ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করবে হুয়াওয়ে-বিকাশ

স্টাফ রিপোর্টার :

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবে হুয়াওয়ে এবং বিকাশ। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সম্প্রতি (২৯ মার্চ) হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তি সই করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল পেমেন্ট অপারেটর বিকাশ ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে মোবাইল আর্থিক সেবা দিচ্ছে এবং প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণ করছে। হুয়াওয়ে- এর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফাইন্যান্স সলিউশনের মাধ্যমে বিকাশের সেবা প্রদানে আরো গতিশীলতা আনছে।

চুক্তিতে সই করেন- হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর।

‘স্মার্ট ফিনটেক: ইনক্লুসিভ. ইনোভেটিভ. ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর এই সহযোগিতার তাৎপর্য তুলে ধরেন।

কামাল কাদীর বলেন, “২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিকাশ সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের এই সময়ে আমরা একটি ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম এবং স্মার্ট জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিকাশ ও হুয়াওয়ের যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা।”

ফিনটেক পণ্যের বিকাশের পর থেকে হুয়াওয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে এর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করেছে। হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে।

প্যান জুনফেং, প্রেসিডেন্ট, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন এবং সিইও, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করাই হলো হুয়াওয়ে এবং বিকাশের মধ্যে এই সমঝোতার অন্যতম লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) খাতকে ডিজিটালাইজ করার জন্য বিকাশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ই-ওয়ালেট ও ন্যানো-লোনের মতো পরিষেবা দিচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করছে এবং উদ্ভাবন নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশের আরও বেশি মানুষকে ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির সুবিধা গ্রহণ করার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে আমাদের এই সহযোগিতা আরও জোরদার করবো।”

ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ‘স্মার্ট ফিনটেক, অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণা’ এই ধরনের ধারণা। আমাদের প্রেক্ষাপটে এই শব্দগুলোর গুরুত্ব অনেক। আমি মনে করি, হুয়াওয়ে এবং বিকাশ উভয়েই বিষয়টি উপলব্ধি করে এর বাস্তবায়নে কাজ করছে। ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক এই সমঝোতা উদ্যোগটি বাস্তবায়নে আরও সহায়ক হবে।”

ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুজান ভাইজ বলেন, “এসডিজি আমার কাছে একটি ভিশন। এসডিজি হলো সেই গন্তব্য যেখানে আমরা ২০৩০-এ পৌঁছাতে চাই এবং এক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথেই আছি। আমি মনে করি যে, স্মার্ট ফিনটেক সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকরী মাধ্যম।”

———-

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করবে হুয়াওয়ে-বিকাশ

আপডেট টাইম ০৮:২৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবে হুয়াওয়ে এবং বিকাশ। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সম্প্রতি (২৯ মার্চ) হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তি সই করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল পেমেন্ট অপারেটর বিকাশ ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে মোবাইল আর্থিক সেবা দিচ্ছে এবং প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণ করছে। হুয়াওয়ে- এর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফাইন্যান্স সলিউশনের মাধ্যমে বিকাশের সেবা প্রদানে আরো গতিশীলতা আনছে।

চুক্তিতে সই করেন- হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর।

‘স্মার্ট ফিনটেক: ইনক্লুসিভ. ইনোভেটিভ. ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর এই সহযোগিতার তাৎপর্য তুলে ধরেন।

কামাল কাদীর বলেন, “২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিকাশ সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের এই সময়ে আমরা একটি ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম এবং স্মার্ট জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিকাশ ও হুয়াওয়ের যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা।”

ফিনটেক পণ্যের বিকাশের পর থেকে হুয়াওয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে এর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করেছে। হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে।

প্যান জুনফেং, প্রেসিডেন্ট, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন এবং সিইও, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করাই হলো হুয়াওয়ে এবং বিকাশের মধ্যে এই সমঝোতার অন্যতম লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) খাতকে ডিজিটালাইজ করার জন্য বিকাশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ই-ওয়ালেট ও ন্যানো-লোনের মতো পরিষেবা দিচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করছে এবং উদ্ভাবন নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশের আরও বেশি মানুষকে ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির সুবিধা গ্রহণ করার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে আমাদের এই সহযোগিতা আরও জোরদার করবো।”

ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ‘স্মার্ট ফিনটেক, অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণা’ এই ধরনের ধারণা। আমাদের প্রেক্ষাপটে এই শব্দগুলোর গুরুত্ব অনেক। আমি মনে করি, হুয়াওয়ে এবং বিকাশ উভয়েই বিষয়টি উপলব্ধি করে এর বাস্তবায়নে কাজ করছে। ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক এই সমঝোতা উদ্যোগটি বাস্তবায়নে আরও সহায়ক হবে।”

ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুজান ভাইজ বলেন, “এসডিজি আমার কাছে একটি ভিশন। এসডিজি হলো সেই গন্তব্য যেখানে আমরা ২০৩০-এ পৌঁছাতে চাই এবং এক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথেই আছি। আমি মনে করি যে, স্মার্ট ফিনটেক সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকরী মাধ্যম।”

———-