ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত গজারিয়ায় বালুয়াকান্দী অটো ড্রাইভার ও মালিক সমিতির উদ্যোগে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী সভা ও দোয়া মাহফিল

ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ডেঙ্গু মোকাবেলায় সমন্বিত ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি

ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম-০৩ নভেম্বর’২০২২খ্রি.
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেযর মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় সমন্বিত ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চসিকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলেও এককভাবে ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সে কারণে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বিধায় এই সভাটি অনেক গুরুত্ব বহন করে। বিগত তিন মাস ধরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু ও মশক বাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচানা করে আসছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জনসাধারনকে সচেতন করা হচ্ছে। মশক বাহিত রোগ প্রতিরোধে লক্ষ্যে স্থানীয় পত্রিকায় সচেতনতা মূলক ও সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার, কেবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করে প্রচার-প্রচারনা, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমেও প্রচার চালানো হচ্ছে। বাড়ির আঙ্গিনা নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলা ও এসির পানির ধারক, ডাবের খোসা প্রভৃতিতে পানি জমিয়ে না রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। রেড ক্রিসেন্ট ও আরবান ভলান্টিয়ারের যৌথ টিমের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে লিফলেট ও হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মশক নিধন কাজে অতীতে ২০০ জন স্প্রেমেনের স্থলে ৪০০ জন উন্নীত করা হয়েছে। ৮০টি ফগার মেশিন ও ৩২০ টি স্প্রে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোর কাজ চলমান আছে। সকল আবাসিক ও মহল্লা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়ে মহল্লা ও আবাসিকে বসবাসরত ভবন মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সচেতন করার পরামর্শ দেয়া হয়। মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে সেখানে ৩৬টি খাল খননের প্রয়াজনে যে বাঁধ অনেক জায়গায় দেয়া হয়েছিল আজ তিন বছর অতিবাহিত হলেও বাঁধ গুলোর মাটি অপসারণ করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকার ফলে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এমনকি এখন বৃষ্টিপাত না হলেও অনেক এলাকার বাসা বাড়ির আঙিনাতেও পানি জমে আছে ফলে নগরবাসীর ভোগান্তি থেকে পরিত্রান পাচ্ছে না। তিনি ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতাকে প্রাধান্য দিয়ে সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহŸান জানান। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বাটালিহিলস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক নগরীর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার মোঃ শামীম আহসান, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী, বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ডাঃ সুমন বড়–য়া, সিডিএ’র নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান, বিভাগীয় কীট তত্ত¡বিদ মোঃ মফিজুল হক শাহ, এভার কেয়ার হাসপাতালের জিএম ডাঃ ফজলে আকবর চৌধুরী।
এতে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমাম হোসেন, সিডিএ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ওসমান, তানভীর হোসেন, সার্জিকোপ হাসপাতালের ম্যানেজার মোঃ ইনামুল হক, শামীম আহমেদ হেলাল, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, ছাদ বাগান, নির্মাণাধীন ভবন, এসির পানি পাত্রে জমে থাকলে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সিডিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে। তাছাড়া দোকানের সামনে চিপসের খালি প্যাকেট, পলিথিন, ডাবের খোসা, টায়ার টিউব ইত্যাদিতেসহ কোথাও পানি জমে থাকা স্থান দৃশ্যমান হলে জরিমানার আওতায় আনার ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মকান্ডের সাথে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। মেয়র বেসরকারি ভাবে পরিচালিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা জানতে পরেছি নগরীরতে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু চিকিৎসায় জাতীয় গাইডলাইন অনুসরণ করছেন না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনকে বেসরকারি ক্লিনিকে জাতীয় গাইডলাইন অনুসারে ডেঙ্গুর চিকিৎসা সেবা প্রদানে তদারিকর আহŸান জানান। মেয়র বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে কমপক্ষে পাঁচটি শয্যা গরীব-অসহায় রোগীদের জন্য বিনামূল্যে সংরক্ষণে রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জন রোগী মারা গেছেন। তারা সকলে অন্তিম সময়ে হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। তবে আজ অবধি সহস্রাধিক রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছে। তাদের সবার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা আছে, যা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় হলে সেখানে প্রতিরোধের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা করেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদ বাগানের মালিকদের সচেতন হবার সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানা ও অবস্থান সংগ্রহ করে তাতে কুইক রেস্পন্স টিমের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আইইডিসিআর রিপোর্ট উল্লেখ করে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনটি কাজ সম্পন্ন করা আবশ্যক তা হলো মশক, পোষক ও পরিবেশ। এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন শুধু নালা নর্দমায় ঔষধ ছিটালেই এডিস মশা প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হবে না। সেক্ষেত্রে চসিককে নালায় ওষুধ ছিটানোর চাইতে সচেতনতার উপর জোর দিতে হবে। তিনি চসিক এলাকায় বিদ্যালয় সমূহে শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা এবং ফুলহাতা সার্ট ও সু-জুতা পরিধান করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
চসিকে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ ঙেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ পরিচালিত হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে ছাদ বাগানে পানি জমে না থাকার বিষয়টিকে তাঁর অনুষ্ঠানে সংযোজন করে জনসাধানকে উদ্ধুদ্ধ করনে অনুরোধ পত্র প্রেরন করার জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল

ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ডেঙ্গু মোকাবেলায় সমন্বিত ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি

আপডেট টাইম ০৯:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম-০৩ নভেম্বর’২০২২খ্রি.
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেযর মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় সমন্বিত ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চসিকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলেও এককভাবে ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সে কারণে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বিধায় এই সভাটি অনেক গুরুত্ব বহন করে। বিগত তিন মাস ধরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু ও মশক বাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচানা করে আসছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জনসাধারনকে সচেতন করা হচ্ছে। মশক বাহিত রোগ প্রতিরোধে লক্ষ্যে স্থানীয় পত্রিকায় সচেতনতা মূলক ও সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার, কেবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করে প্রচার-প্রচারনা, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমেও প্রচার চালানো হচ্ছে। বাড়ির আঙ্গিনা নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলা ও এসির পানির ধারক, ডাবের খোসা প্রভৃতিতে পানি জমিয়ে না রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। রেড ক্রিসেন্ট ও আরবান ভলান্টিয়ারের যৌথ টিমের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে লিফলেট ও হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মশক নিধন কাজে অতীতে ২০০ জন স্প্রেমেনের স্থলে ৪০০ জন উন্নীত করা হয়েছে। ৮০টি ফগার মেশিন ও ৩২০ টি স্প্রে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোর কাজ চলমান আছে। সকল আবাসিক ও মহল্লা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়ে মহল্লা ও আবাসিকে বসবাসরত ভবন মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সচেতন করার পরামর্শ দেয়া হয়। মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে সেখানে ৩৬টি খাল খননের প্রয়াজনে যে বাঁধ অনেক জায়গায় দেয়া হয়েছিল আজ তিন বছর অতিবাহিত হলেও বাঁধ গুলোর মাটি অপসারণ করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকার ফলে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এমনকি এখন বৃষ্টিপাত না হলেও অনেক এলাকার বাসা বাড়ির আঙিনাতেও পানি জমে আছে ফলে নগরবাসীর ভোগান্তি থেকে পরিত্রান পাচ্ছে না। তিনি ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতাকে প্রাধান্য দিয়ে সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহŸান জানান। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বাটালিহিলস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক নগরীর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার মোঃ শামীম আহসান, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী, বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ডাঃ সুমন বড়–য়া, সিডিএ’র নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান, বিভাগীয় কীট তত্ত¡বিদ মোঃ মফিজুল হক শাহ, এভার কেয়ার হাসপাতালের জিএম ডাঃ ফজলে আকবর চৌধুরী।
এতে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমাম হোসেন, সিডিএ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ওসমান, তানভীর হোসেন, সার্জিকোপ হাসপাতালের ম্যানেজার মোঃ ইনামুল হক, শামীম আহমেদ হেলাল, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, ছাদ বাগান, নির্মাণাধীন ভবন, এসির পানি পাত্রে জমে থাকলে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সিডিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে। তাছাড়া দোকানের সামনে চিপসের খালি প্যাকেট, পলিথিন, ডাবের খোসা, টায়ার টিউব ইত্যাদিতেসহ কোথাও পানি জমে থাকা স্থান দৃশ্যমান হলে জরিমানার আওতায় আনার ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মকান্ডের সাথে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। মেয়র বেসরকারি ভাবে পরিচালিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা জানতে পরেছি নগরীরতে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু চিকিৎসায় জাতীয় গাইডলাইন অনুসরণ করছেন না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনকে বেসরকারি ক্লিনিকে জাতীয় গাইডলাইন অনুসারে ডেঙ্গুর চিকিৎসা সেবা প্রদানে তদারিকর আহŸান জানান। মেয়র বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে কমপক্ষে পাঁচটি শয্যা গরীব-অসহায় রোগীদের জন্য বিনামূল্যে সংরক্ষণে রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জন রোগী মারা গেছেন। তারা সকলে অন্তিম সময়ে হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। তবে আজ অবধি সহস্রাধিক রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছে। তাদের সবার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা আছে, যা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় হলে সেখানে প্রতিরোধের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা করেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদ বাগানের মালিকদের সচেতন হবার সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানা ও অবস্থান সংগ্রহ করে তাতে কুইক রেস্পন্স টিমের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আইইডিসিআর রিপোর্ট উল্লেখ করে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনটি কাজ সম্পন্ন করা আবশ্যক তা হলো মশক, পোষক ও পরিবেশ। এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন শুধু নালা নর্দমায় ঔষধ ছিটালেই এডিস মশা প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হবে না। সেক্ষেত্রে চসিককে নালায় ওষুধ ছিটানোর চাইতে সচেতনতার উপর জোর দিতে হবে। তিনি চসিক এলাকায় বিদ্যালয় সমূহে শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা এবং ফুলহাতা সার্ট ও সু-জুতা পরিধান করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
চসিকে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ ঙেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ পরিচালিত হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে ছাদ বাগানে পানি জমে না থাকার বিষয়টিকে তাঁর অনুষ্ঠানে সংযোজন করে জনসাধানকে উদ্ধুদ্ধ করনে অনুরোধ পত্র প্রেরন করার জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান।