মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ দুর্নীতির মামলায় ছয়মাসের জামিন পেয়েছেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এর ফলে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতার কারামুক্তিতে বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চে তাকে জামিন দেন।
আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, জেয়াদ আল মালুম ও শাহ মঞ্জুরুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
দুদক আইনজীবী পরে সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করবেন তারা।
গত ৭ জুলাই এ মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন প্রশ্নে চার সপ্তাহের রুল জারি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ। কিন্তু এর শুনানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ২২ অগাস্ট আবেদন ফিরিয়ে নেন লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী।
পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আবার জামিন আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকী। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ১ অক্টোবর জামিন না দিয়ে রুল জারি করতে চাইলে আবার আবেদনটি ফেরত নেন তার আইনজীবীরা।
ওই আবেদনটিই সম্প্রতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়; যার ওপর শুনানি শেষে ছয় মাসের জামিন হল লতিফ সিদ্দিকীর।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক সাংসদ লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ওই সময় তিনি দুর্নীতি করেছেন অভিযোগ করে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর বগুড়ার আদমদীঘি থানায় এই মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
সেখানে বলা হয়, মন্ত্রী থাকাকালে লতিফ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের অধীনে থাকা বগুড়ার আদমদীঘির রানীনগর ক্রয় কেন্দ্রের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বেগম জাহানারা রশিদ নামে এক নারীর কছে বিক্রির নির্দেশ দেন, তাতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
মামলায় বেগম জাহানারা রশিদকেও আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গতবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
গত ২০ জুন লতিফ সিদ্দিকী এ মামলায় বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।