ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

ঢাকা থেকে গলাচিপায় লঞ্চ চলবে না ৩ মাস।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর লোহালিয়া সেতুর নির্মাণকাজের জন্য ঢাকা থেকে গলাচিপা নৌপথে দোতলা লঞ্চ চলাচল ৩ মাসের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার ভোরে ঢাকা থেকে আসা এমভি বাগেরহাট-২ লঞ্চটিকে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছালে স্থানীয় প্রশাসন সব যাত্রীকে পটুয়াখালী নেমে যেতে নির্দেশ দেন। এ খবরে লঞ্চে থাকা নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আটকে যায় ব্যবসায়ীদের পণ্য। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উন্নয়নের জন্য কিছুটা ত্যাগ শিকার করতে হবে সবাইকে।

এখন থেকে ঢাকায় যেতে হলে গলাচিপা, আমখোলা, কলাগাছিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের পটুয়াখালী থেকে লঞ্চ ধরতে হবে এবং ঢাকা থেকে ফিরতেও পটুয়াখালীতে নেমে যেতে হবে তাঁদের। সেতুর নির্মাণকাজ চলার কারণে আগামী ৩ মাস এই ভোগান্তির পোহাতে হবে তাঁদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গলাচিপা টু ঢাকা রুটে চারটি দোতলা লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে রয়েছে এমভি পূবালি-৫, এমভি বাগেরহাট-২, এমভি আসা-যাওয়া-১ ও এমভি জামাল-৫। কিন্তু পটুয়াখালীর লোহালিয়া এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে একটি সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে। ওই সেতুর মাঝখানের অংশের কাজের জন্য পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আজ বুধবার ভোরে যাত্রীবাহী এমভি বাগেরহাট-২ লঞ্চটিকে পটুয়াখালী ঘাটে আটকে দেওয়া হয়। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে লঞ্চে থাকা তিন শতাধিক যাত্রী ও আটকে যায় ব্যবসায়ীদের পণ্য। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের পণ্য গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ভোগান্তির শিকার হন লঞ্চে থাকা নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘গলাচিপার দোতলা লঞ্চ বন্ধের জন্য এখনো আমরা কোনো নির্দেশনা দিইনি।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সব ধরনের লঞ্চের চলাচল সচল রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেতুর সেন্টারিং ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ করতে হয়েছে। উন্নয়নের জন্য এই সেক্রিফাইস করতে হবে। তিন মাস পর এ রুটে স্বাভাবিকভাবে নৌ চলাচল করতে পারবে। তবে ছোট ছোট নৌ যান চলাচল করবে।’###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

ঢাকা থেকে গলাচিপায় লঞ্চ চলবে না ৩ মাস।

আপডেট টাইম ০৯:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর লোহালিয়া সেতুর নির্মাণকাজের জন্য ঢাকা থেকে গলাচিপা নৌপথে দোতলা লঞ্চ চলাচল ৩ মাসের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার ভোরে ঢাকা থেকে আসা এমভি বাগেরহাট-২ লঞ্চটিকে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছালে স্থানীয় প্রশাসন সব যাত্রীকে পটুয়াখালী নেমে যেতে নির্দেশ দেন। এ খবরে লঞ্চে থাকা নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আটকে যায় ব্যবসায়ীদের পণ্য। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উন্নয়নের জন্য কিছুটা ত্যাগ শিকার করতে হবে সবাইকে।

এখন থেকে ঢাকায় যেতে হলে গলাচিপা, আমখোলা, কলাগাছিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের পটুয়াখালী থেকে লঞ্চ ধরতে হবে এবং ঢাকা থেকে ফিরতেও পটুয়াখালীতে নেমে যেতে হবে তাঁদের। সেতুর নির্মাণকাজ চলার কারণে আগামী ৩ মাস এই ভোগান্তির পোহাতে হবে তাঁদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গলাচিপা টু ঢাকা রুটে চারটি দোতলা লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে রয়েছে এমভি পূবালি-৫, এমভি বাগেরহাট-২, এমভি আসা-যাওয়া-১ ও এমভি জামাল-৫। কিন্তু পটুয়াখালীর লোহালিয়া এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে একটি সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে। ওই সেতুর মাঝখানের অংশের কাজের জন্য পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আজ বুধবার ভোরে যাত্রীবাহী এমভি বাগেরহাট-২ লঞ্চটিকে পটুয়াখালী ঘাটে আটকে দেওয়া হয়। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে লঞ্চে থাকা তিন শতাধিক যাত্রী ও আটকে যায় ব্যবসায়ীদের পণ্য। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের পণ্য গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ভোগান্তির শিকার হন লঞ্চে থাকা নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘গলাচিপার দোতলা লঞ্চ বন্ধের জন্য এখনো আমরা কোনো নির্দেশনা দিইনি।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সব ধরনের লঞ্চের চলাচল সচল রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেতুর সেন্টারিং ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ করতে হয়েছে। উন্নয়নের জন্য এই সেক্রিফাইস করতে হবে। তিন মাস পর এ রুটে স্বাভাবিকভাবে নৌ চলাচল করতে পারবে। তবে ছোট ছোট নৌ যান চলাচল করবে।’###