ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

জেনে নিন, চুলের যত্ন নিতে যা করবেন

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  সারা বছর জুড়ে চুলে লেগে থাকে কোন না কোন সমস্যা। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। সারা দিন ব্যস্ততার মাঝে চুলের যত্ন নেওয়ার সময় থাকে না বললেই চল। তবে একটু সচেতন থাকলে সহজেই এড়াতে পারেন চুলের সমস্যা। মেনে চলতে পারেন কিছু টিপসও।

চুলের সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে নিয়মিত কাটতে হবে চুলের আগা। এতে চুলের শেইপ যেমন থাকবে সুন্দর তেমনি আগা ফেটে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও যাবে কমে। সম্ভব হলে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর অন্তত একবার চুল কাটিয়ে নিন, তাতে চুলের স্বাস্থ্য থাকবে ভালো।

এক মাসে একবার করতে পারেন ডিপ কন্ডিশনিং। আর সেটি করবেন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল বা সরিষার তেল চুলের পক্ষে খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করতে পারে। দুই থেকে তিন চামচ তেল গরম করে হালকা ঠাণ্ডা করে নিন। ঈষদুষ্ণ থাকতে থাকতেই তেলটা চুলের গোড়ায় এবং গোটা চুলে ভালো করে মেখে নিন। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিন। পরের দিন শ্যাম্পু করে নেবেন।

সঠিকভাবে চুল আঁচড়াতে হবে। ভেজা চুল আঁচড়াতে যাবেন না তাহলে ভেঙে যেতে পারে চুল। যতটা সম্ভব চুল থেকে পানি ঝরিয়ে নিয়ে তারপর মোটা কাটার চিরুনি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিন। নিচের দিক থেকে আঁচড়াতে শুরু করুন, ধীরে ধীরে উপর দিকে উঠুন।

যাদের চুল কোঁকড়া আর রুক্ষ তারা করতে পারেন প্রি-কন্ডিশনিং। শ্যাম্পু করার আগেই কন্ডিশনার লাগানোর পদ্ধতিই হলো প্রি-কন্ডিশনিং। দারুণ ভালো ফল পেতে পারেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।

চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করবেন না তাহলে চুলের উপরে স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার ফলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ। সপ্তাহে দুই তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না।চুলের গোঁড়ার পুষ্টি যোগাতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক। নারিকেল তেল, কলা, মেয়নিজ, ডিম, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, টক দই দিয়ে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন রকমারি হেয়ার মাস্ক। চুল খোলা অবস্থায় ঘুমালে বালিশের সঙ্গে ঘষা লেগে চুল উঠে যেতে পারে৷ তাই ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে রাখুন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

জেনে নিন, চুলের যত্ন নিতে যা করবেন

আপডেট টাইম ০১:০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  সারা বছর জুড়ে চুলে লেগে থাকে কোন না কোন সমস্যা। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। সারা দিন ব্যস্ততার মাঝে চুলের যত্ন নেওয়ার সময় থাকে না বললেই চল। তবে একটু সচেতন থাকলে সহজেই এড়াতে পারেন চুলের সমস্যা। মেনে চলতে পারেন কিছু টিপসও।

চুলের সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে নিয়মিত কাটতে হবে চুলের আগা। এতে চুলের শেইপ যেমন থাকবে সুন্দর তেমনি আগা ফেটে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও যাবে কমে। সম্ভব হলে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর অন্তত একবার চুল কাটিয়ে নিন, তাতে চুলের স্বাস্থ্য থাকবে ভালো।

এক মাসে একবার করতে পারেন ডিপ কন্ডিশনিং। আর সেটি করবেন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল বা সরিষার তেল চুলের পক্ষে খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করতে পারে। দুই থেকে তিন চামচ তেল গরম করে হালকা ঠাণ্ডা করে নিন। ঈষদুষ্ণ থাকতে থাকতেই তেলটা চুলের গোড়ায় এবং গোটা চুলে ভালো করে মেখে নিন। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিন। পরের দিন শ্যাম্পু করে নেবেন।

সঠিকভাবে চুল আঁচড়াতে হবে। ভেজা চুল আঁচড়াতে যাবেন না তাহলে ভেঙে যেতে পারে চুল। যতটা সম্ভব চুল থেকে পানি ঝরিয়ে নিয়ে তারপর মোটা কাটার চিরুনি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিন। নিচের দিক থেকে আঁচড়াতে শুরু করুন, ধীরে ধীরে উপর দিকে উঠুন।

যাদের চুল কোঁকড়া আর রুক্ষ তারা করতে পারেন প্রি-কন্ডিশনিং। শ্যাম্পু করার আগেই কন্ডিশনার লাগানোর পদ্ধতিই হলো প্রি-কন্ডিশনিং। দারুণ ভালো ফল পেতে পারেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।

চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করবেন না তাহলে চুলের উপরে স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার ফলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ। সপ্তাহে দুই তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না।চুলের গোঁড়ার পুষ্টি যোগাতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক। নারিকেল তেল, কলা, মেয়নিজ, ডিম, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, টক দই দিয়ে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন রকমারি হেয়ার মাস্ক। চুল খোলা অবস্থায় ঘুমালে বালিশের সঙ্গে ঘষা লেগে চুল উঠে যেতে পারে৷ তাই ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে রাখুন।