ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

ঝুঁকিতে শনিরআখড়া কালভার্টটি: প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা

লিটন আহমেদ

রাজধানীর কদমতলী থানার শনিরআখড়া অ্যান্ডারপাসের অতি নিকটে খালের ওপর অবস্থিত কালভার্টটি জনগন ও যানবাহন চলাচলে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খালের ওপর কয়েকমাস আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে কিছুটা চলাচল উপযোগী করা হয়েছে এই ছোট কালভার্টটি। শুধু তাই নয়, বালুর বস্তা ও দুইপাশে লোহার ইস্পাত দিয়ে তৈরী এই কালভার্টটির একটি অংশ ভেংগে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দু’পাশে বেস্টনিবিহীন এই কালভার্টে কয়েকদিন পর পর ঘটে দুর্ঘটনা। সেসংগে পথচারি ও ছোট ছোট যানবাহনগুলোকে প্রায় দশ ফুটের এই জায়গাটুকু চরম ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। অন্যদিকে একটু ভারি বৃষ্টি হলে এটি তলিয়ে গেলে যানবাহন ও পথচারিদের ভোগান্তি ও ঝুঁকি উভয়ই বেড়ে যায়। কয়েক বছর যাবত এই অবস্থা চলে আসলেও এটি মেরামতের কোন মাথাব্যথা নাই কর্তৃপক্ষের। এলাকাবাসীর দাবি, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে এটি স্থায়ীভাবে পাকা করে তৈরী করা হোক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিরআখড়া ব্রিজের আন্ডারপাস পার হলেই চৌরাস্তার ডান পাসে তাকালেই চোখে পরবে একটি জোড়াতালি দেওয়া কালভার্ট। এখানে জিয়াসরণী রোডের পাস দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে একটি খাল। যেটি শ্যামপুর চলে গেছে। অন্যদিকে ঢাকা- চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের পাশ দিয়ে রায়েরবাগ হতে অপর একটি বেশ প্রশস্থ রাস্তা চলে গেছে দনিয়া হয়ে যাত্রাবাড়ী। কিন্ত জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে বাধা হয়ে দাড়ায় এই কালভার্টটি। এই কালভার্টের আশেপাশেই রয়েছে অনেকগুলো বহুতল ভবনের শপিংমল ও বাড়ীঘর। রয়েছে ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল, দুটি বড় আকারের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিংসেন্টারসহ কয়েকশত দোকানপাট। ফলে ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার ওপর অবস্থিত কালভার্টটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কালভার্টের ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী নারীপুরুষ। চলাচল করে মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ পায়ে চালিত তিন চাকার বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহন। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত অটো, প্রাইভেটকার, ছোট আকারের পিকআপসহ হালকা ও ভাড়ি যানবাহন। মংগলবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এই কালভার্টের একপাশে ভাংগা অংশে বাইক নিয়ে গর্তে পরে যান সুজন নামের একজন চালক। তখন সবাই মিলে তাকেসহ বাইকটি উদ্ধার করে। আলাপকালে সুজন জানান, অল্পের জন্য বেচে গেলাম। এখানে প্রায়ই বাইক, রিকশা-ভ্যান, এমনকি মানুষও পরে যায়। কয়েক বছর যাবত এটি এভাবে পরে থাকলেও দেখার কেহ নাই।
এখানের ফল বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, প্রায় ৫ বছর যাবত খাল পারাপারের এই কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন ও চলাচলরত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হন। অনেকে ময়লা-দুর্গন্ধ কালো বর্ণের পানিতে পরে যায়। প্রায় এক বছর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস এসে এটি দেখে যান। ফারুক হোসেন নামক এলাকার এক বাসিন্দা জানান, গত বছর কালভার্টটি পার হতে গিয়ে একটি ট্রাক খালে পরে যায়। এছাড়া প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। সেসংগে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এছাড়া প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। এখানের পথচারি লিটন জানান, এই কালভার্টটি কয়েক মাস আগে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে এলাকাবাসী মিলে ইটের রাবিশ ও বালুর বস্তা ফেলে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করে তুলে। অটোচালক জসিম বলেন, এটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা যেতে পারিনা। ফলে, আমাদের অনেক দূর পর্যন্ত ঘুরে যেতে হয়। কয়েকদিন আগের টানা বৃষ্টিতে এটি তলিয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরেন পথচারিরা।
এব্যপারে স্থানীয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জুম্মন মিয়া জানান, ডিএসসিসি’র মেয়র মহোদয় এটি দেখে গেছেন। কাজ চলমান। দ্রুত এখানে একটি পাকা কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এবিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল -৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয়কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

