ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ঠাকুরগাঁওয়ে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল বলছে বিষ পান

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:- ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মারামারিতে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত হওয়ার পর চিৎসাধীন অবস্থায় এক প্রতিবেশীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু হাসপাতাল বলছে বিষপান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুর ১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

২৮ বছর বয়সী নিহত জাবেদ ইসলাম কাজিপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে।

আটক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলম সদর উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে কাজিপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যাম মোঃ সোহাগ এবং আটকের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম।

ইউপি সদস্য সোহাগ বলেন, আহত জাবেদ ইসলাম হাসপাতালে মারাগেছে খবর পেয়েছি। গত সপ্তাহে গ্রামের দুই পরিবারের দুই ছোট বাচ্চা মাঠে খেলতে গিয়ে হাতাহাতি করে। এ নিয়ে পরিবার দুটির মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলমসহ উভয়পক্ষ আমার কার্যালয়ে আসলে আমি তাদের চিকিৎসার পরামর্শ দেই।

স্থানীয়দের বরাতে চেয়ারম্যান বলেন, পরবর্তীতে কদিন বাদে তারা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসলে আবারও তর্কে জড়িয়ে মারামারি করে। এসময় উভয় পক্ষ আবারও আহত হয়৷ এতে জাবেদের গোপনাঙ্গ চেপে ধরার অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষ এক মহিলার বিরুদ্ধে। এদিন সংঘর্ষে অপর পক্ষের এক নারী গুরুতর যখম হলে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোমেনা বেগম বলেন, গত ৭ মার্চ তারিখে দ্বিতীয়বারোর মতো মারামারি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। জাবেদকে ধরে মারপিট করে রনি ও তার বৌ মামুনি আক্তার। এ সময় রনীর বৌ জাবেদোর গোপনাঙ্গ চেপে ধরলে জাবেদ বাঁচাও বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। গতকাল সে আবারও অসুস্থ

ওসি তানভীরুল জানান, এ ধরনের মারামারির ঘটনায় গতকাল জাবেদের অভিযোগের প্রেক্ষীতে মামলা দায়ের হয়েছে। এতে রনি ও তার স্ত্রী মামুনি সহ আরও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

ওসি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সে তার স্ত্রীর সাথে রংপুরে আছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল হাসান চয়ন বলেন, জাবেদ গত ৭ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসা নিয়ে সে বাসায় যায়। গতকাল সে বিষপান করে অসুস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়। জাবেদের মৃত্যুতে রহস্য রয়েছে আমরা তদন্ত করছি বিষয়টি।

নিহতের স্ত্রী লিপি আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিষ পান করেনি। গোপানাঙ্গ চেপে ধরার কারনে তীব্র ব্যাথায় বেশ কদিন ধরে কাতরাচ্ছিল স্বামী। তাই গতকাল হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম।

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

ঠাকুরগাঁওয়ে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল বলছে বিষ পান

আপডেট টাইম ০৯:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:- ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মারামারিতে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত হওয়ার পর চিৎসাধীন অবস্থায় এক প্রতিবেশীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু হাসপাতাল বলছে বিষপান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুর ১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

২৮ বছর বয়সী নিহত জাবেদ ইসলাম কাজিপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে।

আটক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলম সদর উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে কাজিপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যাম মোঃ সোহাগ এবং আটকের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম।

ইউপি সদস্য সোহাগ বলেন, আহত জাবেদ ইসলাম হাসপাতালে মারাগেছে খবর পেয়েছি। গত সপ্তাহে গ্রামের দুই পরিবারের দুই ছোট বাচ্চা মাঠে খেলতে গিয়ে হাতাহাতি করে। এ নিয়ে পরিবার দুটির মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলমসহ উভয়পক্ষ আমার কার্যালয়ে আসলে আমি তাদের চিকিৎসার পরামর্শ দেই।

স্থানীয়দের বরাতে চেয়ারম্যান বলেন, পরবর্তীতে কদিন বাদে তারা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসলে আবারও তর্কে জড়িয়ে মারামারি করে। এসময় উভয় পক্ষ আবারও আহত হয়৷ এতে জাবেদের গোপনাঙ্গ চেপে ধরার অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষ এক মহিলার বিরুদ্ধে। এদিন সংঘর্ষে অপর পক্ষের এক নারী গুরুতর যখম হলে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোমেনা বেগম বলেন, গত ৭ মার্চ তারিখে দ্বিতীয়বারোর মতো মারামারি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। জাবেদকে ধরে মারপিট করে রনি ও তার বৌ মামুনি আক্তার। এ সময় রনীর বৌ জাবেদোর গোপনাঙ্গ চেপে ধরলে জাবেদ বাঁচাও বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। গতকাল সে আবারও অসুস্থ

ওসি তানভীরুল জানান, এ ধরনের মারামারির ঘটনায় গতকাল জাবেদের অভিযোগের প্রেক্ষীতে মামলা দায়ের হয়েছে। এতে রনি ও তার স্ত্রী মামুনি সহ আরও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

ওসি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সে তার স্ত্রীর সাথে রংপুরে আছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল হাসান চয়ন বলেন, জাবেদ গত ৭ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসা নিয়ে সে বাসায় যায়। গতকাল সে বিষপান করে অসুস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়। জাবেদের মৃত্যুতে রহস্য রয়েছে আমরা তদন্ত করছি বিষয়টি।

নিহতের স্ত্রী লিপি আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিষ পান করেনি। গোপানাঙ্গ চেপে ধরার কারনে তীব্র ব্যাথায় বেশ কদিন ধরে কাতরাচ্ছিল স্বামী। তাই গতকাল হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম।

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার