ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

টাঙ্গাইলে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে ৩ যুবকের মৃত্যুদন্ড

মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধষর্ণের পর হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদন্ডর আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই মামলার আরেক আসামীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বেলা ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিতরা হলেন- জেলার গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ দাস, ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। এছাড়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একই গ্রামের মেহেদী হাসান টিটুকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ।
তিনি জানান, ২০২১ সালের ২ আগস্ট টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের খোকন মিয়ার স্কুল পড়–য়া খোদেজা খাতুন বাড়ি থেকে নানির বাড়ি যাওয়ার উদ্যেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে কোথাও না পেয়ে ৪ আগস্ট গোপালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করতে যান খোকন মিয়া। পরে থানা থেকে তাকে জানানো হয় মেয়ের একটি ছবি নিয়ে আসতে হবে। এ কথা শুনে ছবি আনতে বাড়িতে চলে যান খোদেজার স্বজনরা। ওইদিনই ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর যমুনা নদীর পারে বস্তাবন্দি একটি মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ময়নাতদন্তের পর নিহতের কোন পরিচয় না পাওয়ায় ওইদিনই বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি উপজেলার ছাব্বিশা কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছবি দেখে স্বজনরা উদ্ধার হওয়া মরদেহটি খোদেজার বলে শনাক্ত করে তার পরিবারের লোকজন। পরে নিহতের বাবা খোকন মিয়া বাদি হয়ে ৬ আগস্ট ভূঞাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। পরে তথ্য ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয়, মিজানুর রহমান বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এছাড়াও প্রতিবেদনে মেহেদী হাসান টিটুর নাম বাদ দেয়া হয়।

আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে তিনজনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া প্রতিবেদনে নাম না থাকায় একজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। রায় ঘোষনার পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও মিজানুর রহমানকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

টাঙ্গাইলে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে ৩ যুবকের মৃত্যুদন্ড

আপডেট টাইম ০৩:১৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধষর্ণের পর হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদন্ডর আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই মামলার আরেক আসামীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বেলা ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিতরা হলেন- জেলার গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ দাস, ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। এছাড়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একই গ্রামের মেহেদী হাসান টিটুকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ।
তিনি জানান, ২০২১ সালের ২ আগস্ট টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের খোকন মিয়ার স্কুল পড়–য়া খোদেজা খাতুন বাড়ি থেকে নানির বাড়ি যাওয়ার উদ্যেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে কোথাও না পেয়ে ৪ আগস্ট গোপালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করতে যান খোকন মিয়া। পরে থানা থেকে তাকে জানানো হয় মেয়ের একটি ছবি নিয়ে আসতে হবে। এ কথা শুনে ছবি আনতে বাড়িতে চলে যান খোদেজার স্বজনরা। ওইদিনই ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর যমুনা নদীর পারে বস্তাবন্দি একটি মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ময়নাতদন্তের পর নিহতের কোন পরিচয় না পাওয়ায় ওইদিনই বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি উপজেলার ছাব্বিশা কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছবি দেখে স্বজনরা উদ্ধার হওয়া মরদেহটি খোদেজার বলে শনাক্ত করে তার পরিবারের লোকজন। পরে নিহতের বাবা খোকন মিয়া বাদি হয়ে ৬ আগস্ট ভূঞাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। পরে তথ্য ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয়, মিজানুর রহমান বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এছাড়াও প্রতিবেদনে মেহেদী হাসান টিটুর নাম বাদ দেয়া হয়।

আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে তিনজনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া প্রতিবেদনে নাম না থাকায় একজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। রায় ঘোষনার পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত শ্রী কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও মিজানুর রহমানকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।