ঢাকার দোহারে বিয়ের চার দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়ির পুকুর থেকে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের শরীরের সঙ্গে কলসি বাঁধা ছিল বলে জানা যায়।
আজ সন্ধ্যার দিকে উপজেলার উত্তর জয়পাড়া–সংলগ্ন মিয়াপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নববধূর নাম শিখা আক্তার (১৮)। তিনি ওই এলাকার রুহুল আমীনের স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চারজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন রুহুল আমিনের চাচা মো. খোকন (৪৮), মা আসমা বেগম (৪৫), বোন ফারিয়া আক্তার (১৮) এবং ভাবি মোহনা আক্তার (১৯)। স্বামী রুহুল আমীন পলাতক।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার উপজেলার দোহারঘাটা এলাকার কুয়েতপ্রবাসী মো. সিরাজের মেয়ে শিখা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার মিয়াপাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেন মানুর ছেলে রুহুল আমিনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শনিবার বিয়ের বউভাত অনুষ্ঠান ছেলের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু রোববার রাত থেকে শিখা নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া গেলে তাঁকে সবাই খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিখার পরিবারের লোকজন তাঁর শ্বশুরবাড়ির পুকুরে কচুরিপানার নিচে কলসিবাঁধা অবস্থায় মরদেহ খুঁজে পান। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন।
লাশ পাওয়ার ঘটনায় শিখার আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়র রুহুল আমীনদের বাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে চারজন আটকের খবরে শিখা হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করে শিখার গ্রামের লোকজন।
এ বিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীরের সঙ্গে কলসিবাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’