ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

জাকজমক ভাবে পালিত সাকরাইন উৎসব

মাহফুজুর রহমান সুমিত:   পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘সাকরাইন’ উৎসবে পৌষসংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর দিনটিতে আগুন নিয়ে খেলা ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম প্রহর। আজ ১৪ জানুয়ারি পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও ছিল নানা আয়োজন। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যা ও উৎসবের মুখরতা। সাকরাইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পায় নানা রঙ আর বাহারি আকৃতির ঘুড়ি।

আরো পড়ুন: ৩০ জানুয়ারিই হবে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

আরো পড়ুন: বসলো পদ্মা সেতুর ২১তম স্প্যান, দৃশ্যমান ৩১৫০ মিটার

সেই সাথে রাজধানির গেন্ডারিয়া, লক্ষীবাজার, শাখারীবাজার, কলতাবাজার, সূত্রাপুর, ঢালকানগর এসব এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই চলছে ঘুড়ি উৎসব। সাকরাইন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম বার্ষিক উৎসব গুলোর মধ্যে একটি। সাকরাইন বলতেই আমরা জানি উৎসব মুখোর পরিবেশে ঘুড়ি উড়ানো।পুরো সপ্তাহ জুড়ে পুরনো ঢাকার অলিতে-গলিতে আনন্দ মুখোর পরিবেশে চলে সাকরাইন এর প্রস্তুতি, চলে সুতোয় মাঞ্জা দেয়ার ধুম। এই দিন বাহারি রঙের ঘুড়িতে আকাশ হয়ে উঠে ঘুড়িময়। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে প্রতিটি বাড়ির ছাদ হয়ে উঠে উৎসব মুখর, আর বেলা বারার সাথে সাথে বাড়তে থাকে উৎসবের জৌলুস।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী “ব্রিটিশ আমলের এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সব মানুষ পালন করেন। পুরনো আমলে গান বাজতো মাইকে, আর এখন লাউডস্পীকারে গান বাজানো হয়। আগে আমরা খিচুড়ি করতাম এখন হয়তো কেউ বিরিয়ানি রাঁধে।”

উৎসবের কায়দা আগের মতো আছে বলেই মনে করেন তারা। অনেকে সাকরাইন উৎসবকে ঘিরে নস্টালজিকও হয়ে পড়েন। ছোটবেলার রঙবেরঙের ঘুড়ি উড়ানোর স্মৃতিকে বাস্তব করতেই তারা ছুটে যান পুরান ঢাকার এই ঐতিহ্যবাসী উৎসবে।

নস্টালজিক হয়ে হারুন রশিদ যেমন বলেছেন- “আহা। ছোটবেলায় কত ঘুড়ি উড়িয়েছি।”

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

জাকজমক ভাবে পালিত সাকরাইন উৎসব

আপডেট টাইম ০১:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

মাহফুজুর রহমান সুমিত:   পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘সাকরাইন’ উৎসবে পৌষসংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর দিনটিতে আগুন নিয়ে খেলা ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম প্রহর। আজ ১৪ জানুয়ারি পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও ছিল নানা আয়োজন। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যা ও উৎসবের মুখরতা। সাকরাইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পায় নানা রঙ আর বাহারি আকৃতির ঘুড়ি।

আরো পড়ুন: ৩০ জানুয়ারিই হবে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

আরো পড়ুন: বসলো পদ্মা সেতুর ২১তম স্প্যান, দৃশ্যমান ৩১৫০ মিটার

সেই সাথে রাজধানির গেন্ডারিয়া, লক্ষীবাজার, শাখারীবাজার, কলতাবাজার, সূত্রাপুর, ঢালকানগর এসব এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই চলছে ঘুড়ি উৎসব। সাকরাইন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম বার্ষিক উৎসব গুলোর মধ্যে একটি। সাকরাইন বলতেই আমরা জানি উৎসব মুখোর পরিবেশে ঘুড়ি উড়ানো।পুরো সপ্তাহ জুড়ে পুরনো ঢাকার অলিতে-গলিতে আনন্দ মুখোর পরিবেশে চলে সাকরাইন এর প্রস্তুতি, চলে সুতোয় মাঞ্জা দেয়ার ধুম। এই দিন বাহারি রঙের ঘুড়িতে আকাশ হয়ে উঠে ঘুড়িময়। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে প্রতিটি বাড়ির ছাদ হয়ে উঠে উৎসব মুখর, আর বেলা বারার সাথে সাথে বাড়তে থাকে উৎসবের জৌলুস।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী “ব্রিটিশ আমলের এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সব মানুষ পালন করেন। পুরনো আমলে গান বাজতো মাইকে, আর এখন লাউডস্পীকারে গান বাজানো হয়। আগে আমরা খিচুড়ি করতাম এখন হয়তো কেউ বিরিয়ানি রাঁধে।”

উৎসবের কায়দা আগের মতো আছে বলেই মনে করেন তারা। অনেকে সাকরাইন উৎসবকে ঘিরে নস্টালজিকও হয়ে পড়েন। ছোটবেলার রঙবেরঙের ঘুড়ি উড়ানোর স্মৃতিকে বাস্তব করতেই তারা ছুটে যান পুরান ঢাকার এই ঐতিহ্যবাসী উৎসবে।

নস্টালজিক হয়ে হারুন রশিদ যেমন বলেছেন- “আহা। ছোটবেলায় কত ঘুড়ি উড়িয়েছি।”