ঝুঁকিতে শনিরআখড়া কালভার্টটি: প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা

আপডেট টাইম ০৮:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

লিটন আহমেদ

রাজধানীর কদমতলী থানার শনিরআখড়া অ্যান্ডারপাসের অতি নিকটে খালের ওপর অবস্থিত কালভার্টটি জনগন ও যানবাহন চলাচলে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খালের ওপর কয়েকমাস আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে কিছুটা চলাচল উপযোগী করা হয়েছে এই ছোট কালভার্টটি। শুধু তাই নয়, বালুর বস্তা ও দুইপাশে লোহার ইস্পাত দিয়ে তৈরী এই কালভার্টটির একটি অংশ ভেংগে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দু’পাশে বেস্টনিবিহীন এই কালভার্টে কয়েকদিন পর পর ঘটে দুর্ঘটনা। সেসংগে পথচারি ও ছোট ছোট যানবাহনগুলোকে প্রায় দশ ফুটের এই জায়গাটুকু চরম ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। অন্যদিকে একটু ভারি বৃষ্টি হলে এটি তলিয়ে গেলে যানবাহন ও পথচারিদের ভোগান্তি ও ঝুঁকি উভয়ই বেড়ে যায়। কয়েক বছর যাবত এই অবস্থা চলে আসলেও এটি মেরামতের কোন মাথাব্যথা নাই কর্তৃপক্ষের। এলাকাবাসীর দাবি, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে এটি স্থায়ীভাবে পাকা করে তৈরী করা হোক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিরআখড়া ব্রিজের আন্ডারপাস পার হলেই চৌরাস্তার ডান পাসে তাকালেই চোখে পরবে একটি জোড়াতালি দেওয়া কালভার্ট। এখানে জিয়াসরণী রোডের পাস দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে একটি খাল। যেটি শ্যামপুর চলে গেছে। অন্যদিকে ঢাকা- চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের পাশ দিয়ে রায়েরবাগ হতে অপর একটি বেশ প্রশস্থ রাস্তা চলে গেছে দনিয়া হয়ে যাত্রাবাড়ী। কিন্ত জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে বাধা হয়ে দাড়ায় এই কালভার্টটি। এই কালভার্টের আশেপাশেই রয়েছে অনেকগুলো বহুতল ভবনের শপিংমল ও বাড়ীঘর। রয়েছে ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল, দুটি বড় আকারের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিংসেন্টারসহ কয়েকশত দোকানপাট। ফলে ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার ওপর অবস্থিত কালভার্টটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কালভার্টের ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী নারীপুরুষ। চলাচল করে মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ পায়ে চালিত তিন চাকার বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহন। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত অটো, প্রাইভেটকার, ছোট আকারের পিকআপসহ হালকা ও ভাড়ি যানবাহন। মংগলবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এই কালভার্টের একপাশে ভাংগা অংশে বাইক নিয়ে গর্তে পরে যান সুজন নামের একজন চালক। তখন সবাই মিলে তাকেসহ বাইকটি উদ্ধার করে। আলাপকালে সুজন জানান, অল্পের জন্য বেচে গেলাম। এখানে প্রায়ই বাইক, রিকশা-ভ্যান, এমনকি মানুষও পরে যায়। কয়েক বছর যাবত এটি এভাবে পরে থাকলেও দেখার কেহ নাই।
এখানের ফল বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, প্রায় ৫ বছর যাবত খাল পারাপারের এই কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন ও চলাচলরত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হন। অনেকে ময়লা-দুর্গন্ধ কালো বর্ণের পানিতে পরে যায়। প্রায় এক বছর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস এসে এটি দেখে যান। ফারুক হোসেন নামক এলাকার এক বাসিন্দা জানান, গত বছর কালভার্টটি পার হতে গিয়ে একটি ট্রাক খালে পরে যায়। এছাড়া প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। সেসংগে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এছাড়া প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। এখানের পথচারি লিটন জানান, এই কালভার্টটি কয়েক মাস আগে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে এলাকাবাসী মিলে ইটের রাবিশ ও বালুর বস্তা ফেলে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করে তুলে। অটোচালক জসিম বলেন, এটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা যেতে পারিনা। ফলে, আমাদের অনেক দূর পর্যন্ত ঘুরে যেতে হয়। কয়েকদিন আগের টানা বৃষ্টিতে এটি তলিয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরেন পথচারিরা।
এব্যপারে স্থানীয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জুম্মন মিয়া জানান, ডিএসসিসি’র মেয়র মহোদয় এটি দেখে গেছেন। কাজ চলমান। দ্রুত এখানে একটি পাকা কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এবিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল -৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয়কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।