ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মোঃ মশিউর রহমান/ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
সরিষা ফুলের হলুদ রঙ্গে ছেয়ে গেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষিমাঠ। চারপাশে হলুদ ফুল আর সবুজ পাতার সমারোহে প্রকৃতি সেজেছে নতুন রুপে। এ যেন ঘন কুয়াশার মাঝে কনকনে শীতে প্রকৃতি যেন হলুদ চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে রেখেছেন।
নয়নাভিরাম এ দৃশ্য চার দিকে এক আবেশি পরিবেশের সাথে মাধুর্যতায় ভরে দিয়েছে সরষে ফুলের ঘ্রাণ।
এবার ঘাটাইলে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে মুখেও আনন্দের রেখা ফুটে উঠেছে। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে গুন গুন শব্দে ছুটে চলছে এক ক্ষেত থেকে আরেক ক্ষেতে। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যেমৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঘাটাইলের ফসলি মাঠ।
আবহাওয়া অনুকলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন এ অঞ্চলের সরষে চাষীরা।
সরেজমিনে উপজেলার ধলাপাড়া, ঘাটাইল সদর, দেউলাবাড়ি,জামুরিয়া ও দিঘলকান্দি ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে কোন ফসলের চেয়ে সরষের আবাদ অনেক লাভজনক ও খরচ তুলনামুলক অনেক কম। তাছাড়া এ ফসলের বাজার সব সময় ভাল থাকে, ফলনও ভাল হয়।
ধলাপাড়া ইউনিয়নের মুসল্লিপাড়া গ্রামের রাধন দেবনাথ জানান, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমদিকে কৃষকরা সরিষার বীজ বুনে থাকে। কৃষকরা খুব কম সময়ে সরিষা ঘরে তুলতে পারে।
একই এলাকার মনির হোসেন বলেন, আমি দুই একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রচুর ফলন হয়েছে, আশা করি দামও ভালো পাবো। তবে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের পাশাপাশি সরিষার ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে এখানকার কৃষকরা আরও বেশি উপকৃত হতো।
প্রায় একই কথা বলেছেন বিভিন্ন ইউনিয়নের ডজন খানেক কৃষক।
অপরদিকে আবাদি সরষে ফুল থেকে মৌমাছি মধু আহরণ করছে উপজেলার কান্দুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের ও গাংগাইর গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া।
তারা জানান, এবার চার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এতে খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, উপজেলায় ২ হাজার ২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। কম খরচে অধিক মুনাফা পাওয়া যায় বলে প্রতি বছরই সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের ৫৫৭ হেক্টর জমিতে আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে ও বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার আবাদ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদের জন্য সব সময়ই উৎসাহ ও সহায়ত করে থাকি। উপযুক্ত বীজ নির্বাচন, সুষম সার প্রয়োগে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি।
এ বছর আবহাওয়া অনুকলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট টাইম ০৬:৩৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
মোঃ মশিউর রহমান/ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
সরিষা ফুলের হলুদ রঙ্গে ছেয়ে গেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষিমাঠ। চারপাশে হলুদ ফুল আর সবুজ পাতার সমারোহে প্রকৃতি সেজেছে নতুন রুপে। এ যেন ঘন কুয়াশার মাঝে কনকনে শীতে প্রকৃতি যেন হলুদ চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে রেখেছেন।
নয়নাভিরাম এ দৃশ্য চার দিকে এক আবেশি পরিবেশের সাথে মাধুর্যতায় ভরে দিয়েছে সরষে ফুলের ঘ্রাণ।
এবার ঘাটাইলে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে মুখেও আনন্দের রেখা ফুটে উঠেছে। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে গুন গুন শব্দে ছুটে চলছে এক ক্ষেত থেকে আরেক ক্ষেতে। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যেমৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঘাটাইলের ফসলি মাঠ।
আবহাওয়া অনুকলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন এ অঞ্চলের সরষে চাষীরা।
সরেজমিনে উপজেলার ধলাপাড়া, ঘাটাইল সদর, দেউলাবাড়ি,জামুরিয়া ও দিঘলকান্দি ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে কোন ফসলের চেয়ে সরষের আবাদ অনেক লাভজনক ও খরচ তুলনামুলক অনেক কম। তাছাড়া এ ফসলের বাজার সব সময় ভাল থাকে, ফলনও ভাল হয়।
ধলাপাড়া ইউনিয়নের মুসল্লিপাড়া গ্রামের রাধন দেবনাথ জানান, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমদিকে কৃষকরা সরিষার বীজ বুনে থাকে। কৃষকরা খুব কম সময়ে সরিষা ঘরে তুলতে পারে।
একই এলাকার মনির হোসেন বলেন, আমি দুই একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রচুর ফলন হয়েছে, আশা করি দামও ভালো পাবো। তবে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের পাশাপাশি সরিষার ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে এখানকার কৃষকরা আরও বেশি উপকৃত হতো।
প্রায় একই কথা বলেছেন বিভিন্ন ইউনিয়নের ডজন খানেক কৃষক।
অপরদিকে আবাদি সরষে ফুল থেকে মৌমাছি মধু আহরণ করছে উপজেলার কান্দুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের ও গাংগাইর গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া।
তারা জানান, এবার চার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এতে খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, উপজেলায় ২ হাজার ২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। কম খরচে অধিক মুনাফা পাওয়া যায় বলে প্রতি বছরই সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের ৫৫৭ হেক্টর জমিতে আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে ও বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার আবাদ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদের জন্য সব সময়ই উৎসাহ ও সহায়ত করে থাকি। উপযুক্ত বীজ নির্বাচন, সুষম সার প্রয়োগে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি।
এ বছর আবহাওয়া অনুকলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।