ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

টুয়াখালীর গলাচিপায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর:  পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ধর্ষিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।এছাড়া, পুলিশ ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ধর্ষক শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী (৪০) উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরআগস্তি গ্রামের মৃত মকবুল ফরাজীর ছেলে। মোহাম্মদ ফরাজী একই ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের নিজ বাড়িতে ‘হাদিউল উম্মা মহিলা মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করে নিজেই এটি পরিচালনা ও শিক্ষকতা করে আসছে।আবাসিক এ মাদ্রাসায় বেশ কয়েকজন মেয়ে শিশুকে রেখে পড়ানো হয়। ধর্ষিত শিশুটি (১১) ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বড় বোন (১৪) একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করে।মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার দিন ২৯ জুন শনিবার সকাল ৬ টার দিকে শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী শিশুটিকে বসতঘরের বারান্দায় ডেকে নেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি তার বড়বোনকে নিয়ে ওইদিন দুপুরে বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, আজ শনিবার এ ঘটনায় ধর্ষিত শিশুর বাবা মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।তাৎক্ষণিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীর ছোট ভাই ইব্রাহিম ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ইব্রাহিম ফরাজীও একই এলাকায় কেবলমাত্র শিশু ছেলেদের নিয়ে অপর একটি আবাসিক মাদ্রাসা পরিচালনা করে।ধর্ষক মোহাম্মদ ফরাজীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণের এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাপক অপচেষ্টা করেছে। ধর্ষিত শিশুর পরিবারকে মামলা দায়েরে বাধা দেয়া হয়েছে। আপোষরফার চেষ্টা করা হয়েছে। যে কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব ঘটেছে!!
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

টুয়াখালীর গলাচিপায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৯:১৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর:  পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ধর্ষিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।এছাড়া, পুলিশ ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ধর্ষক শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী (৪০) উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরআগস্তি গ্রামের মৃত মকবুল ফরাজীর ছেলে। মোহাম্মদ ফরাজী একই ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের নিজ বাড়িতে ‘হাদিউল উম্মা মহিলা মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করে নিজেই এটি পরিচালনা ও শিক্ষকতা করে আসছে।আবাসিক এ মাদ্রাসায় বেশ কয়েকজন মেয়ে শিশুকে রেখে পড়ানো হয়। ধর্ষিত শিশুটি (১১) ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বড় বোন (১৪) একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করে।মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার দিন ২৯ জুন শনিবার সকাল ৬ টার দিকে শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী শিশুটিকে বসতঘরের বারান্দায় ডেকে নেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি তার বড়বোনকে নিয়ে ওইদিন দুপুরে বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, আজ শনিবার এ ঘটনায় ধর্ষিত শিশুর বাবা মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।তাৎক্ষণিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীর ছোট ভাই ইব্রাহিম ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ইব্রাহিম ফরাজীও একই এলাকায় কেবলমাত্র শিশু ছেলেদের নিয়ে অপর একটি আবাসিক মাদ্রাসা পরিচালনা করে।ধর্ষক মোহাম্মদ ফরাজীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণের এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাপক অপচেষ্টা করেছে। ধর্ষিত শিশুর পরিবারকে মামলা দায়েরে বাধা দেয়া হয়েছে। আপোষরফার চেষ্টা করা হয়েছে। যে কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব ঘটেছে!!