ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় সীমান্তে মাদকসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: ৩২ টি সীমান্তবর্তী জেলার সংসদ সদস্যবৃন্দদের নিয়ে আজ ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অফিস পিলখানায় সীমান্তবর্তী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এসব কথা বলেন। সভায় সীমান্তবর্তী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ তাদের স্ব স্ব এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে পরামর্শ প্রদান করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগে সীমান্তে সকল প্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের সীমান্তবর্তী দুইটি দেশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে অামাদের আলোচনা চলছে। তাছাড়া নিয়মিত বিজিবি-বিএসএফ-বিজিপি’র মহাপরিচালক পর্যায় এবং ডিসি- ডিএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গেও আমরা একইভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সীমান্তে সারভেইলেন্স সিস্টেম চালু করেছি। তাছাড়া সীমান্তে লিংকরোড হচ্ছে। সীমান্তে গরু পাচারও কমেছে কারণ আমাদের দেশে গরুর উৎপাদন বেড়েছে বলে মাননীয় মন্ত্রী বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ সবাই মিলে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কোন মাদক কারবারীকে প্রশ্রয় দেয়া যাবেনা। আমরা মাদক আইনকে যোগোপযোগী করেছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ তে ইয়াবাকে মাদকের অন্ত:ভূক্ত করেছি। বর্তমানে কারাবন্দীদের অর্ধেকের বেশী মাদক আইনে বন্দী। এজন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অপরাধ দমনের জন্য আমরা আইন শৃঙ্খহলা বাহিনীকে শক্তিশালী করছি। বিজিবির বিওপি’র সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে। বিজিবিতে আরও ১৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে। এতে আরও ৪ টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার যোগ হবে। কোস্টগার্ডকে আরও আধুনিক করছি। র্যাব ও পুলিশের আরও আধুনিকায়ন হচ্ছে। পুলিশে সাইবার ক্রাইম দমনে সাইবার ইউনিট হয়েছে।’ সভায় সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ যাতে কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। এই সময় উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সীমান্তবর্তী ৩২ টি জেলার ৬২ জন সংসদ সদস্য, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকবৃন্দ, এনবিআরের প্রতিনিধি, ৮ বিভাগের কমিশনারবৃন্দ, সীমান্তবর্তী ৩২ টি জেলার জেলা প্রশাসকগণ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় সীমান্তে মাদকসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: ৩২ টি সীমান্তবর্তী জেলার সংসদ সদস্যবৃন্দদের নিয়ে আজ ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অফিস পিলখানায় সীমান্তবর্তী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এসব কথা বলেন। সভায় সীমান্তবর্তী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ তাদের স্ব স্ব এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে পরামর্শ প্রদান করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগে সীমান্তে সকল প্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের সীমান্তবর্তী দুইটি দেশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে অামাদের আলোচনা চলছে। তাছাড়া নিয়মিত বিজিবি-বিএসএফ-বিজিপি’র মহাপরিচালক পর্যায় এবং ডিসি- ডিএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গেও আমরা একইভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সীমান্তে সারভেইলেন্স সিস্টেম চালু করেছি। তাছাড়া সীমান্তে লিংকরোড হচ্ছে। সীমান্তে গরু পাচারও কমেছে কারণ আমাদের দেশে গরুর উৎপাদন বেড়েছে বলে মাননীয় মন্ত্রী বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ সবাই মিলে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কোন মাদক কারবারীকে প্রশ্রয় দেয়া যাবেনা। আমরা মাদক আইনকে যোগোপযোগী করেছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ তে ইয়াবাকে মাদকের অন্ত:ভূক্ত করেছি। বর্তমানে কারাবন্দীদের অর্ধেকের বেশী মাদক আইনে বন্দী। এজন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অপরাধ দমনের জন্য আমরা আইন শৃঙ্খহলা বাহিনীকে শক্তিশালী করছি। বিজিবির বিওপি’র সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে। বিজিবিতে আরও ১৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে। এতে আরও ৪ টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার যোগ হবে। কোস্টগার্ডকে আরও আধুনিক করছি। র্যাব ও পুলিশের আরও আধুনিকায়ন হচ্ছে। পুলিশে সাইবার ক্রাইম দমনে সাইবার ইউনিট হয়েছে।’ সভায় সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ যাতে কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। এই সময় উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সীমান্তবর্তী ৩২ টি জেলার ৬২ জন সংসদ সদস্য, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকবৃন্দ, এনবিআরের প্রতিনিধি, ৮ বিভাগের কমিশনারবৃন্দ, সীমান্তবর্তী ৩২ টি জেলার জেলা প্রশাসকগণ।