ কর্মসূচি হওয়া শুধু বাদ ছিল! গুঞ্জন আছে, হাবিবুলকে সরাতে সবথেকে বেশি সোচ্চার ছিল বাংলাদেশের গণমাধ্যম!

কিন্তু বর্তমান সময়ের মাশরাফির ক্ষেত্রে যা হচ্ছে তা বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। বোর্ড, সমর্থক, গণমাধ্যম; ত্রিমুখী চাপ বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়কের উপর। কিন্তু কোনো কিছুতেই টলেনি মাশরাফির আত্মবিশ্বাস। কমেনি মাশরাফির কথার ধার। সাফ জানিয়েছেন যেদিন অবসরের ভাবনা আসবে সেদিন নিজ থেকেই জানাবেন সব, ‘যদি থামতে হয় আপনারা জানবেন।’

সপ্তাহখানেক আগেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ইঙ্গিত দিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজ হতে পারে মাশরাফির শেষ অধিনায়কত্ব। বোর্ড প্রধানের বক্তব্য নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা-ই নেই মাশরাফির ।

বরং বোর্ড প্রধান তার মধ্যে কি কথা হয়েছে তা গণমাধ্যমে আনতে নারাজ মাশরাফি, ‘আমার সঙ্গে কি কি কথা হয়েছে পাপন ভাইয়ের সেটা আপনাদেরকে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না। ক্রিকেট বোর্ড যেটা বলেছে আপনারা তো জানেনই। অতটুকুই তো যথেষ্ট। আমার মুখ থেকে আবার শুনতে হবে কেন?’

বারবার তার কোর্টে অবসর প্রশ্ন যাওয়ায় একটা সময় বিরক্ত হয়ে পড়েন,‘থামাথামির বিষয়ে তো অনেক কথা বলেছি। বার বার এ ব্যাপারে, একই প্রশ্ন করার তো কিছু নেই। আমার জায়গায় আপনারা কি অস্পষ্ট আছেন? একই প্রশ্ন তো বার বার করার কিছু নেই।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের দলে জায়গা হয়েছে মাশরাফির। শেষ ম্যাচে তার জায়গা হবে কিনা নিশ্চিত নয়। তাইতো ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন মাশরাফি।

‘দলে জায়গা পাব কি পাব না সেটা নিঃসন্দেহে আমার ভাবনার জায়গা না। ম্যানেজমেন্টের ভাবনার জায়গা। এটা নিয়ে আমি একদমই ভাবছি না। দল নির্বাচনের আগেও আমি একদমই ভাবিনি। বোর্ডের সিদ্ধান্ত, টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।’

দেশের সফলতম অধিনায়ককে অবসর প্রসঙ্গে এমন প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হবে তা ভাবেনি অনেকেই। মাশরাফি কি বিব্রত। সাফ কথা, ‘কোনোভাবেই বিব্রত নই।’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল