সিনিয়র রিপোর্টার,মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম,ঢাকা: মহানগর পুলিশের ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন,তথ্য সংগ্রহ ফরমে অভুতপূর্ন সাড়া পাওয়া গেছে। নতুন করে আরো পাঁচ লাখ যুক্ত হবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন,জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণে পরিবারের ভুমিকাই বেশি। পরে সামাজিক এবং আইনি প্রক্রিয়ার সমন্বয় প্রয়োজন। সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) আয়োজিত উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের করনীয় শীর্ষক দিনব্যাপ্যী কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর পুলিশ প্রধান এসব কথা বলেন। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন,জঙ্গিবাদ ও মাদক ও সন্ত্রাসবাদ বোকা বানায় বাসা বাড়িতে, অফিসে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন,সাইবার ওয়ার্ল্ডে দেশকে অস্থিতিশীল করতে অনেক দেশ ষড়যন্ত্র করছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “যেহেতু জনপ্রতিনিধিগণ সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখেন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”। তাছাড়া খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের উপর মেয়র গুরুত্ব আরোপ করেন। এ লক্ষ্যে ডিএনসিসির ২৪টি খেলার মাঠের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।
এ সব মাঠ রাতেও যাতে খেলাধুলা করা যায় সেজন্য মাঠে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। মেয়র বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের কবল থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, “‘হলি আর্টিজানের’ পর দেশে ব্যবসার অবস্থা খারাপ হতে যাচ্ছিল। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা প্রায় গুটিয়ে নিচ্ছিলেন। তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্যাপাবিলিটি ও ক্যাপাসিটি দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন”। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি ডিএমপির প্রতি আহবান জানান। এ লক্ষ্যে প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসায় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম, উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার,মোস্তাক আহমেদ খান ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজী। এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ।