মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা) যশোরের চৌগাছা উপজেলার ধান চাষীরা এবার পর পর দুইদিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। দ্বিগুণ দামে ক্ষেতের মুজরি দিলেও পাচ্ছেনা প্রয়োজন মতো ক্ষেত মজুর।
ভারত থেকে আসা ঘূর্ণি ঝড় ফণীর প্রভাবে গত কাল ও আজ শনিবার সারা দিন হালকা ঝড় সাথে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার চৌগাছা উপজেলায় ১৮৩০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়।
ধানের ফুল আসার সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ শিলা বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়, তারপরেও তুলনা মূলক ধান অনেক ভালো ফলন দেখা যায়।
ঘূর্ণি ঝড় ফণীর প্রভাবে চৌগাছা উপজেলার বেশির ভাগ জমিতে চাষীরা তাদের স্বপ্ন ও সাধনার ফসল সোনালী ফসল ধান ঘরে তুলতে পারিনি, অনেকে আবার বৃষ্টির আগে জমি থেকে ধান বাড়ি নিলেও সে গুলা মাড়াই করতে পারিনি।
লস্কারপুর গ্রামের তরুণ কৃষক মাজিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে জানান, আমাদের মাঠের বেশির ভাগ জমির ধান চাষীরা ঘরে তুলতে পারিনি, মাত্রা অতিরিক্ত বৃষ্টি ও চাহিদা তুলনায় কম শ্রমিক পাওয়ার কারনে আমরা সময় মতো ধান কাটা, বান্দা ও মাড়ায় করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের খরচ হয়েছে ১৪থেকে ১৫ হাজার টাকা।
যদি ভালো ফলন হল তবে ১ বিঘা জমিতে ২৪ থেকে ২৫ মণ ধান পাওয়া যাবে।
এই ধান বাজারে বিক্রি করলে বড় জোর ১৭হাজার ও তার কম টাকা হতে পারে।
একে তো ধানের ফলনের থেকেও তুলনা মূলক খরচ অনেক বেশি তারপরে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে ফসল ক্ষয়-ক্ষতি ভাবনায় চৌগাছার কৃষক দিশেহারা।