মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে র্যাবের অভিযানে, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আগুন পাগলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের নাম এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শফিকুল ইসলাম ওরফে পাকুল ওরফে আগুন পাগলা। অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব-১৪) এর দস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে, টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গতকাল নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় তার মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। টাঙ্গাইলের বাসাইল থানায় ১৯৮৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই শফিকুল পলাতক ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতেই ১৯৮৯ সালে শফিকুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। রায়ের খবর পেয়ে শফিকুল নিজের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন মোঃ হেলাল উদ্দিন চিশতী এবং পিতার নাম মুকছেদ আলীর পরিবর্তে মোসলেম উদ্দিন চিশতী ব্যবহার করে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করেন। আর সেখানে প্রকৃত ঠিকানাও পরিবর্তন করা হয়। এভাবেই তিনি নিজের আসল পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করেন এবং বিভিন্ন মাঝারে ভক্তিমূলক গানের দলে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। এ কারনে মাজার এলাকাগুলোতে তিনি নিজেকে আগুন পাগলা হিসেবে পরিচয় দিতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শফিকুল ইসলাম নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় তার মেয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল তার আসল পরিচয় গোপন করে ভূয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়ত্র তৈরির কথা স্বীকার করেন। গ্রেপ্তারকৃত শফিকুলকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আগুন পাগলা গ্রেপ্তার
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৩:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
- ৫৯২ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