ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।। দুমকিতে নবজাতক শিশুকে হসপিটালে রেখে পালিয়ে গেলো মা। গজারিয়ার বালুয়াকান্দীতে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী কর্মী সভা রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াতে তাবলীগের নিছবতে ওলামায়েকেরামের আলোচনা সভা চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গরমিল, ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ামতপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

ঢাকার ধামরাইয়ে ১৫ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি বড় ভাকুলিয়া ধুম কেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়

অপু চক্রবর্তীর, ধামরাই (ঢাকা)

ঢাকার ধামরাইয়ে একেবারেই নিবৃত্ত পল্লী এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে ১৫ বছর পূর্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের বরাবর ৩৩ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিল করে দেন ভাকুলিয়া গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিরা।

শর্তঅনুযায়ী জমি দান করে দিলে পনের বছরেও সরকারীভাবে কোন স্বীকৃতিই পায়নি ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় , উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ৫ নং ওয়ার্ডে ছোট-বড় গ্রাম রয়েছে ৫ টি। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় চার হাজার। এ ওয়ার্ডে ছোট ছোট কোমনমতি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠেনি। এমনকি আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যেও কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।

বড় ভাকুলিয়া এলাকায় কোন বিদ্যালয় না থাকার কারণে কোমলমতি শিশুদের দূরের অন্য গ্রামের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন মহা-দুঃশ্চিতায়।

৫ নং ওয়ার্ডের অর্থাৎ ৫ টি গ্রামের কোমলমতি ছেলে- মেয়েদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিজেদের খরচে ১৯৯৪ সালে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এখানে টিন কাঠ/ বাশ দিয়ে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট দুইটি ঘরও নির্মাণ করা হয় । এ বিদ্যালয়ের নাম দেয়া হয় বড় ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এরপর ১৯৯৭ সাল থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরমধ্যেই ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের বরাবর ৩৩ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিল করে দেয়া হয়।

ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০২ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যায় অবৈতনিক শিক্ষকরা।

ওই সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির ও দায়িত্বে অবহেলা অন্যদিকে শিক্ষকদের সম্মানী না দেয়ার কারণে দিনে দিনে বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে।

বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম না চললে ও রয়েছে সেই টিনের ঘর ও সামনে রয়েছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। এ মাঠে বিকেলে ছোট ছোট ছেলে – মেয়েদের খেলা- ধূলা করতে দেখা যায়। মাঠে খেলা- ধূলার চর্চা থাকলেও নেই বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়া।

সরকারের কাছে গ্রাম বাসীর জোড়ালো দাবী বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে যেন সরকারি ভাবে তালিকা ভুক্ত করে পুণঃরায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।

এ প্রসঙ্গে চৌহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বড় ভাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সারোয়ার হোসেন সরকার বলেন, কোমলমতি শিশুদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে আমি আবুল কালাম আজাদ এবং রফিজ উদ্দিন সিদ্দিকী ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই ৬৭৯৩ নং দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ ভূমি স্কুলের নামে দান করে দিয়েছি।

চৌহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি বলেন, ওই গ্রামে বিদ্যালয় থাকাটা একান্তই জরুরি কেননা এর আশপাশেও কোন স্কুল নেই।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) তাজমু্ন্নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

ঢাকার ধামরাইয়ে ১৫ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি বড় ভাকুলিয়া ধুম কেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেট টাইম ১১:০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

অপু চক্রবর্তীর, ধামরাই (ঢাকা)

ঢাকার ধামরাইয়ে একেবারেই নিবৃত্ত পল্লী এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে ১৫ বছর পূর্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের বরাবর ৩৩ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিল করে দেন ভাকুলিয়া গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিরা।

শর্তঅনুযায়ী জমি দান করে দিলে পনের বছরেও সরকারীভাবে কোন স্বীকৃতিই পায়নি ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় , উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ৫ নং ওয়ার্ডে ছোট-বড় গ্রাম রয়েছে ৫ টি। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় চার হাজার। এ ওয়ার্ডে ছোট ছোট কোমনমতি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠেনি। এমনকি আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যেও কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।

বড় ভাকুলিয়া এলাকায় কোন বিদ্যালয় না থাকার কারণে কোমলমতি শিশুদের দূরের অন্য গ্রামের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন মহা-দুঃশ্চিতায়।

৫ নং ওয়ার্ডের অর্থাৎ ৫ টি গ্রামের কোমলমতি ছেলে- মেয়েদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিজেদের খরচে ১৯৯৪ সালে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এখানে টিন কাঠ/ বাশ দিয়ে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট দুইটি ঘরও নির্মাণ করা হয় । এ বিদ্যালয়ের নাম দেয়া হয় বড় ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এরপর ১৯৯৭ সাল থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরমধ্যেই ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের বরাবর ৩৩ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিল করে দেয়া হয়।

ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০২ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যায় অবৈতনিক শিক্ষকরা।

ওই সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির ও দায়িত্বে অবহেলা অন্যদিকে শিক্ষকদের সম্মানী না দেয়ার কারণে দিনে দিনে বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে।

বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম না চললে ও রয়েছে সেই টিনের ঘর ও সামনে রয়েছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। এ মাঠে বিকেলে ছোট ছোট ছেলে – মেয়েদের খেলা- ধূলা করতে দেখা যায়। মাঠে খেলা- ধূলার চর্চা থাকলেও নেই বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়া।

সরকারের কাছে গ্রাম বাসীর জোড়ালো দাবী বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে যেন সরকারি ভাবে তালিকা ভুক্ত করে পুণঃরায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।

এ প্রসঙ্গে চৌহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বড় ভাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সারোয়ার হোসেন সরকার বলেন, কোমলমতি শিশুদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে আমি আবুল কালাম আজাদ এবং রফিজ উদ্দিন সিদ্দিকী ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই ৬৭৯৩ নং দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ ভূমি স্কুলের নামে দান করে দিয়েছি।

চৌহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি বলেন, ওই গ্রামে বিদ্যালয় থাকাটা একান্তই জরুরি কেননা এর আশপাশেও কোন স্কুল নেই।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) তাজমু্ন্নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।