ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।। দুমকিতে নবজাতক শিশুকে হসপিটালে রেখে পালিয়ে গেলো মা। গজারিয়ার বালুয়াকান্দীতে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী কর্মী সভা রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াতে তাবলীগের নিছবতে ওলামায়েকেরামের আলোচনা সভা চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গরমিল, ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ামতপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সেতুর এপ্রোচ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে হাজারো জনগণ

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধুবড়িয়া ইউনিয়নে কান্দা পাচুরিয়া এলাকায় প্রায় দেড় বছরেও তৈরি হয়নি সেতুর দুইপাশে চলাচলের সড়ক। ফলে সেতু নির্মাণের সুবিধা পাচ্ছে না আশেপাশের অন্তত পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার জনগণ। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে সড়ক প্লাবিত এবং বৃষ্টির দিনে সড়কে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ায় নাজেহাল স্থানীয় এলাকাবাসী। এমতাবস্থায় সেতু নির্মাণ হলেও সড়ক না থাকায় আরো বিপাকে পড়েছে সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বিষমপুর, বলারামপুর ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর কয়েক হাজার মানুষের উপজেলার সদরে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক ব্যবস্থা এটি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নাগরপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নয়নের চেষ্টা চললেও এই গ্রামগুলো ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। ফলে উন্নয়ন বঞ্চিত গ্রামগুলোতে বসবাসরত মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীতে কান্দা পাচুরিয়া-বিষমপুর-চকগদাধর সড়কে এই সেতু নির্মাণ হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে কান্দা পাচুরিয়ার সাবেক শাখাওয়াত চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন স্থানে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেও তৈরি হয়নি পারাপারের সংযোগ সড়ক। দেড় বছরেও সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজমান । এছাড়াও সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় পায়ে হাঁটার পথটি বর্ষার ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকায় সমস্যাটি এখন চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সিএনজি চালক আনোয়ার বলেন, সেতু থাকতেও আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। এই সেতু নির্মাণের আগে নৌকায় যেভাবে পাড় হয়েছি এখনও সেতুতে সড়ক না থাকায় একইভাবে পারাপার হতে হয়। সেতু যদি ব্যবহার না করা যায়, সেই সেতু থেকে লাভ কি। ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় ১ বছর যাবৎ সেতুটি এভাবেই পড়ে আছে। ঠিকাদারকে বার বার বলা হলেও এখনো এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করেনি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলী আজম তরিক বলেন, আমরা দ্রুত চেষ্টা করছি এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের। আমাদের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানায়, ওয়ার্ক অর্ডার করার পর দ্রুত সময়ে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু বন্যার ও করোনা মহামারীর কারণে এপ্রোচ সড়ক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী কাজের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী ঠিকাদার সঠিক সময়ে কাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০১৮-২০১৯ সালে প্রায় ১,৫৫,৬৯,৭৪৪.৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কান্দা পাচুরিয়া থেকে ধুবড়িয়া সদরে সরাসরি যাতায়াতে ১৫ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণের কাজ পান সুমন কুমার বণিক ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১ বছর পর ২০২১ সালে ওই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সেতু নির্মাণের পর দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির জন্য ২৯৫০ মিটার চেইনেজে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাটের কাজ শেষ করেনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সেতুর এপ্রোচ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে হাজারো জনগণ

আপডেট টাইম ০১:২১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধুবড়িয়া ইউনিয়নে কান্দা পাচুরিয়া এলাকায় প্রায় দেড় বছরেও তৈরি হয়নি সেতুর দুইপাশে চলাচলের সড়ক। ফলে সেতু নির্মাণের সুবিধা পাচ্ছে না আশেপাশের অন্তত পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার জনগণ। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে সড়ক প্লাবিত এবং বৃষ্টির দিনে সড়কে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ায় নাজেহাল স্থানীয় এলাকাবাসী। এমতাবস্থায় সেতু নির্মাণ হলেও সড়ক না থাকায় আরো বিপাকে পড়েছে সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বিষমপুর, বলারামপুর ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর কয়েক হাজার মানুষের উপজেলার সদরে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক ব্যবস্থা এটি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নাগরপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নয়নের চেষ্টা চললেও এই গ্রামগুলো ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। ফলে উন্নয়ন বঞ্চিত গ্রামগুলোতে বসবাসরত মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীতে কান্দা পাচুরিয়া-বিষমপুর-চকগদাধর সড়কে এই সেতু নির্মাণ হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে কান্দা পাচুরিয়ার সাবেক শাখাওয়াত চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন স্থানে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেও তৈরি হয়নি পারাপারের সংযোগ সড়ক। দেড় বছরেও সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজমান । এছাড়াও সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় পায়ে হাঁটার পথটি বর্ষার ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকায় সমস্যাটি এখন চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সিএনজি চালক আনোয়ার বলেন, সেতু থাকতেও আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। এই সেতু নির্মাণের আগে নৌকায় যেভাবে পাড় হয়েছি এখনও সেতুতে সড়ক না থাকায় একইভাবে পারাপার হতে হয়। সেতু যদি ব্যবহার না করা যায়, সেই সেতু থেকে লাভ কি। ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় ১ বছর যাবৎ সেতুটি এভাবেই পড়ে আছে। ঠিকাদারকে বার বার বলা হলেও এখনো এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করেনি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলী আজম তরিক বলেন, আমরা দ্রুত চেষ্টা করছি এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের। আমাদের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানায়, ওয়ার্ক অর্ডার করার পর দ্রুত সময়ে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু বন্যার ও করোনা মহামারীর কারণে এপ্রোচ সড়ক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী কাজের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী ঠিকাদার সঠিক সময়ে কাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০১৮-২০১৯ সালে প্রায় ১,৫৫,৬৯,৭৪৪.৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কান্দা পাচুরিয়া থেকে ধুবড়িয়া সদরে সরাসরি যাতায়াতে ১৫ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণের কাজ পান সুমন কুমার বণিক ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১ বছর পর ২০২১ সালে ওই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সেতু নির্মাণের পর দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির জন্য ২৯৫০ মিটার চেইনেজে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাটের কাজ শেষ করেনি।