ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভূমি অফিসের স্টাফদের সাথে আতাত করে অবৈধ বালু উত্তোলন

 

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উপজেলা ভূমি অফিসের নাম ভাঙিয়ে লৌহজং নদীতে প্রভাবশালীরা ড্রেজার ও ভেকু বসিয়ে পিয়ন তারেক ও গাড়ী চালক মাসুদ নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান হলে তারা আগে থেকেই জানিয়ে দেয় বালু উত্তোলন ব্যবসায়ীদের।
কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার অন্তর্গত লৌহজং নদীর হাকিমপুর ঘাটে দেখা যায়, বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছেন উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন তারেক ও মাসুদ। এসময় এক সংবাদকর্মীকে দেখে পকেটের টাকা লুকিয়ে ফেলেন ভূমি অফিসের পিয়ন তারেক। সাথে ছিলেন গাড়ী চালক মাসুদ।
জানা যায়, উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন তারেক কালিহাতীতে দীর্ঘদিন ধরে থাকায় বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। পিয়ন তারেককে ম্যানেজ করে বাংলা ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে প্রায় প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদী তীরবর্তী বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, আর ভর্তুকি দিতে হয় সরকারকে। তারা আরো জানান, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে উনারা এসে প্রতি মাসেই এভাবে টাকা নিয়ে যায়। বারবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও এজন্যই বন্ধ হয় না বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন। এছাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চললেও ভূমি অফিসের এসব কর্মচারীদের জন্য অভিযান সম্পন্ন হয় না। কারণ তারা আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেন।
কালিহাতি উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন মাসুদ ও তারেক মাসোহারা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের সাথে বালু ব্যবসায়ীদের কোন যোগাযোগ নেই। আমরা দেখার জন্য এসেছিলাম। তারা কিন্তু কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
কালিহাতী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান বলেন, বালু ব্যবসা পরিচালনায় কাউকে কোন সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আপনারা জানেন আমরা নিয়মিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অফিসের কেউ যদি এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে আগামীকাল অফিসে ডাকা হয়েছে। ইতিপূর্বেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভূমি অফিসের স্টাফদের সাথে আতাত করে অবৈধ বালু উত্তোলন

আপডেট টাইম ১০:৪৬:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

 

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উপজেলা ভূমি অফিসের নাম ভাঙিয়ে লৌহজং নদীতে প্রভাবশালীরা ড্রেজার ও ভেকু বসিয়ে পিয়ন তারেক ও গাড়ী চালক মাসুদ নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান হলে তারা আগে থেকেই জানিয়ে দেয় বালু উত্তোলন ব্যবসায়ীদের।
কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার অন্তর্গত লৌহজং নদীর হাকিমপুর ঘাটে দেখা যায়, বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছেন উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন তারেক ও মাসুদ। এসময় এক সংবাদকর্মীকে দেখে পকেটের টাকা লুকিয়ে ফেলেন ভূমি অফিসের পিয়ন তারেক। সাথে ছিলেন গাড়ী চালক মাসুদ।
জানা যায়, উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন তারেক কালিহাতীতে দীর্ঘদিন ধরে থাকায় বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। পিয়ন তারেককে ম্যানেজ করে বাংলা ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে প্রায় প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদী তীরবর্তী বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, আর ভর্তুকি দিতে হয় সরকারকে। তারা আরো জানান, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে উনারা এসে প্রতি মাসেই এভাবে টাকা নিয়ে যায়। বারবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও এজন্যই বন্ধ হয় না বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন। এছাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চললেও ভূমি অফিসের এসব কর্মচারীদের জন্য অভিযান সম্পন্ন হয় না। কারণ তারা আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেন।
কালিহাতি উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন মাসুদ ও তারেক মাসোহারা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের সাথে বালু ব্যবসায়ীদের কোন যোগাযোগ নেই। আমরা দেখার জন্য এসেছিলাম। তারা কিন্তু কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
কালিহাতী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান বলেন, বালু ব্যবসা পরিচালনায় কাউকে কোন সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আপনারা জানেন আমরা নিয়মিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অফিসের কেউ যদি এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে আগামীকাল অফিসে ডাকা হয়েছে। ইতিপূর্বেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।