ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ

জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মনু নদীতে ব্রীজের দাবি এলাকাবাসীর।

জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মনু নদীতে ব্রীজের দাবি এলাকাবাসীর।

মোঃ আব্দুস সালাম, বিশেষ প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার। জেলা শহরের পাশে সাবিয়া,বলিয়ারবাগসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের জনগোষ্ঠীর অন্যতম এক সমস্যার নাম মনু নদী পারাপার হওয়া। এসেছে বর্ষার মৌসুম, নদীতে বেড়েই চলছে পানি। এরই মধ্যে বাঁশের সাঁকো পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে আর শুরু হয়েছে নয়টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষের ভোগান্তি। সাঁকো থাকা কালীন সময়ে নদীর এপার থেকে ওপারে যেতে সময় লাগতো মাত্র ৫ মিনিটেরও কম সময়। কিন্তুু তার মধ্যে কতোই না দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বৃদ্ধ ব্যাক্তি থেকে শুরু করে গর্ভবতী মহিলারা। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময়ে অনেকে পা পিছলে পড়ে গেছেন নদীতে এতে করে অনেকের অনেক ধরনের সমস্যা হয়েছে, একই অবস্থা শীতকালীন সময়ে ভোর সকালে বাঁশের সাঁকো কুয়াশায় ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যায় এতে দুর্ঘঠনায় মারাত্মক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেকে । এলাকার বাসিন্দাদের নদীর এপার থেকে ওপারে শহরে যাওয়ার একটাই রাস্তা কখনো নদীতে নৌকায় করে কখনো বা সাঁকোতে। নদীতে যখন পানি বেশি থাকে,তখন পারাপারের জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা, আর নৌকা চালানো হয় একটি দড়ির মাধ্যমে আরও সমস্যা হল সম্পূর্ণ নৌকার চলাচল নির্ভর করে হাত দিয়ে দড়ি ধরার উপর। যখন নদীতে প্রচুর পরিমাণে পানি বাড়ে,মাজে মধ্যে স্রোতের কবলে পড়ে নৌকাগুলো। মাঝ নদীতে নৌকা ভর্তি প্রায় ২০-৩০ জন মানুষকে নিয়ে রশি ছিড়ে মারাত্মক ধরনের দুর্ঘঠনার সম্ভাবনা রয়েছে।বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকোর অনেকাংশ পানির স্রোতে ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার জন্য,দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের মধ্যে অনেকে দীর্ঘস্বাস ফেলে বলতে দেখা যায় “হায়রে দূর্ভীসহ জীবন আর কতকাল এভাবে চলবে আমাদের”। আর কত কাল থাকবো এভাবে, করবো এভাবে যাতায়াত। হায়রে আমার সোনার বাংলাদেশ। যেখানে সারা দেশ আজ উন্নতির দিকে শুধু একটি ব্রীজের জন্য পিছিয়ে রয়েছি আমরা কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ের পর অনেকের মুখে উচ্ছারিত হচ্ছে যে, সাংবাদিক ভাই,শুনেছিলাম “গ্রাম হবে শহর” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আপনার মাধ্যমে আমাদের এই মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের আকুল আবেদন যে,আমাদের যাতায়াত সুবিধা থেকে যেন বঞ্চিত না হই। আমদের অত্র এলাকার জনগণের সুবিধার জন্য আমাদেরকে তথা এই শহরের পাশের কয়েকটি গ্রামের,কয়েক হাজার মানুষের প্রানের দাবি মনু নদীর উপরে সাবিয়া বলিয়ারবাগের মধ্যখানে একটি ব্রীজ তৈরি করে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড

জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মনু নদীতে ব্রীজের দাবি এলাকাবাসীর।

আপডেট টাইম ০৭:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মনু নদীতে ব্রীজের দাবি এলাকাবাসীর।

মোঃ আব্দুস সালাম, বিশেষ প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার। জেলা শহরের পাশে সাবিয়া,বলিয়ারবাগসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের জনগোষ্ঠীর অন্যতম এক সমস্যার নাম মনু নদী পারাপার হওয়া। এসেছে বর্ষার মৌসুম, নদীতে বেড়েই চলছে পানি। এরই মধ্যে বাঁশের সাঁকো পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে আর শুরু হয়েছে নয়টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষের ভোগান্তি। সাঁকো থাকা কালীন সময়ে নদীর এপার থেকে ওপারে যেতে সময় লাগতো মাত্র ৫ মিনিটেরও কম সময়। কিন্তুু তার মধ্যে কতোই না দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বৃদ্ধ ব্যাক্তি থেকে শুরু করে গর্ভবতী মহিলারা। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময়ে অনেকে পা পিছলে পড়ে গেছেন নদীতে এতে করে অনেকের অনেক ধরনের সমস্যা হয়েছে, একই অবস্থা শীতকালীন সময়ে ভোর সকালে বাঁশের সাঁকো কুয়াশায় ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যায় এতে দুর্ঘঠনায় মারাত্মক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেকে । এলাকার বাসিন্দাদের নদীর এপার থেকে ওপারে শহরে যাওয়ার একটাই রাস্তা কখনো নদীতে নৌকায় করে কখনো বা সাঁকোতে। নদীতে যখন পানি বেশি থাকে,তখন পারাপারের জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা, আর নৌকা চালানো হয় একটি দড়ির মাধ্যমে আরও সমস্যা হল সম্পূর্ণ নৌকার চলাচল নির্ভর করে হাত দিয়ে দড়ি ধরার উপর। যখন নদীতে প্রচুর পরিমাণে পানি বাড়ে,মাজে মধ্যে স্রোতের কবলে পড়ে নৌকাগুলো। মাঝ নদীতে নৌকা ভর্তি প্রায় ২০-৩০ জন মানুষকে নিয়ে রশি ছিড়ে মারাত্মক ধরনের দুর্ঘঠনার সম্ভাবনা রয়েছে।বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকোর অনেকাংশ পানির স্রোতে ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার জন্য,দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের মধ্যে অনেকে দীর্ঘস্বাস ফেলে বলতে দেখা যায় “হায়রে দূর্ভীসহ জীবন আর কতকাল এভাবে চলবে আমাদের”। আর কত কাল থাকবো এভাবে, করবো এভাবে যাতায়াত। হায়রে আমার সোনার বাংলাদেশ। যেখানে সারা দেশ আজ উন্নতির দিকে শুধু একটি ব্রীজের জন্য পিছিয়ে রয়েছি আমরা কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ের পর অনেকের মুখে উচ্ছারিত হচ্ছে যে, সাংবাদিক ভাই,শুনেছিলাম “গ্রাম হবে শহর” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আপনার মাধ্যমে আমাদের এই মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের আকুল আবেদন যে,আমাদের যাতায়াত সুবিধা থেকে যেন বঞ্চিত না হই। আমদের অত্র এলাকার জনগণের সুবিধার জন্য আমাদেরকে তথা এই শহরের পাশের কয়েকটি গ্রামের,কয়েক হাজার মানুষের প্রানের দাবি মনু নদীর উপরে সাবিয়া বলিয়ারবাগের মধ্যখানে একটি ব্রীজ তৈরি করে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।