ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জানুয়ারির শেষে ঢাকার দুই সিটির ভোট

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আগামী জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে একই দিনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আরো পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে সরকারের হাত নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ইসি ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দুই সিটির তফসিল ও ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোটের আয়োজন করবে। পুরো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৫৩তম সভার কার্যবিবরণীতে এসব সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে। তবে কমিশনের ওই সভায় ভোটের সময়সূচি ঠিক করা হয়নি। তবে কমিশন সভায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ১২টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে কমিশন সচিবালয়। খসড়ায় ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৪৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এ সিটিতে সম্ভাব্য ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।

অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে খসড়া ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১৫০টি ও ভোটকক্ষ ৬ হাজার ৬২২টি। দক্ষিণ সিটির সম্ভাব্য ভোটার ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ জন। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদ্যমান ভোটার তালিকায়ই দুই সিটিতে ভোট হবে। ফলে ভোটার তালিকা হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না।

ইসি সচিবালয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পরিচালনার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা- প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তালিকা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

কর্মকর্তারা বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক প্যানেল তৈরি করার জন্য ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে দুই সিটির নির্বাচন আয়োজনে ইসিতে ১৮০ দিনের দিনগণনা শুরু হয়েছে। গত নভেম্বরের মাঝামাঝিতে দুই সিটি করপোরেশনকে নির্বাচনের কথা জানানো হয়।

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির জন্য যথাক্রমে ১৪ ও ১৮ নভেম্বরের পর যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছিল ইসি। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ অনুসারে, দেশের যেকোনো সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পাঁচ বছর মেয়াদের শেষ ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে, যা করপোরেশনের প্রথম সভা আয়োজনের পর থেকে গণনা করা হবে।

ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল এক দিনেই অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। তবে ডিএনসিসিতে প্রথম বৈঠক ১৪ মে, ডিএসসিসিতে ১৭ মে এবং সিসিসিতে ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সে হিসেবে, ডিএসসিসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৩ মে, ডিএনসিসির ১৬ মে এবং সিসিসি ৫ আগস্ট।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ভোটের ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়েছে নভেম্বরের শেষ ভাগে। আগামী মে মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে এ ভোটের আয়োজন করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে ইসির সামনে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

জানুয়ারির শেষে ঢাকার দুই সিটির ভোট

আপডেট টাইম ১০:২৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আগামী জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে একই দিনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আরো পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে সরকারের হাত নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ইসি ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দুই সিটির তফসিল ও ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোটের আয়োজন করবে। পুরো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৫৩তম সভার কার্যবিবরণীতে এসব সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে। তবে কমিশনের ওই সভায় ভোটের সময়সূচি ঠিক করা হয়নি। তবে কমিশন সভায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ১২টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে কমিশন সচিবালয়। খসড়ায় ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৪৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এ সিটিতে সম্ভাব্য ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।

অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে খসড়া ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১৫০টি ও ভোটকক্ষ ৬ হাজার ৬২২টি। দক্ষিণ সিটির সম্ভাব্য ভোটার ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ জন। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদ্যমান ভোটার তালিকায়ই দুই সিটিতে ভোট হবে। ফলে ভোটার তালিকা হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না।

ইসি সচিবালয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পরিচালনার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা- প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তালিকা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

কর্মকর্তারা বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক প্যানেল তৈরি করার জন্য ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে দুই সিটির নির্বাচন আয়োজনে ইসিতে ১৮০ দিনের দিনগণনা শুরু হয়েছে। গত নভেম্বরের মাঝামাঝিতে দুই সিটি করপোরেশনকে নির্বাচনের কথা জানানো হয়।

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির জন্য যথাক্রমে ১৪ ও ১৮ নভেম্বরের পর যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছিল ইসি। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ অনুসারে, দেশের যেকোনো সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পাঁচ বছর মেয়াদের শেষ ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে, যা করপোরেশনের প্রথম সভা আয়োজনের পর থেকে গণনা করা হবে।

ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল এক দিনেই অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। তবে ডিএনসিসিতে প্রথম বৈঠক ১৪ মে, ডিএসসিসিতে ১৭ মে এবং সিসিসিতে ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সে হিসেবে, ডিএসসিসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৩ মে, ডিএনসিসির ১৬ মে এবং সিসিসি ৫ আগস্ট।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ভোটের ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়েছে নভেম্বরের শেষ ভাগে। আগামী মে মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে এ ভোটের আয়োজন করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে ইসির সামনে।