ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

ড্রোন আমদানি নয়, রফতানি করবে বাংলাদেশ যে স্বপ্ন নিয়ে পাঁচ ড্রোন নির্মাণ করলেন রিয়াজ

তানজিন আহমেদ সাদ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি

দেশের প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখতে চান কুমিল্লার মেধাবী শিক্ষার্থী মীর শাহরিয়ার আলম। তিনি কাজ করছেন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের। একদিন বাংলাদেশ ড্রোন আমদানি নয়,রফতানি করবে; রোবট সোফিয়ার চেয়েও উন্নত রোবট তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেবে বাংলাদেশ। আর এ স্বপ্ন নিয়েই তিনি তৈরি করে ফেলেছেন ৫টি উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন।
বর্তমানে রিয়াজ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাজে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। এর আগে তিনি ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে (এমসিটি) স্নাতক করেছেন।
রিয়াজ বলেন, ড্রোন তৈরির শুরুর গল্পটা একটু অন্যরকম। এ আকাশযানের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় ২০১০ সালে, যখন তিনি কুমিল্লা জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সেই সময় বইয়ে আকাশজয়ের কাহিনি পড়ে তারও ইচ্ছা হলো একদিন তিনি নিজের তৈরি ড্রোন উড়াবেন এবং উন্নত রোবট বানাবেন।
তিনি বলেন, নিজে গবেষণা করে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তৈরি করে ফেলেন ৫টি ড্রোন। এগুলোর এয়ারফ্রেম তৈরি হয়েছে নিজস্ব প্রযুক্তির কর্কশিট, অ্যালুমিনিয়াম পাইপ ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে। সেন্সর হিসাবে ব্যবহার করেছেন এক্সিলেরোমিটার, গাইরোস্কোপ, ব্যারোমিটার ও জিপিএস সিস্টেম, যা স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহিত। আর হার্ডওয়্যার পরিচালনায় ব্যবহার করেছেন নিজের তৈরি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফটওয়্যার।
রিয়াজ জানায়, তার বানানো এ ড্রোনগুলো দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বন্যাকবলিত বা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ওষুধ ও ত্রাণ সরবরাহ, ভালো রেজুলেশনের ছবি, ভিডিও সংগ্রহ ও সরাসরি কোনো বিষয় সম্প্রচার করা সম্ভব। এমনকি এই ড্রোন দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা ও বিশৃঙ্খলা রোধে ট্র্যাকিংয়ের কাজও সম্ভব। একেকটি ড্রোন তৈরিতে তার খরচ পড়েছে মাত্র ২৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। অথচ বিদেশ থেকে কিনতে গেলে এসব ড্রোনের দাম পড়বে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।
রিয়াজের জন্ম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডোগা গ্রামের মীর পরিবারে। তার বাবা মীর শাহ আলম একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। এছাড়া জনকণ্ঠের প্রতিনিধি তিনি। মা গাজী নীলিমা ইয়াছমিন গৃহিণী। তারা কুমিল্লা শহরের রানীরদীঘির পাড়ে বসবাস করছে।
রিয়াজের বাবা মীর শাহ আলম জানান, সরকারি সুযোগ পেলে আরও উন্নত চাহিদা সম্পন্ন ড্রোন তৈরির ইচ্ছে রয়েছে রিয়াজের। ৩ মাস আগে গবেষণা ও লেখাপড়া করতে শাহরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সুযোগ পেলে কাজে লাগাবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

ড্রোন আমদানি নয়, রফতানি করবে বাংলাদেশ যে স্বপ্ন নিয়ে পাঁচ ড্রোন নির্মাণ করলেন রিয়াজ

আপডেট টাইম ০৮:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২

তানজিন আহমেদ সাদ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি

দেশের প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখতে চান কুমিল্লার মেধাবী শিক্ষার্থী মীর শাহরিয়ার আলম। তিনি কাজ করছেন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের। একদিন বাংলাদেশ ড্রোন আমদানি নয়,রফতানি করবে; রোবট সোফিয়ার চেয়েও উন্নত রোবট তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেবে বাংলাদেশ। আর এ স্বপ্ন নিয়েই তিনি তৈরি করে ফেলেছেন ৫টি উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন।
বর্তমানে রিয়াজ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাজে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। এর আগে তিনি ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে (এমসিটি) স্নাতক করেছেন।
রিয়াজ বলেন, ড্রোন তৈরির শুরুর গল্পটা একটু অন্যরকম। এ আকাশযানের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় ২০১০ সালে, যখন তিনি কুমিল্লা জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সেই সময় বইয়ে আকাশজয়ের কাহিনি পড়ে তারও ইচ্ছা হলো একদিন তিনি নিজের তৈরি ড্রোন উড়াবেন এবং উন্নত রোবট বানাবেন।
তিনি বলেন, নিজে গবেষণা করে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তৈরি করে ফেলেন ৫টি ড্রোন। এগুলোর এয়ারফ্রেম তৈরি হয়েছে নিজস্ব প্রযুক্তির কর্কশিট, অ্যালুমিনিয়াম পাইপ ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে। সেন্সর হিসাবে ব্যবহার করেছেন এক্সিলেরোমিটার, গাইরোস্কোপ, ব্যারোমিটার ও জিপিএস সিস্টেম, যা স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহিত। আর হার্ডওয়্যার পরিচালনায় ব্যবহার করেছেন নিজের তৈরি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফটওয়্যার।
রিয়াজ জানায়, তার বানানো এ ড্রোনগুলো দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বন্যাকবলিত বা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ওষুধ ও ত্রাণ সরবরাহ, ভালো রেজুলেশনের ছবি, ভিডিও সংগ্রহ ও সরাসরি কোনো বিষয় সম্প্রচার করা সম্ভব। এমনকি এই ড্রোন দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা ও বিশৃঙ্খলা রোধে ট্র্যাকিংয়ের কাজও সম্ভব। একেকটি ড্রোন তৈরিতে তার খরচ পড়েছে মাত্র ২৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। অথচ বিদেশ থেকে কিনতে গেলে এসব ড্রোনের দাম পড়বে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।
রিয়াজের জন্ম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডোগা গ্রামের মীর পরিবারে। তার বাবা মীর শাহ আলম একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। এছাড়া জনকণ্ঠের প্রতিনিধি তিনি। মা গাজী নীলিমা ইয়াছমিন গৃহিণী। তারা কুমিল্লা শহরের রানীরদীঘির পাড়ে বসবাস করছে।
রিয়াজের বাবা মীর শাহ আলম জানান, সরকারি সুযোগ পেলে আরও উন্নত চাহিদা সম্পন্ন ড্রোন তৈরির ইচ্ছে রয়েছে রিয়াজের। ৩ মাস আগে গবেষণা ও লেখাপড়া করতে শাহরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সুযোগ পেলে কাজে লাগাবে।